নারীবাদ বনাম নারী স্বাধীনতা

নারীবাদ বনাম নারী স্বাধীনতা


 প্রস্তুতি : নারী (প্রতিমুহূর্ত.কম/ protimuhurto.com)

আমরা অনেকেই নারীবাদ আর নারী স্বাধীনতা বিষয়টি এক করে ফেলি। কিন্ত এ দুটি বিষয়ের মধ্যে আছে বিস্তর ফারাক।



সহজভাবে নারীবাদ বলতে বোঝায়, আজকের পুরষতান্ত্রিক সমাজে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছে পুরুষেরা তা পাল্টে দিয়ে পুরুষের ভূমিকায় নারীর অবরতীর্ণ হওয়া। যেখানে নারীই হবে সমাজের নিয়ন্ত্রক আর পুরুষরা হবে নিয়ন্ত্রিত। অন্যদিকে নারী স্বাধীনতা বলতে বোঝায়, নারীর মানবিক অধিকার প্রতিষ্ঠা। যে সমাজ ব্যবস্থায় একজন পুরুষ সমাজে নিজের দক্ষতা আর মেধার যে মর্যাদা পায়, তেমনি নারীও পাবে সমান মর্যাদা আর গুরুত্ব।



এ দেশে নারীর অধিকার অর্জনে কিংবদন্তি বেগম রোকেয়া আর সুফিয়া কামাল কখনোই নারীবাদে বিশ্বাস করতেন না। তারা বিশ্বাস করতেন নারী স্বাধীনতায়। যে সমাজে নারীপুরুষের থাকবে সমান অধিকার। পুরুষ নারীকে সম্মানের চোখে দেখবে, নারীও পুরুষকে দেবে যথার্থ সম্মান। কেউ কাউকে হেয় করবে না। সবাই কাঁধে কাধ মিলিয়ে কাজ করবে, একে অন্যকে সহযোগিতা করবে। একে অন্যের প্রতি সম্মান বজায় রাখবে। এরকম একটি সম-অধিকারের সমাজই ছিল বেগম রোকেয়া আর সুফিয়া কামালের স্বপ্ন।



নারীবাদ হলো পাশ্চাত্যের উগ্র মতবাদ। যদিও বলা হয়ে থাকে, একজন মানুষ হিসেবে নারীর পূর্ণ অধিকারের দাবি হলো নারীবাদ। কিন্তু এ তত্ত্বের আড়ালে আছে, পুরষের বিরুদ্ধে নারীর প্রাধান্য স্থাপন। পুরুষতন্ত্রের ঠিক বিপরীতে যার অবস্থান।



আজকের আধুনিক নারীরা তাই ‘নারী স্বাধীনতা’-তে বিশ্বাস করে, নারীবাদের উগ্র তত্বে নয়। নারী স্বাধীনতা সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাবে আর নারীবাদ নিয়ে যাবে পেছনের দিকে।



লেখক : লতিফা লতা, ফেলো, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সালাহ্উদ্দিন লাভলুর ধারাবাহিক নাটক 'কবুলীয়তনামা'

পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট ২টি গল্প

নাচো নাচো (রিমিক্স)