পোস্টগুলি

সেপ্টেম্বর, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

জাহান্নামের খুনি বিড়াল: স্টিফেন কিং (ট্রেলর)

ছবি
সাবধান, জাহান্নাম থেকে ধেয়ে আসছে একটি খুনি বিড়াল। স্টিফেন কিংয়ের বিশ্বখ্যাত তেরটি অতিপ্রাকৃত গল্প... #জাহান্নামের খুনি বিড়াল মলাটে ‘আ সি তে ছে’।

নায়িকা মুনমুন নাকি নাচের আয়োজক, কে বেশি দোষী

ছবি
নটির কাজই হলো নাচানাচি? সে তো নাচবেই। কিন্তু কারা তাকে মসজিদের সামনে নিয়ে নাচালো, এ বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে না।

স্বপ্নাহত চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ

ছবি
স্বপ্নাহত চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ বিপুল হাসান চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ। প্রথম তার গল্প শুনি বন্ধু নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর মুখে, সেই নব্বুই দশকের মাঝামাঝিতে। 'মুক্তির গান' ছবিটি সম্পাদনার সময় সরয়ার কিছুদিন তারেক মাসুদের সঙ্গে কাজ করেছেন। তখনও আমার সাংবাদিকতায় হাতেখড়ি হয়নি। ওই সময় মগজে ছিল গ্রুপ থিয়েটার করে সমাজ বদলের ভাবনা। . সরয়ারের মুখ থেকেই শুনি, ১৯৭১ সালে মার্কিন চলচ্চিত্রকার লিয়ার লেভিন মুক্তিযুদ্ধের ওপর ডকুমেন্টারি নির্মাণ করতে বাংলাদেশে এসেছিলেন। একদল শিল্পীর সঙ্গে তিনি শরণার্থী ও মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পে ঘুরে ঘুরে প্রায় ২০ ঘন্টার ফুটেজ সংগ্রহ করেন। পরে আর্থিক অনটনের কারণে সেটি তৈরি করতে পারেননি। দীর্ঘ ১৯ বছর ওই ফুটেজ তার নিউইয়র্কের বাসার বেসমেন্টে পরে ছিল। তারেক মাসুদ যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে গেলে সহপাঠি ক্যাথরিনের মাধ্যমে পরিচয় হয় লিয়ার লেভিনের সঙ্গে। ওই ফুটেজের কথা শুনে তিনি আগ্রহী হয়ে ওঠেন। রাশ ফিল্ম হিসেবে ফেলে রাখা ফুটেজগুলো তারেক মাসুদকে দিয়ে দেন লেয়ার লেভিন। . প্রেম করে বিয়ে করা ক্যাথরিনকে নিয়ে ওই ফুটেজগুলো ব্যবহার করে 'মুক্তির গান' নির্মাণ করেন তারেক

আরেক চেহারার নায়করাজ

ছবি
আরেক চেহারার নায়করাজ  বিপুল হাসান নায়করাজ রাজ্জাক চলে গেছেন, তবে রেখে গেছেন তার অনন্য কীর্তি। সেই শৈশব থেকে শুরু করে এই তো সেইদিন পর্যন্ত জীবনের নানা পর্যায়ে তার সঙ্গে আমার কিছু স্মৃতি আছে। নায়করাজের সঙ্গে ব্যক্তিগত সেইসব স্মৃতি থেকে কয়েকটা মনে করা যাক। শুরুতেই বলে রাখি, এই লেখাটা ৯০% সত্য ও বাস্তব ঘটনা, আর নাটকীয়তা আনতে ১০% রঙ লাগানো হয়েছে। স্কুলের পেছনের বাউন্ডারি ঘেষা রাস্তাটি আজাদ মসজিদের দিকে গেছে। বিপরীত দিকে দুইশ’ কদম পা বাড়ালেই লাল ইট কালো গেইট, ঘন সবুজের মায়াঘেরা বাড়িটির নাম লক্ষ্মীকুঞ্জ। নাহ, বাড়ির আলাদা বিশেষত্ব নেই। আর তখন তো গুলশানের সব বাড়ির চেহারাই ছিল প্রায় একরকম। ১৫/২০ কাঠার একেকটা প্লট, দেয়াল ঘেরা মাঠের মতো খোলা জায়গায় ছোট্ট একতলা ভবন। লক্ষ্মীকুঞ্জও সেরকম একটি বাড়ি, তবু দূরদুরান্ত থেকে বহুলোক সেটি দেখতে ভিড় জমাতো। কেনো? জী, ওই বাড়িটি নায়করাজের। সময়টা ছিল আশির দশকের মাঝামাঝি। পড়ি ক্লাস ফোর কি ফাইভে। গুলশান মডেল হাই স্কুলটা তখন ছিল সেই বিখ্যাত লক্ষ্মীকুঞ্জের কাছাকাছি। প্রধান সড়কে কিছু যানবাহন আর কোলাহলের শব্দ ছাড়া সত্যিই নিরব এলাকা ছিল গুলশান। স্কুল পালিয়ে কিংবা টিফিন প

মাইকেল জ্যাকসনের ‘ইউ আর নট এলোন’-এর বাংলা অনুবাদ

ছবি
  মাইকেল জ্যাকসনের গানগুলোর মধ্যে আমার পছন্দ ‘ইউ আর নট এলোন’। ১৯৯৫ সালে কিং অব পপ গানটি করেন। বিশ্বজনীন শিল্পী মাইকেল জ্যাকসনের জন্মদিনে হৃদয় ছোঁয়া এ গানের লিরিক বাংলা করার চেষ্টা করলাম।- বিপুল হাসান তুমি একা নও মোটেও . আরেকটা দিন গেল এখনও আমি একা কেনো এমন হলো তোমাকে ছেড়ে থাকা কখনো বলোনি বিদায় কেউবা জানতে চায় চলে যেতেই হবে কী তোমায় তবু গেলে চলে আমার বিশ্বকে তুষারে ফেলে প্রতিদিন বসে বসে প্রশ্ন নিজের কাছে প্রেম গেল পিছলে কোন ভুলে তবু কানে কানে কে যেন বলে ওঠে তুমি একা নও মোটেও আমি এইতো আছি সাথে যদিও তুমি যোজন যোজন দূরে আমি আগের ঠিকানাতে। তুমি একা নও মোটেও আমি এইতো আছি সাথে যদিও তুমি যোজন যোজন দূরে আর আমি আগের ঠিকানাতে। তুমি একা নও মোটেও আমি এইতো আছি সাথে যদিও আমরা চলে এসেছি বহুদূরে তবু তোমায় রেখেছি হৃদয় জুড়ে তুমি একা নও মোটেও ' একা একা কেন একা ঠিক এমনই আরেক রাতে আমি ভাবছি তুমি কেঁদে কেঁদে আমাকে চাইবে কাছে পেতে বাহু আকড়ে রাখবে ধরে আমি তোমার প্রার্থনা শুনতে পাবো তোমার সব দায় বহনের শপথ নেবো তবে সবার আগে চাইছি হাতের ছোঁয়া এরপরই শুরু আজীবন যৌথপথ চলা। ফিসফিসিয়ে তিন শব্দের ডাকে ছুটে আসি বন্ধ

প্লেগ থেকে করোনা: ছয়শ’ বছরের মহামারি

ছবি
 প্লেগ থেকে করোনা:  ছয়শ’ বছরের মহামারি বিপুল হাসান ইউরোপে চতুর্দশ শতাব্দীতে ‘ব্ল্যাক ডেথ’ নামে আবির্ভাব হয়েছিল প্লেগ মহামারির। ওইসময় মহাদেশটির মোট জনসংখ্যার অর্ধেক মানুষই আক্রান্ত হয়েছিল প্লেগে। এই মহামারির কবলে পড়ে ১৪'শ শতাব্দীতে বিশ্বের জনসংখ্যা ৪৫০ মিলিয়ন থেকে ৩৭৫ মিলিয়নে নেমে আসে। প্লেগ মহামারির ছয়শ’ বছর পর পৃথিবীতে নেমে এসেছে করোনাভাইরাস মহামারি। আজকের আধুনিক বিজ্ঞান এই ভাইরাস প্রতিরোধে কোনো ভ্যাকসিন আবিষ্কারে এখন পর্যন্ত ব্যর্থ। এরই মধ্যে করোনাতে মৃতের সংখ্যা পাঁচ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। কেউ জানে না কবে বা কিভাবে কোভিড-১৯ (করোনা) ভাইরাসের থাবা থেকে মুক্ত হবে বিশ্ব। ঠিক এমনই পরিস্থিতি হয়েছিল প্লেগ মহামারির সময়টাতে ছয়শ’ বছর আগে। কৃষ্ণ সাগরের (ব্ল্যাক সি) উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলো থেকে প্লেগ রোগ ছড়িয়ে পড়েছিল বলে একে বলা হতো ব্ল্যাক ডেথ। ওই সময় ইউরোপ ও এশিয়ার বাণিজ্য হতো এই কৃষ্ণ সাগর দিয়েই। আর এখান থেকে খাদ্যদ্রব্যের জাহাজগুলোতে চড়ে বসতো অসংখ্য ইঁদুর, যেগুলোকে প্লেগ রোগের প্রধান জীবাণুবাহী বলে মনে করা হয়। ১৩৪৭-৫১ খ্রিস্টাব্দ সময়কালই ছিল ব্ল্যাক ডেথের সবচেয়ে বিধ্বংসী সময়। অভিশপ্ত এই মহ

একটি স্ফুলিঙ্গের ভস্মে রূপান্তরের পেপার কাটিং নুরকে দিলাম

ছবি
একটি স্ফুলিঙ্গের ভস্মে রূপান্তরের পেপার কাটিং নুরকে দিলাম বিপুল হাসান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি নুরুল হক নুর। পটুয়াখালির অজ পাড়াগাঁ চরবিশ্বাসের খুবই সাধারণ একটি পরিবার থেকে ওঠে আসা এই তরুণ লড়াই করে নেতা হয়েছেন। সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার আন্দোলনের রাজপথই লড়াকু নুরকে নেতা বানিয়েছে। চরম প্রতিকূল পরিস্থিতিতেই দীর্ঘ ২৮ বছর পর ডাকসু নির্বাচনে জয়ী হয়ে তিনি ভিপি হয়েছেন। নূরের সাম্প্রতিক একটি সিদ্ধান্তে অনেকের মতো শঙ্কিত বোধ করছি। রাজনৈতিক দল গঠন করবেন তিনি। করোনাকালে সবাই যখন আতঙ্কে দিশেহারা তখনই নতুন রাজনৈতিক গঠনের ঘোষণা দিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি নুরুল হক নূর। নিজের ফেসবুক পেজে লাইভে এসে এই ছাত্রনেতা জানালেন, আমি আওয়ামী লীগ বিএনপির রাজনীতি করি না, আমি করবো না। আমরা একটি নতুন ধারার রাজনীতি গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। এই দেশে এটি সহজ কাজ, রবার স্ট্যাম্প সর্বস্ব রাজনৈতিক দল আছে সহস্রাধিক। কেনো এই অমিত সম্ভাবনাময় তরুণটি নিজেকে পতনের ওই কাতারে দাঁড় করাতে চাচ্ছেন, বুঝতে পারছি না। দলের মতো দল গঠনের ম্যাচুরিটি কি তার হয়েছে? একটি স্ফুলিঙ্গের ভস্মে রূপান

করোনার আক্রমণ ফুসফুসে নয়, মস্তিষ্কে হয়

ছবি
করোনার আক্রমণ ফুসফুসে নয়, মস্তিষ্কে হয় বিপুল হাসান  যা বুঝলাম মনের জোরটাই আসল, যাকে বলে মনোবল। শরীরের ইমিউনিটি সিস্টেম একটা ফ্যাক্টর হতে পারে.. দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার চেয়েও করোনার কামড় এড়াতে মনের দেয়ালই বেশি সহায়তা করে বলে জানিয়েছে আমার অভিজ্ঞতা। ভয়কে পাত্তা দিলেন তো গেলেন ফুরিয়ে। আক্রান্ত হওয়ার ১৮ দিন পর করোনা নেগেটিভ এলেও, অসুস্থতা টের পেয়েছি আসলে মাত্র তিন দিন। তাও আবার একসপ্তাহের ব্যবধানে। বাসাতেই আইসোলেশনে ছিলাম ছোটভাই নিউরোসায়েন্স ইন্সটিটিউটের সহকারী অধ্যাপক ডা. মাশফিকুল হাসানের তত্বাবধানে৷ গায়ে জ্বর ছিল। কাশিও ছিল। দেহের জোড়ায় জোড়ায় ব্যাথা ছিল। সবই সহজিয়া সহনীয় ছিল। আক্রান্তের চার কি পাঁচদিন পর ফেসবুকে করোনার কিছু টুকরো ঘটনা পড়ে আর কোয়ান্টামের বেওয়ারিশ লাশ দাফনের ছবি দেখে মনটা ভার হয়ে আসে। লখিন্দরের লোহার ঘরে সুতানালি সাপ হয়ে হানা দেয় মৃত্যুভীতি। বিশেষ করে মারা গেলে আপনজনেরা আমার মুখটা একবারও দেখতে আসবে না, কোথায় আমার কবর হবে কেউ জানবে না। এই ভাবনাটা মগজে ভর করতেই গলায় দলাপাকানো কিছু একটা অনুভব করি। শুরু হয় কাশি আর বমি থেমে থেমে। বমির দমকে ওই দলাটা গলা থেকে বের না হয়ে নিচের

করোনার দাপটে ভাঙছে মানবিক মূল্যবোধ ও অনুশাসন: বিপুল হাসান

ছবি
করোনার দাপটে ভাঙছে মানবিক মূল্যবোধ ও অনুশাসন বিপুল হাসান সর্বগ্রাসী করোনা কেবল মানুষের প্রাণহরণই করছে না, পাল্টে দিচ্ছে মানুষের যুগযুগান্তের বিশ্বাস, রুচি-অভ্যাস. স্বভাব-প্রবৃত্তি এবং সামাজিক ও ধর্মীয় অনুশাসন। আদিম অন্ধকার থেকে ওঠে আসা আণুবীক্ষণিক দানব কোভিট-১৯ আমাদের পৃথিবী নামের গ্রহটার খোলনলচে পাল্টে দিচ্ছে। মাত্র তিন মাসে আমাদের চেনা পৃথিবীটা কেমন অচেনা অমানবিক হয়ে গেছে। আমাদের এই শহরে রাস্তার ধারে লাশ পড়ে থাকে। এই নগরীর আবেগপ্রবণ পরোপকারী মানুষেরা আহারে বলে হামলে না পড়ে আতঙ্কে দূরে সরে যাচ্ছে। নিথর দেহে স্পন্দন আছে কিনা দেখতে কেউ এগিয়ে যাচ্ছে না বা মুখটা ঢেকে দিচ্ছে না-- এমন ঘটনা অভাবনীয় অ্যাবসার্ড। জুরাইনের নতুন রাস্তায় ওই লাশটি দুইঘণ্টা পড়ে ছিল। মৃত ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত কিনা পরে আর জানা যায়নি। তবে এটা নিশ্চিত, তিনি মানুষই ছিলেন। ধর্মীয় অনুশাসনে ইসলামের সূতিকাগার সৌদির চেয়েও একধাপ কঠোর ইরান। ১৯৭৯ সালের বিপ্লবের পর থেকে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানে মদপান নিষিদ্ধ। ইসলাম ধর্মেও এটি হারাম। ইরানের ইসলামী দণ্ডবিধির ২৬৫ ধারা অনুযায়ী দেশটির কোনো নাগরিক মদপান করলে শাস্তি হলো ৮০ টি দোররা। ওই

স্টিফেন কিংয়ের ছোটগল্প ‘দ্যা আদার সাইড অফ দ্যা ফগ’

ছবি
স্টিফেন কিংয়ের ‘দ্যা আদার সাইড অফ দ্যা ফগ’ কুয়াশার অন্যপাশে ভাষান্তর: বিপুল হাসান বাসা থেকে বের হলো পিট জ্যাকব। সঙ্গে সঙ্গে হু হু করে ছুটে এলো কুয়াশা। সে দেখলো, গাঢ় কুয়াশা তার বাসাটাকে গিলে ফেলেছে। সামনে কুয়াশায় তৈরি একটা চাদর ছাড়া সে আর কিছইু দেখতে পাচ্ছে। তার ভেতর অদ্ভূত এক অনুভূতি তৈরি হয়। মনে হয়, পৃথিবীর কোথাও আর কেউ নেই, সে-ই হলো এ গ্রহের শেষ মানুষ। আচমকা কেমন যেন অস্বস্তি লাগতে শুরু করলো পিট জ্যকাবের। মাথাটা বন বন করে পাক খাচ্ছে, আর মোচড় দিচ্ছে পেট। অনেক উপর থেকে দ্রুতগতিতে লিফট নেমে এলে যেমনটা লাগে, মনে হচ্ছে ওইরকমই একটা পড়ন্ত লিফটের মধ্যে সে দাঁড়িয়ে আছে। অবশ্য ওই অনুভূতিটা দীর্ঘক্ষণ টেকসই হলো না। শরীরটাকে একটু নাড়া দিয়েই অদ্ভূত অনুভূতিটা চলে গেল। জ্যাকব পিট এবার ধীর পায়ে হাঁটতে থাকেন। হালকা হাওয়ায় কুয়াশা কাটতে শুরু করে। কিন্তু কুয়াশা কাটতে শুরু করার সাথে সাথে পিটের চোখ আতঙ্কে আর বিস্ময়ে কপালে ওঠলো। একি, এসব কি হচ্ছে! কোথায় এলো সে? পিট একটা শহরের মাঝে দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু এখানে কোনো শহর থাকার কথা নয়। কারণ তার বাড়ি থেকে সবচেয়ে কাছের শহর চল্লিশ কিমি দূরে!   এ কেমন শহর! সবকিছুই একদম

আমাদের সেই তরুণবেলা

ছবি
তারুণ্যের সূচনালগ্নে আমাদের তিন বন্ধুর বিশ্বাস ছিল, থিয়েটার করে সমাজ পাল্টে দেওয়া যায়। আমি ছিলাম ঢাকা পদাতিকে, মিঠু আর মিল্লাত উদীচীতে। একই এলাকায় বাসা, রাস্তার এপার-ওপার। এক বিকালের আড্ডায় কি জানি কি হলো, তিনজনের মিলিত ভাবনা- সমাজ পাল্টানোর লড়াইটা কেনো নিজ এলাকা থেকে শুরু করছি না! ঢাকা প্রভাকর, মহল্লার বন্ধুদের নিয়ে নিজেরাই গড়লাম নাটকের দল। আমাদের গুলশান মডেল স্কুলের হেডস্যার খালেদ মোমিনকে গিয়ে ধরলাম, ছুটির পর বিকেলে স্কুলে রিহের্সাল করবো.. আপনি আমাদের প্রধান উপদেষ্টা। নাটক ের কস্টিউম, সেট ও হলভাড়ার জন্য টাকা দরকার। মিল্লাতের বাবা জলিল আংকেল ব্যবসায়ী মানুষ, সাবেক নির্বাচিত স্থানীয় গণপ্রতিনিধি। তাই অনেক বলে কয়ে তাকে সভাপতি হতে রাজি করালাম। ওই সময়ের স্থানীয় দুই প্রভাবশালী ছাত্রনেতা মোস্তফা ব্যানার্জী আর এম এ খালেক ভাই হলেন সহ-সভাপতি। নাটকের টিকিট পুশিং সেলের জন্য উনাদের প্রভাব-পরিচিতি কাজে লাগানোটাই ছিল আসলে টার্গেট। আমি হলাম সাধারণ সম্পাদক ও নাট্যকার। লিখলাম নাটক- সূর্বণপুরের শেষদৃশ্য, ধর চোর ধর, হাঁও মাঁও খাঁও, শেয়াল পন্ডিতের পাঠাশালা আর অন্য নাট্যকারের লেখা প্রযোজনা- রাজার হলো সাজা ও