আজ বুরুঙ্গা গণহত্যা দিবস
আজ ২৬ মে রোববার সিলেটের ওসমানীনগর থানার বুরুঙ্গা গণহত্যা দিবস। ১৯৭১ সালে স্বাধীতা
যুদ্ধ চলাকালে এই দিনে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সর্বাধিনায়ক এম জি ওসমানীর পৈতৃক নিবাস
ওসমানীনগরের বুরুঙ্গা ইউনিয়নের ৭৮ জন
নিরীহ মানুষের রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল বুরুঙ্গা
উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের সবুজ মাঠ।
প্রত্যক্ষদর্শী ও মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে জানা যায়, শান্তি কমিটি গঠন ও শান্তি কার্ড দেওয়ার নাম করে পাকবাহিনী ও স্থানীয় রাজাকাররা ২৬ মে বুরুঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে এলাকার হিন্দু ও মুসলিম শতাধিক লোককে জড়ো করে। একসময় হিন্দু-মুসলমান আলাদা করে মুসলিমদের কলেমা পড়িয়ে ছেড়ে দিয়ে হিন্দুদের আটকে রাখা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে জানা যায়, শান্তি কমিটি গঠন ও শান্তি কার্ড দেওয়ার নাম করে পাকবাহিনী ও স্থানীয় রাজাকাররা ২৬ মে বুরুঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে এলাকার হিন্দু ও মুসলিম শতাধিক লোককে জড়ো করে। একসময় হিন্দু-মুসলমান আলাদা করে মুসলিমদের কলেমা পড়িয়ে ছেড়ে দিয়ে হিন্দুদের আটকে রাখা হয়।
দুপুরে
বিদ্যালয় মাঠে প্রস্তুতি ৩টি এলএমজির সামনে আটককৃতদের রশি
দিয়ে
বেঁধে লাইনে দাঁড় করিয়ে বৃষ্টির মতো গুলি ছোড়া হয়। তাজা দেহগুলো মাটিতে
লুটিয়ে পড়লে মৃত্যু নিশ্চিত করতে লাশ গুলোর ওপর কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয়া হয়। এতে
ঘটনাস্থলে ৭৮ জন শহীদ হন।
তবে শহীদের সংখ্যা নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে বলে জানা গেছে। এই হত্যাযজ্ঞ থেকে গুলি খেয়েও ভাগ্যক্রমে শিক্ষক প্রীতি রঞ্জন চৌধুরী, নিবাস চক্রবর্তী, রানু মালাকার ও দিনেশ বৈদ্যসহ কয়েকজন বেঁচে যান।
সমস্ত দিন-রাত পোঁড়া, অর্ধপোঁড়া লাশ গুলো পড়ে থাকে। পরদিন সকালে আবার কয়েকজন পাকিস্তানি সৈন্য ঘটনাস্থলে এসে মৃত দেহগুলোকে বুরুঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে (বর্তমান গণকবরে) একটি গর্ত খুঁড়ে মাটি চাঁপা দেয়। গত বছর গণকবরে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়।
তবে শহীদের সংখ্যা নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে বলে জানা গেছে। এই হত্যাযজ্ঞ থেকে গুলি খেয়েও ভাগ্যক্রমে শিক্ষক প্রীতি রঞ্জন চৌধুরী, নিবাস চক্রবর্তী, রানু মালাকার ও দিনেশ বৈদ্যসহ কয়েকজন বেঁচে যান।
সমস্ত দিন-রাত পোঁড়া, অর্ধপোঁড়া লাশ গুলো পড়ে থাকে। পরদিন সকালে আবার কয়েকজন পাকিস্তানি সৈন্য ঘটনাস্থলে এসে মৃত দেহগুলোকে বুরুঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে (বর্তমান গণকবরে) একটি গর্ত খুঁড়ে মাটি চাঁপা দেয়। গত বছর গণকবরে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়।
২০১১
সালে মানবতা বিরোধী অপরাধ দমন
ট্রাইব্যুনালের ৪ সদস্যের একটি দল গণকবরটি
পরিদর্শন করে গণ হত্যার
প্রত্যক্ষদর্শী ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে এই নারকীয় ঘটনার বর্ণনা শ্রবণ করেন। সাক্ষ্য
প্রমাণে স্থানীয় কিছু রাজাকারের সম্পৃক্ততার সত্যতা
খুঁজে পায় তদন্ত দলটি। তবে
রাজাকারদের কেউ আজ বেঁচে নেই।
এদিকে রোববার গণহত্যা দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন স্থানীয় সাংসদ শফিকুর রহমান চৌধুরী।
প্রতিবেদন : এম মহসীন, জেলা প্রতিনিধি, সিলেট
সম্পাদনা : সজল বি রোজারিও
এমএম/এসআর-২৬/৫-১
এদিকে রোববার গণহত্যা দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন স্থানীয় সাংসদ শফিকুর রহমান চৌধুরী।
প্রতিবেদন : এম মহসীন, জেলা প্রতিনিধি, সিলেট
সম্পাদনা : সজল বি রোজারিও
এমএম/এসআর-২৬/৫-১
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন