বাড়ছে ভবন ধস, বাড়ছে প্রাণহানী

বাড়ছে ভবন ধস, বাড়ছে প্রাণহানী 


প্রস্তুতি : জাতীয় (প্রতিমুহূর্ত.কম/ protimuhurto.com) ---
 

নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে অপরিকল্পতভাবে মানহীন নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে রাজধানী ও তার আশেপাশে চলছে বহুতল ভবন নির্মাণ। ভবন ধসের জন্য ভূমিকম্পের তাই প্রয়োজন পড়ে না। ত্রুটিপূর্ণ নির্মাণের কারণে কয়েক বছর যেতেই ধসে পড়ছে ভবন। অকালে প্রাণ হারাচ্ছে মানুষ। অনেকেই বরণ করছে পঙ্গুত্ব।

পুলিশের পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, গত ১৮ বছরে (১৯৯৫-২০১৩) দেশে ভবন ধসের ঘটনায় দেড় শতাধিক ব্যক্তির জীবনহানি ঘটেছে। আহত হয়েছেন পাঁচ সহস্রাধিক। এদের মধ্যে অনেকে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। বিশেষ করে ইমারত ভবন ধস ও জানমালের বিশাল ক্ষয়ক্ষতির কারণে রাজধানী ঢাকা ইতিমধ্যেই ঝুঁকিপূর্ণ নগরীতে পরিণত হয়েছে।

১৯৯৭ সালে কলাবাগানে ভবন ধসে ৭ জন, ২০০২ সালে শাহজাহানপুর ঝিলপাড় এলাকায় ভবন ধসে ৪ জন, ২০০৪ সালে শাঁখারীবাজারে ভবন ধসে ১৭ জন, ২০০৫ সালে সাভারের বাইপাইলে স্পেকট্রাম গার্মেন্টস ভবন ধসে ৩৮ জন, ২০১০ সালে তেজগাঁওয়ের বেগুনবাড়ি বস্তিতে ভবন ধসে ২৫ জন মারা যায়।

২০১১ সালে আশুলিয়া নরসিংহপুরে শারমিন গ্রুপের ভবন ধসে একজন নিহত ও ১১ জন শ্রমিক আহত হন। সর্বশেষ বুধবার সাভার বাজারে রানা প্লাজা ভবন ধসে এ পর্যন্ত প্রায় দেড়শ' লোকের নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছ। যা এ যাবৎকালের সবচেয়ে ভয়াবহ।

জানা গেছে, ১৯৯৭ সাল থেকে বিভিন্ন সময়ে রাজধানীতে অর্ধশত ভবন হেলে পড়েছে না হয় ফাটল ধরেছে। এরমধ্যে বাসাবোর ঝিলপাড়ের একটি ভবন, ২০১১ সালে দক্ষিণখানের একটি ভবন, ২০১২ সালে নাখালপাড়া, গেণ্ডারিয়ায় ভবন ধস, শান্তিনগরে কনকর্ড গ্র্যান্ড টাওয়ারে ফাটলের ঘটনা উল্লেখযোগ্য।

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্নস্থানে ইমারত ধস ও ফাটলের এসব ঘটনা ভাবিয়ে তুলেছে দেশের ইমারত বিশেষজ্ঞদের।

এসব ঘটনায় বিভিন্ন সময়ে তদন্ত কমিটি গঠিত হলেও সেগুলোর রিপোর্ট আলোর মুখ দেখেনি। এছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ ইমারত বা স্থাপনা চিহ্নিতকরণে টাস্কফোর্স হলেও ঝুঁকিপূর্ণ ভবন নির্মাণ বন্ধ হয়নি।
২০১০ সালে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন মতে, রাজধানীতে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের সংখ্যা প্রায় ৮০ হাজার। অন্যদিকে দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের হিসাব মতে, রাজধানীতে ঝুঁকিপূর্ণ ইমারতের সয়খ্যা ৭২ হাজার।

ইমারত বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের ঝুকিপূর্ণ ভবন ৬ থেকে ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে ধসে পড়ে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সালাহ্উদ্দিন লাভলুর ধারাবাহিক নাটক 'কবুলীয়তনামা'

পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট ২টি গল্প

নাচো নাচো (রিমিক্স)