কয়েদীর জীবনে ভালো নেই সঞ্জুবাবা
প্রস্তুতি : বিনোদন (প্রতিমুহূর্ত.কম)
চার দেয়ালের কারাগারের অন্ধকার জীবনে ভালো নেই বলিউডের ‘মুন্নাভাই’। খলনায়ক থেকে মুন্নাভাই। দীর্ঘ ২০ বছরে বদলে গেছে অনেক কিছু। কখনও ভাইগিরি, কখনও গান্ধীগিরি। নবাবের মত এতদিন আয়েশি জীবন কাটিয়েছেন বলিউড সুপারস্টার সঞ্জয় দত্ত। কিন্তু অবশেষে কঠোর বাস্তবের মুখোমুখি হতে হল তাঁকে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে মুম্বাইয়ের টাডা আদালতে আত্মসমর্পনের পর ছোট একটি কামরায় সাধারণ কয়েদিদের সঙ্গে রাখা হয়েছে তাঁকে। ১০ফুট থেকে ১৫ ফুট রুমে নেই আলো বাতাসের তেমন সুবিধাও। তাছাড়া জেলে কারো সাথে তাকে দেখা করতেও দেওয়া হচ্ছে না।
কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস সঙ্গে রাখার অনুমতি পেয়েছেন তিনি। ভগবত গীতা ও হনুমান চলিশা সঙ্গে রাখতে পারবেন সঞ্জয়। বাড়ি থেকে তাঁকে শোয়ার গদি, বালিশ, পাখা, টয়লেটের প্রয়োজনীয় সামগ্রী ও মশার ওষুধ নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে জেল কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও বাড়ি থেকে ওষুধ ও মাঝেমধ্যে জেলে বসে বাড়ির খাবারও খেতে পারবেন সঞ্জয়।
নিজের বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট ছেড়ে এখন থেকে মুন্নাভাইকে থাকতে হবে জেলের ১০ ফুট বাই ১৫ ফুট কুঠুরিতে। সাধারণ কয়েদিদের মত পোশাকে সাড়ে তিন বছর কাটাতে হবে তাঁকে। গলার চেন, আংটি, ব্রেসলেট জমা থাকবে জেল কর্তৃপক্ষের কাছে। জেলের বাকি সব কয়েদিদের সঙ্গেই সকাল ৭টায় দিন শুরু হবে সঞ্জয়ের। লেট নাইট পার্টি ভুলে গিয়ে শুয়ে পড়তে হবে রাত ৯টার মধ্যে। কয়েদীদের মত চা, বিস্কুট, রুটি, তরকারি খেয়ে কাটতে হবে সহস্রাধিক দিন। বছরে মাত্র ৩ থেকে ৪ বার খেতে পারবেন আমিষ খাবার।
২০০৩’র ১৬ মে রাত থেকে আগামী সাড়ে তিন বছর গারদের পিছনে কাটবে তাঁর। মেনে চলতে হবে জেলের সব নিয়মকানুন। সশ্রম কারাদণ্ডে মিলবে দৈনিক মজুরিও। জেলে রান্নাঘরে কাজ করার ভার পড়েছে সঞ্জয়ের উপর। প্রতিদিন মজুরি পাবেন ২৫ থেকে ৫০ টাকা। সশ্রম কারাদণ্ড শেষ হলে যাওয়ার সময় সেই টাকা তাঁর হাতে তুলে দেবে জেল কর্তৃপক্ষ। মোদ্দাকথা সাড়ে তিন বছরের কয়েদীর জীবন কাটাতে হচ্ছে সঞ্জয় দত্তকে। সিনেমার অভিনেতা এবার সতি সত্যি কয়েদীই বনে গেলেন!
প্রতিবেদন ও সম্পাদনা : জামিল আশরাফ খান, নিউজরুম এডিটর
জেএ/১৮/০৫-১
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন