মেহেরপুরের গাছ দাদু

প্রস্তুতি : সারাদেশ (প্রতিমুহূর্ত.কম)

গাছ মানুষের নিঃস্বার্থ বন্ধু। গাছ আমাদের কে অক্সিজেন দেয়, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে। এ কথা ভেবে ৪৫ বছর বয়স থেকে নিজ উদ্যোগে সরকারি জমির উপর গাছ লাগিয়ে আসছেন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আজিজুল হক।

এই দীর্ঘ সময় ধরে তিনি রাস্তার ধারে কয়েক হাজার ফলজ ও বনজ গাছ লাগিয়েছেন। এর পেছনে সরকারি কোনো উদ্যোগ নেই এবং একশ্রেণীর অসাধু মানুষের লোলুপ দৃষ্টির কারণে তার মহতী উদ্যোগ ভেস্তে যাচ্ছে।

মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের পোড়াপাড়া থেকে গাংনী, বাঁশবাড়ীয়া থেকে চিৎলা পর্যন্ত চার কিলোমিটার রাস্তার দুপাশে প্রায় তিন হাজার গাছ লাগিয়েছেন তিনি। এর মধ্যে পোড়াপাড়া থেকে গাংনী পর্যন্ত রাস্তার দুপাশে প্রায় এক হাজার কাঁঠাল গাছ রয়েছে। কাঁঠাল গাছগুলোতে কাঁঠাল ধরছে কয়েক বছর ধরে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, নানা ধরনের ফলজ ও বনজ বৃক্ষের সমারোহ। নিজ হাতে এখনো তিনি গাছের পরিচর্যা করছেন। কিন্তু রাস্তার পাশের গাছগুলোর পাতা ও ডাল-পালা কেটে সাবাড় করছে এক শ্রেণীর অসাধু মানুষ। ডালপালা কাটায় গাছগুলো দুর্বল হয়ে পড়ছে। কয়েকটি স্থানে বেশ কয়েকটি গাছও কেটে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

আজিজুল হক জানান, কিছু পাবার আশায় তিনি এই গাছ রোপণ ও পরিচর্যা করেন না। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ছাড়াও ক্লান্ত পথিককে ছায়াদান করবে আর সেই সঙ্গে পাওয়া যাবে হরেক রকমের ফল এবং সওয়াব। এ কারণেই গাছ রোপণ করেছেন তিনি।

মহতী কাজের কারণে এলাকার মানুষের কাছে ‘গাছ দাদু’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন তিনি। পরিবেশ ও জলাবায়ু ঠিক রাখার জন্য তার এই প্রশংসনীয় উদ্যোগ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অনুকরণীয় হতে পারে।

আজিজুল হকের এ মহতী উদ্যোগকে বাঁচিয়ে রাখতে স্থানীয় প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন এবং তার মতো অনেকেই গাছ রোপণে এগিয়ে আসবেন এমনটিই আশা তার।

প্রতিবেদন : হোসাইন মোহাম্মদ সাগর, জেলা প্রতিনিধি,কুষ্টিয়া
সম্পাদনা: হাসান ইমাম, বিভাগীয় সম্পাদক, সারাদেশ

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সালাহ্উদ্দিন লাভলুর ধারাবাহিক নাটক 'কবুলীয়তনামা'

পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট ২টি গল্প

নাচো নাচো (রিমিক্স)