সাভার ট্র্যাজেডি : ২৭৯ মরদেহ উদ্ধার

সাভার ট্র্যাজেডি : ২৭৯ মরদেহ উদ্ধার 

 প্রস্তুতি :  জাতীয় (প্রতিমুহূর্ত.কম/ protimuhurto.com) ---

সাভার রানা প্লাজার ধ্বংস্তুপের নিচ থেকে ২৭৯ মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে ২৬ এপ্রিল শুক্রবার সকাল ১০টা পর্যন্ত । এর মধ্যে ২৫৮টি মরদেহ স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়া হস্তান্তরের অপেক্ষায় ২০টি লাশ এখন সাভার অধর চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় এবং এনাম মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে রাখা হয়েছে।


এখনও অনেক স্বজন প্রিয়জনের অপেক্ষায় অধর চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় ও এনাম মেডিকেল কলেজে ছোটাছুটি করছেন। তারা জানেন না, আপনজনটি বেঁচে আছে নাকি মারা গেছে। জীবিত বা মৃত, যা হোক না কেন তারা নিখোঁজ প্রিয়জনের মুখ দেখতে চান।

উদ্ধার কর্মকাণ্ডে অংশ নেওয়া নবম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি চৌধুরী হাসান সোহরাওয়ার্দী  জানান, আজ ২৬ এপ্রিল শুক্রবার পর্যন্ত জীবতদের উদ্ধার অভিযান চলবে। তারপর জীবিত আর কারো আটকে থাকার সম্ভাবনা কমে যাবে। তাই শুক্রবারের পর থেকে কেবল লাশ উদ্ধার অভিযান চলবে।


উদ্ধারকারীরা বলছেন, বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত ৩৭২ জনের সন্ধান না পাওয়ার কথা জানিয়েছে স্বজনরা। আর এ পর্যন্ত রানা প্লাজার ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে প্রায় দুই হাজার মানুষকে।

এখনও ধসে যাওয়া ভবনের নিচে অসংখ্য মানুষ আটকা পড়ে আছেন। তাদের উদ্ধারে তৎপর রয়েছে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, আনসার, র‌্যাব, পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন

ধসে পড়া ভবনটির মালিক স্থানীয় যুবলীগ নেতা সোহেল রানা স্তুপের নিচে আটকে ছিলেন। পরে তাকে উদ্ধার করা হলে তিনি পুলিশের সহায়তায় এলাকা ত্যাগ করেন। তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।

রানা প্লাজার প্রথম ও দ্বিতীয় তলায় বিপণী বিতান এবং তৃতীয় থেকে অষ্টম তলা পর্যন্ত পোশাক কারখানা ছিলো। এগুলো হলো- নিউ ওয়েভ বটমস লিমিটেড, নিউ ওয়েভ স্টাইল, নিউ ওয়েভ অ্যাপারেলস, ফ্যান্টম অ্যাপারেলস লিমিটেড, ফ্যান্টম ট্যাক লিমিটেড ও ইথার টেক্সটাইল লিমিটেড। এসব ফ্লোরের পাঁচটি কারখানায় কয়েক হাজার শ্রমিক কাজ করতেন। নবম তলার নির্মাণ কাজ চলছিল।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সালাহ্উদ্দিন লাভলুর ধারাবাহিক নাটক 'কবুলীয়তনামা'

পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট ২টি গল্প

নাচো নাচো (রিমিক্স)