সিলেটে কাউন্সিলর প্রার্থী বাবলীর আপত্তিকর ভিডিও ফুটেজ নিয়ে তোলপাড়!

প্রস্তুতি : সারাদেশ (প্রতিমুহূর্ত.কম)

সিলেটের সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনকে রেখে কাউন্সিলর প্রার্থী দিবা রাণী দে বাবলীর আপত্তিকর ভিডিও ফুটেজ ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে বিভিন্ন অশ্লীল সাইটে। বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় তৈরি হয়েছে সমগ্র সিলেটে। এ বিষয়ে দায়ের করা হয়েছে একাধিক মামলা।

পর্নো ভিডিও ফুটেজটি তার নিজের নয় জানিয়ে কাউন্সিলর প্রার্থী দিবা রাণী দে বাবলী একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় আসামী করা হয়েছে জনৈক হানিফকে।

মামলায় অভিযুক্ত পলাতক হানিফের ভাই ফয়সাল আহমদ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের কাছে এক আবেদন জানিয়েছেন। আবেদনে ভিডিও ফুটেজ প্রচারের ঘটনায় কাউন্সিলর প্রার্থী দিবা রাণী দে বাবলীর ডিএনএ পরীক্ষার দাবি জানানো হয়েছে।

আবেদনে সম্প্রতি ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন সামাজিক সাইটে দিবা রাণী দে বাবলীর নগ্ন ভিডিও ফুটেজ তার নিজেরই প্রচার দাবি করে বলা হয় ‘অনৈতিক মহিলা’ বাবলী ও তার স্বামী নির্বাচনে সস্তা প্রচার ও প্রতিপক্ষকে ঘায়েলসহ সহানূভুতির ভোট পাওয়ার হীন মানসে নিজেরা একাজ করে অন্যের উপর দোষ চাপাচ্ছে।

আবেদনে আরো অভিযোগ করা হয়, মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার শষাসুতা গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা প্রয়াত সুরেশ রঞ্জন দে’র পুত্র মনিন্দ্রাঞ্জন দে ২০০৪ সালে সিলেটে আসে। নগরীর মীরাবাজার এলাকার মৌসুমী ৯২নং বাসার ভাড়াটিয়া থেকে উপশহরসহ বিভিন্ন স্থানে সেলুনে কাজ করার সময় তৎকালীন জাতীয় মহিলা পার্টির কর্মী দিবা রাণী দে বাবলীর সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তুলে এবং পরে তাকে বিয়ে করে।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, দিবা রাণী দে বাবলী সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের কর্মচারী বিপুল চন্দ্র মন্ডলের মেয়ে । আর এ সুবাদে মনিন্দ্র ও তার স্ত্রী সিলেট নগরীর ভূমিদস্যুদের সাথে গড়ে তুলে ঘনিষ্ঠ  সম্পর্ক। শুরু করে ভূমিখেকোদের কোর্ট দালালী।  জাল দলিল তৈরির মাধ্যমে ভূমিখেকোদের জমি পাইয়ে দেয়ার ব্যবসা শুরু করে। পাশাপাশি স্ত্রী দিবারানী নিজের দেহ ও রূপ-জৌলুস দিয়ে বিভিন্ন মহলকে ম্যানেজ করার কাজে লিপ্ত থাকে। দিবা রানী দে বাবলী যে অনৈতিক মহিলা তার শরীরই এর অকাট্য প্রমান। যে কোন সময় তার দেহের ‘ডিএনএ’ পরীক্ষা করলে স্বামী ছাড়া বিভিন্ন পুরুষের সাথে শারীরিক সম্পর্কের প্রমান মিলবে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।


ফয়সাল আহমদ তার আবেদনে আরো জানান, ২০০৭ সালে মনিন্দ্র  সিলেট নগরীর যতরপুরে শ্রী শ্রী বিশ্বেশ্বর জিউ এর অর্পিত সম্পত্তি একাংশ অবৈধ দখল করে তা বন্দোবস্তের আবেদন করে । বন্দোবস্ত না পেয়ে ২০১০ সালে নগরীর কাষ্টঘর এলাকার প্রয়াত সুরেশ চন্দ্রকে পিতা পরিচয় দিয়ে নন্দাইল সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের একটি দলিল তৈরি করে। এর পর তার দখলে নেয়া অর্পিত সম্পত্তি লিজ প্রদানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন আদালতে একের পর এক মামলা ঠুকে আদেশ গ্রহন করতে থাকে।

মনিন্দ্র মৌলভী বাজারের স্থায়ী বাসিন্দা । সিলেট সিটি কর্পোরেশনের তালিকায় নগরীর যতরপুরে তাদের নামে বাসাবাড়ির কোন হোল্ডিং নেই। মনিন্দ্র নানা ছলচাতুরীর আশ্রয়ে নিজেকে ও তার স্ত্রীকে যতরপুরের স্থায়ী বাসিন্দা সাজিয়ে ভোটার তালিকায় নাম লিখিয়ে নেয়। মনিন্দ্র তার অবৈধ দখলে টিকে থাকতে তার অনৈতিক চরিত্রের স্ত্রীকে ব্যবহার করে নানা ষড়যন্ত্র করে প্রতিপকে নাজেহাল করার পাশিপাশি প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করে থাকে।

সম্প্রতি তার স্ত্রী দিবা রাণী দে’র একটি অশ্লীল ভিডিও ফুটেজ সে নিজে প্রচার করে তার স্ত্রীর প্রতিদ্বন্দ্বি কাউন্সিলর প্রার্থীসহ সরকারের লীজ গ্রহীতাদের হয়রানী করছে । পাশাপাশি নির্লজ্জ প্রচার ও সহানুভুতি ভোট লাভের হীন প্রচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে বলে অভিযোগে প্রকাশ করা হয়। আবেদনে পর্নো ভিডিও ফুটেজ প্রচারে দায়ীদের সনাক্ত করতে দিবা রাণী দে বাবলীর  ডিএনএ পরীক্ষায় উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত দাবি করা হয়।

প্রতিবেদন : এম মহসিন, জেলা প্রতিনিধি, সিলেট
সম্পাদনা : হাসান ইমাম, বিভাগীয় সম্পাদক, সারাদেশ

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সালাহ্উদ্দিন লাভলুর ধারাবাহিক নাটক 'কবুলীয়তনামা'

পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট ২টি গল্প

নাচো নাচো (রিমিক্স)