আজ বুদ্ধ পূর্ণিমা
প্রস্তুতি : জাতীয় (প্রতিমুহূর্ত.কম)
আজ ২৩ মে বৃহস্পতিবার পালিত হচ্ছে বৌদ্ধদের সব থেকে বড় ধর্মীয় উৎসব 'বুদ্ধ পূর্ণিমা'। এ উপলক্ষ্যে দেশের বৌদ্ধ মন্দিরগুলোতে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষ্যে এই ধর্মের অনুসারীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, গৌতম বুদ্ধ শান্তি ও মানবতার মূর্ত প্রতীক। তার সাধনা ছিল এ পৃথিবীকে মানব সমাজের জন্য শান্তির আবাসভূমি হিসেবে গড়ে তোলা। ন্যায়পরায়ণতা, সত্যবাদিতা, পবিত্রতা, আত্মসংযম, শিষ্টাচার, সারল্য, ক্ষমা, দয়া-দাক্ষিণ্য ইত্যাদি গুণাবলি তিনি সমাজে প্রতিষ্ঠা করতে নিরবিচ্ছিন্ন প্রচেষ্টা চালিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, 'গৌতম বুদ্ধ ভয়, লোভ, লালসাকে অতিক্রম করে আজীবন সাম্য, মৈত্রী, ত্যাগ, করুণা ও অহিংসা লালন করেছেন'। গৌতম বুদ্ধের আর্দশকে লালন করে দেশ ও জাতির কল্যাণে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া বলেন, জাতিতে জাতিতে ধ্বংসাত্মক প্রতিযোগিতায় মানব জাতি যখন ছিন্নভিন্ন করছিল তখন মহামতি গৌতম বুদ্ধের অহিংসা, মানব প্রেম ও শান্তির বাণী বিশ্ববাসীকে মহামিলনের পথ দেখিয়ে ছিলেন।
বৌদ্ধদের বিশ্বাস, এই দিনে ধর্মের প্রবর্তক গৌতম বুদ্ধের জন্ম হয়েছিল । তাই এর নাম দেয়া হয়েছে বুদ্ধ পূর্ণিমা। উৎসব উপলক্ষ্যে শাহবাগ মোড় থেকে বর্ণাঢ্য শান্তি শোভাযাত্রা বের করবে বাংলাদেশ বৌদ্ধ সাংস্কৃতিক পরিষদ। শোভযাত্রায় সরকারের মন্ত্রী, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, শিক্ষাবিদ, ধর্মতাত্ত্বিক, ভিক্ষুসংঘ ও সাধারণ মানুষ অংশ নেবে। বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
বৌদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষ্যে গতকাল ২২মে বুধবার সন্ধ্যায় বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ধর্ম গুরু ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের করেন প্রধানমন্ত্রী । তিনি বলেন, প্রত্যেক ধর্মের মানুষ স্বাধীন ভাবে তাদের ধর্ম পালন করবে আমরা সব সময়ই সেই ব্যবস্থা করে দিতে চাই। তিনি আরো বলেন, ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়। ধর্ম যার যার, উৎসব সবার।
শুভেচ্ছা বিনিময় সভায় বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে গত বছর রামুর ঘটনার ক্ষতিগ্রস্থ বৌদ্ধ প্যাগোডা সংস্কারে সরকারের সহযোগীতার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানানো হয়।
প্রতিবেদন রাফি খান
সম্পাদনা : সজল বি রোজারিও
আরকে-২৩/০৫-২
আজ ২৩ মে বৃহস্পতিবার পালিত হচ্ছে বৌদ্ধদের সব থেকে বড় ধর্মীয় উৎসব 'বুদ্ধ পূর্ণিমা'। এ উপলক্ষ্যে দেশের বৌদ্ধ মন্দিরগুলোতে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষ্যে এই ধর্মের অনুসারীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, গৌতম বুদ্ধ শান্তি ও মানবতার মূর্ত প্রতীক। তার সাধনা ছিল এ পৃথিবীকে মানব সমাজের জন্য শান্তির আবাসভূমি হিসেবে গড়ে তোলা। ন্যায়পরায়ণতা, সত্যবাদিতা, পবিত্রতা, আত্মসংযম, শিষ্টাচার, সারল্য, ক্ষমা, দয়া-দাক্ষিণ্য ইত্যাদি গুণাবলি তিনি সমাজে প্রতিষ্ঠা করতে নিরবিচ্ছিন্ন প্রচেষ্টা চালিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, 'গৌতম বুদ্ধ ভয়, লোভ, লালসাকে অতিক্রম করে আজীবন সাম্য, মৈত্রী, ত্যাগ, করুণা ও অহিংসা লালন করেছেন'। গৌতম বুদ্ধের আর্দশকে লালন করে দেশ ও জাতির কল্যাণে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া বলেন, জাতিতে জাতিতে ধ্বংসাত্মক প্রতিযোগিতায় মানব জাতি যখন ছিন্নভিন্ন করছিল তখন মহামতি গৌতম বুদ্ধের অহিংসা, মানব প্রেম ও শান্তির বাণী বিশ্ববাসীকে মহামিলনের পথ দেখিয়ে ছিলেন।
বৌদ্ধদের বিশ্বাস, এই দিনে ধর্মের প্রবর্তক গৌতম বুদ্ধের জন্ম হয়েছিল । তাই এর নাম দেয়া হয়েছে বুদ্ধ পূর্ণিমা। উৎসব উপলক্ষ্যে শাহবাগ মোড় থেকে বর্ণাঢ্য শান্তি শোভাযাত্রা বের করবে বাংলাদেশ বৌদ্ধ সাংস্কৃতিক পরিষদ। শোভযাত্রায় সরকারের মন্ত্রী, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, শিক্ষাবিদ, ধর্মতাত্ত্বিক, ভিক্ষুসংঘ ও সাধারণ মানুষ অংশ নেবে। বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
বৌদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষ্যে গতকাল ২২মে বুধবার সন্ধ্যায় বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ধর্ম গুরু ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের করেন প্রধানমন্ত্রী । তিনি বলেন, প্রত্যেক ধর্মের মানুষ স্বাধীন ভাবে তাদের ধর্ম পালন করবে আমরা সব সময়ই সেই ব্যবস্থা করে দিতে চাই। তিনি আরো বলেন, ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়। ধর্ম যার যার, উৎসব সবার।
শুভেচ্ছা বিনিময় সভায় বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে গত বছর রামুর ঘটনার ক্ষতিগ্রস্থ বৌদ্ধ প্যাগোডা সংস্কারে সরকারের সহযোগীতার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানানো হয়।
প্রতিবেদন রাফি খান
সম্পাদনা : সজল বি রোজারিও
আরকে-২৩/০৫-২
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন