নারী কাবাডির ফাইনালে মারামারি-হাতাহাতি

 নারী কাবাডির ফাইনালে মারামারি-হাতাহাতি



 প্রস্তুতি :  স্পোর্টস (প্রতিমুহূর্ত.কম/ protimuhurto.com) ---

বাংলাদেশ গেমসে ২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার ছিল নারী কাবাডির ফাইনাল। বিজেএমসি ও আনসারের মধ্যকার ফাইনাল খেলার পর ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্বে থাকা রেফারিদের ওপর হামলা চালিয়েছেন সমর্থকরা।

বিজেএমসি ও আনসারের মধ্যকার নারী কাবাডির ফাইনালে হেরে যায় আনসার। এরপরই ঘটনার সূত্রপাত। নারীদের কথা কাটাকাটি দিয়েই উত্তপ্ত হয়ে উঠে পরিবেশ। গ্যালারি থেকে পোশাক পরিহিত এবং সাদা পোশাকের আনসার সদস্যরা লাফিয়ে নেমে আসেন মাঠে। চেয়ার তুলে আঘাত করতে থাকেন দায়িত্বরত দুই আম্পায়ারকে। যে যেভাবে পেরেছে হাত চালিয়েছে তাদের ওপর।

রেফারি ছাড়াও আহত হয়েছেন বিজেএমসির তিন খেলোয়াড় ফাতেমা আকতার শীলা, মাসুমা জান্নাত ও শাহিন আরা বৃষ্টি। খেলা শেষে মাসুমা বলেন,‘আমার মাথায় চেয়ার ছুড়ে মারে। আর এসে সরাসরি লাগে আমার কাঁধে। আমি দেখেছি শাহিন আরা বৃষ্টির হাতে কামড়ে দিয়েছেন আনসারের অধিনায়ক মালেকা।’

উপস্থিত দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানান, আম্পায়ারকে পেটাতে গিয়েই আনসারদের কেউ কেউ আহত হয় নিজ দলের সদস্যদের আঘাতে। কিন্তু আহত আনসার সদস্যদের কয়েকজনের দাবি অন্যরকম,‘আমরা রেফারি এবং আম্পায়ারদের পক্ষপাতিত্বের প্রতিবাদ করতে গেলে কে বা কারা পেছন থেকে আঘাত করে। তারা কারা আমরা জানি না।’

বিজেএমসির পরিচালক আরিফ খান জয় বলেন, ‘খেলা শেষ হওয়ার পর আমাদের খেলোয়াড়দের ওপর যেভাবে হামলা চালানো হয়েছে। তাতে আমরা নিরাপত্তার অভাববোধ করছি। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা না হলে পরের খেলায় অংশ নেবো না আমরা। যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের শাস্তির দাবি করছি।’
 
এ বিষয়ে বাংলাদেশ আনসারের উর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা জানান, ‘ আমরা খেলার শুরু থেকেই এগিয়ে ছিলাম। কিন্তু রেফারি টাকা খেয়ে ওদের জিতিয়ে দিয়েছে।’
 
রেফারি আমজাদ বলেন,‘ খেলায় তারা হেরেছে বলেই এমন অভিযোগ করছে। এটা ভিত্তিহীন। ম্যাচে কোনো সমস্যা ছিল না। এমনটা হলে খেলোয়াড়রা আপত্তি জানাতো। খেলার মাঝে তারা কোনো কথা বলেনি। কিন্তু ম্যাচ শেষে তারা পরিকল্পিতভাবে আমাদের ওপর হামলা করে।’
 



কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বলছেন,‘খেলার মাঠে এমনটা হয়েই থাকে। ফুটবল মাঠে এরচেয়েও বড় ঘটনা ঘটতে দেখা যায় আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচে। কারণ খেলায় পরাজয় মেনে নিতে পারে না কেউ। তারপরেও একটি সুশৃঙ্খল বাহিনীর কাছ থেকে এমনটা আশা করা যায় না। সর্বোপরি দেশের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করেন তারা। আরও ধৈর্যশীল হওয়া প্রয়োজন ছিল তাদের।’

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সালাহ্উদ্দিন লাভলুর ধারাবাহিক নাটক 'কবুলীয়তনামা'

পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট ২টি গল্প

নাচো নাচো (রিমিক্স)