টেইলরের ব্যাটে ভর করে জিম্বাবুয়ে ৪ উইকেটে ২১৭

 টেইলরের ব্যাটে ভর করে জিম্বাবুয়ে ৪ উইকেটে ২১৭


প্রস্তুতি : স্পোর্টস (প্রতিমুহূর্ত.কম/ protimuhurto.com)

ম্যাচের শুরুটা দারুণভাবে হয়েছিল টাইগারদের, কিন্তু সেই ধারাবাহিকতা বেলা গড়াবার সাথে সাথে আর ধরে রাখতে পারে নি।  টেইলরের সেঞ্চুরির সুবাদে দিন শেষে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ২১৭ রান।

 টস জিতে স্বাগতিক জিম্বাবুয়েকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানান মুশফিক। মাত্র ১০ রানে ১ উইকেট, ২২ রানে ২ উইকেট আর ৬৫ রানে ৩ উইকেট শিকার করে দিনটা নিজেদের করার ইঙ্গিত দিয়েছিল টাইগাররা। কিন্তু চতুর্থ উইকেট জুটিতে টেইলর আর ওয়ালার করা ১২৭ রানের জুটি দিন  শেষে মুশফিকদের হাসিমুখ কিছুটা হলেও ম্লান করে দিয়েছে। ক্যারিয়ারে তৃতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি করে  ফেলেছেন টেইলর। আর এই টেইলরে ভর করে স্বাগতিকরা ভালোই লড়ছে।


ব্যক্তিগত ৩৬ রানে টেইলরের ক্যাচ মিসের খেসারত দিতে হচ্ছে বাংলাদেশ। টেইলরের ক্যাচ মিস না করলে দিনটি বাংলাদেশেরই হতো। কারণ দিনের শুরুতে সফরকারী দলের পেসারদের আক্রমণে দিশেহারা ছিল জিম্বাবুয়ের টপ অর্ডার।  চা-বিরতির আগে তারা ৩ উইকেট হারিয়ে তুলতে পেরেছিল ১২১ রান। পরে টেইলরের সুবাদে সেই রান দিন শেষে গিয়ে দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ২১৭।


১৭ এপ্রিল বুধবার বাংলাদেশ সময় বেলা দুইটায় হারারে স্পোর্টিং ক্লাব গ্রাউন্ডে জিম্বাবুয়ে সফরে দুই টেস্টের প্রথম ম্যাচটি আজ বুধবার বাংলাদেশ সময় বেলা দুইটায় শুরু হয়।


বাংলাদেশ অধিনায়ক মুশফিক টস জিতে জিম্বাবুয়েকে ব্যাট করতে আমন্ত্রণ জানিয়ে ভুল করেননি, তা বোলাররা প্রমাণ কেরতে দেরি করেননি। জিম্বাবুয়ে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১০ রানে প্রথম উইকেট হারায়। পেসার রবিউল ইসলামের ডেলিভারি ওপেনার সিবান্দার মিডল স্ট্যাস্প ভেঙে দেয়। এরপর আরেক ওপেনার মুরুমার  সঙ্গে জুটি গড়েন মাসাকাদজা। তবে দ্বিতীয় উইকেট পতনেও  বেশি সময় লাগেনি। দলের ২২ রানে ওপেনার মুরুমা ব্যক্তিগত ১০ রানে রবিউলের বলেই এলবির ফাঁদে পড়েন। এরপর তৃতীয় উইকেটে অভিজ্ঞ মাসাকাদজা ২৫ রান করে স্পিনার এনামুল হক জুনিয়রের বলে দ্বিতীয় স্লিপে মাহমুদউল্লাহর হাতে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নিলে জিম্বাবুয়ে অনেকটা চাপে পড়ে।



কিন্তু চতুর্থ উইকেটে টেইলর ও ওয়ালা জুটি ৫৬ রান যোগ করে চাপ কাটিয়ে  নেন। চা-বিরতির আগে দলের সংগ্রহ ৬৫ থেকে ১২১ নিয়ে যান এই জুটি। চা-বিরতির পর দিনের বাকি সময় জিম্বাবুয়ে ধীরে ধীরে নিজেদের মেলে ধরে।


দলের ৯৫ রানে এনামুলের বলে টেইলর তুলে মারলে ফিল্ডার শাহরিয়ার নাফীস বল ধরে তা হাতে রাখতে পারেননি। ফলে বেঁচে যান টেইলর। আর বেঁচে যায় জিম্বাবুয়ে। চা-বিরতির আগে হাফ সেঞ্চুরি করা টেইলর পরে সেঞ্চুরি করেন। এই জুটি দলের স্কোর নিয়ে যায় ১৯২ পর্যন্ত। ৫৫ রান করা ওয়ালা পেসার রুবেলের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান। তবে অটল ছিলেন টেইলর। টেইলের তৃতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি পূর্ণ হওয়ার কিছুক্ষণ পরই প্রথম দিনের খেলা শেষ হয়। ওয়ালার পরে ক্রিজে নামা জিগুম্বুরা ৬ রানে আর টেইলর ১০৫ রানে ব্যাট অপরাজিত।


১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দিনের শুরুতে যদি বাংলাদেশ টপাটপ কয়েকটা উইকেট না নিতে পারে তাহলে জিম্বাবুয়ের রানের বোঝা টাইগারদের ঘাড়ে চেপে বসতে পারে।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সালাহ্উদ্দিন লাভলুর ধারাবাহিক নাটক 'কবুলীয়তনামা'

পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট ২টি গল্প

নাচো নাচো (রিমিক্স)