সিরিজ জিতে নিল জিম্বাবুয়ে

সিরিজ জিতে নিল জিম্বাবুয়ে



 প্রস্তুতি : স্পোর্টস (প্রতিমুহূর্ত.কম) ---

পারলো না টাইগাররা, ওয়ানডে সিরিজ জিতে নিল জিম্বাবুয়ে। ভুসি সিবান্দা ও শন উইলিয়ামসের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে সহজ জয় পেল জিম্বাবুয়ে। সাত উইকেটের এই জয়ে বাংলাদেশকে ২-১ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজে হারাল স্বাগতিকরা।

 বুলাওয়ের মাটিতে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে প্রথমটিতে জয় পায় বাংলাদেশ। কিন্তু দ্বিতীয়টিতে সেই জয়ের ধারা ধরে রাখতে পারেনি লাল-সবুজের দলের তারকা। আর ছয় ম্যাচে পর ওয়ানডেতে জয় পেয়ে সিরিজ জয়েও বেশ আত্মবিশ্বাসী ছিল জিম্বাবুয়ে। শেষ ম্যাচেও সেই আত্মবিশ্বাসের প্রমাণও রেখেছে স্বাগতিকরা।

তাদের এই জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছেন ওপেনার সিবান্দা। কারণ তার অপরাজিত ১০৩ রানের ইনিংসে ১৭ বল হাতে থাকতে জয় পায় স্বাগতিকরা। তবে তার সেঞ্চুরিটির জন্য কয়েকটি বল ছেড়ে দেন উইলিয়ামস।
 
বুধবার বুলাওয়ের কুইন্স স্পোর্টস ক্লাব মাঠে টসে জয় পায় জিম্বাবুয়ে। তখনই যেন তাদের জন্য এই জয়টিও নিশ্চিত হয়ে যায়। কারণ প্রথমে ফিল্ডিং নিয়ে বাংলাদেশকে মাত্র ২৪৭ রানে আটকে দেয়। আর ব্যাট করতে নেমেই উদ্বোধনী জুটিতে করে ৭৯ রান। ৪১ রান করে রবিউলের বলে মাসাকাদজা সাজঘরে ফিরে গেলেও লড়াই চালিয়ে যান সিবান্দা। ওয়ানডাউনে নামা সিকান্দার রাজাকে নিয়ে ৫৬ রানের  জুটি গড়েন তিনি। কিন্তু বাংলাদেশের বোলার জিয়াউর রহমান ৩৭ রান করা সিকান্দারকে আউট করে দেন।
 
 
এরপর মাঠে এসে দুই রান করেই মাহমুদুল্লাহর বলে বিদায় নেন অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেলর। কিন্তু বোলাররা আর কোন উইকেটরে ধেকাই পাননি। সিবান্দার ১০৩ রানের সঙ্গে ৫৫ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন শেন উইলিয়ামস।
 
এর আগে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১৫ রানে দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংরাদেশ। তবে তৃতীয় জুটিতে আশার আলো দেখায়। কিন্তু জিম্বাবুয়ে বোলিং তোপে রানের চাকা বেশ ঘুরাতে পারছিল না সফরকারী ব্যাটসম্যানরা। তারপরও শেষ দিকে মাহমুদুল্লাহর ওয়ানডে ক্যারিয়ারে সেরা ও এই ম্যাচের দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রানের ইনিংসে জিম্বাবুয়েকে ২৪৮ রানের টার্গেট দেয় বাংলাদেশ।

এই ম্যাচে জিম্বাবুয়ের পেসার শিঙ্গি মাসাকাদজার পরিবর্তে দলে ফেরা ভিটোরি উইকেট শিকার করলেও ভাল কিছু দেখাতে পারেননি মুমিনুলের পরিবর্তে একাদশে যোগ দেওয়া জহুরুল ইসলাম। কারণ আশরাফুলের পাঁচ রান করে বিদায় হওয়ার পর শূন্য রানেই সাজঘরে ফিরে যান জহুরুল। আর তারা দুই জনই ভিটোরির শিকার।
 
এরপর তামিমের সঙ্গে যোগ দেন মুশফিকুর রহিম। তারা দুই জন গড়ে তোলেন ৬২ রানের জুটি। কিন্তু এই জুটি ভেঙ্গে যায় ৩২ রান করা মুশফিকের আউট হওয়ায়। উৎসিয়ার বলে চাতারার হাতে ক্যাচ আউট হন তিনি। দলের রানের খাতায় আর সাত রান যোগ হতেই ৩২ রান করা তামিমকে মাঠ থেকে বিদায় করে দেন বোলার চাতারা।
 
দলের ভরসার পাত্র সাকিবের সঙ্গে জোট বাধেন নাসির। কিন্তু বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারেনি এই জুটি। উইলিয়ামসের বলে সিবান্দার হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে মাঠ থেকে চলে গেলেন সাকিব (১৮)। কিন্তু দলের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর গড়েন নাসির। জারভিসের বলে আউট হওয়ার আগে চার বাউন্ডারিতে ৬৩ রান করেন তিনি। পরে পাঁচ রান করেই মাঠ ছাড়েন জিয়াউর রহমান।
 
শেষ দিকে মাহমুদুল্লাহর অপরাজিত ৭৫ রান করলে নির্ধারিত ওভারে নয় উইকেটের বিনিময় ২৪৭ রান করে বাংলাদেশ। পাঁচটি চার ও দুটি ছক্কায় এই স্কোর গড়েন মাহমুদুল্লাহ। জিম্বাবুয়ের বোলার জারভিস, ভিটোরি এবং চাতারা প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট পান।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সালাহ্উদ্দিন লাভলুর ধারাবাহিক নাটক 'কবুলীয়তনামা'

পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট ২টি গল্প

নাচো নাচো (রিমিক্স)