বিতর্কিত অংশবিশেষ: কী আছে একে খন্দকারের বইতে?


 
:: প্রতিমুহূর্ত এক্সক্লুসিভ ::

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বাংলাদেশ বাহিনীর ডেপুটি চিফ অব স্টাফ ও আওয়ামী লীগের সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) একে খন্দকারের লেখা ‌বই '১৯৭১: ভেতরে-বাইরে'। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালের অভিজ্ঞতা ও পর্যবেক্ষণের কথা তিনি বইটিতে তুলে ধরেছেন। এই বইটি নিয়ে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে তোলপাড়।

বইটিতে একে খন্দকারের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করার অভিযোগ এনে তীব্র সমালোচনা করেছেন সংসদ সদস্যরা। তাকে ‘কুলাঙ্গার’, ‘অকৃতজ্ঞ’ ও ‘খন্দকার মোশতাকের অনুগত’ আখ্যায়িত করে  রাষ্ট্রদ্রোহী হিসেবে শাস্তি ও বইটি বাজেয়াপ্তের দাবি জানান  রকার, বিরোধী দল ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা। থেমে সংসদের বাইরে বিতর্ক। আওয়ামী লীগের সাবেক এ মন্ত্রী পক্ষে কথা বলছেন বিএনপির নেতারা। আর ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ থেকে শুরু করে তৃণমুল পর্যায়ের নেতারা ফেটে পড়েছেন ক্ষোভে।

কী লিখেছেন একে খন্দকার '১৯৭১: ভেতরে-বাইরে' বইটিতে? গত ৩ সেপ্টেম্বর প্রথমা প্রকাশন থেকে প্রকাশিত হয় বইটি। এদিন রাজধানীর বেঙ্গল গ্যালারিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে বইটির প্রকাশনা উৎসব। ইতিহাসবিদ সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বইটিকে অকপট ও বস্তুনিষ্ঠ বলে উল্লেখ করে বক্তব্য রাখেন  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ডা: সারওয়ার আলী এবং যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তবে কী বইয়ের বিতর্কিত বিষয়গুলো না পড়েই বক্তব্য রেখেছেন উল্লেথিত গুনিজনরা। আর যারা বইটির পক্ষে বিপক্ষে বিতর্কে মেতে ওঠেছেন তারা সবাই কী বইটি পড়েছেন? নাকি লোক মুখে শুনে 'চিলে কান নিয়েছে'-এর মতোই হুজুগে মেতে একে খন্দকারের সমালোচনা করছেন!

‘১৯৭১ : ভেতরে বাইরে’ বইয়ে একে খন্দকার মুলত বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের জন্য রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রস্তুতি ছিল না। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের বক্তব্যের কথা বলতে গিয়ে লেখক এ কথাটিই বলার চেষ্টা করেছেন যে, সেদিন বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার বিষয়ে যেসব কথা বলেছেন তা আসলে বাস্তবে পরিণত করার মতো প্রস্তুতি রাজনৈতিক নেতাদের ছিল না।

একে খন্দকারের লেখা ‘১৯৭১: ভেতরে বাইরে’ বইয়ের বিতর্কিত কিছু অংশ প্রতিমুহূর্ত ডটকমের পাঠকের কাছে তুলে ধরা হলো-

একে খন্দকার লিখেছেন, ‌‌‘ফেব্রুয়ারি মাসের বিভিন্ন ঘটনা দেখে আমার মনে হয়েছিল, পাকিস্তানিরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বা আওয়ামী লীগের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে না। ইতিমধ্যেই তারা গোপনে পূর্ব পাকিস্তানে সৈন্য নিয়ে আসা শুরু করে। পাকিস্তানিদের এ ধরনের খারাপ মতলব বা কর্মকাণ্ড সাধারণ মানুষ বা রাজনৈতিক নেতাদের পক্ষে জানা সম্ভব ছিল না। এমনকি বাঙালি সামরিক কর্মকর্তাদের কাছেও বিষয়টা খুব গোপন রাখা হতো। সম্ভবত বাঙালি হিসেবে আমিই প্রথম পশ্চিম পাকিস্তান থেকে সৈন্য নিয়ে আসার বিষয়টি বুঝতে পেরেছি।’

বইটির ৩১ ও ৩২ পৃষ্ঠায় এ কে খন্দকার লিখেছেন, “সাতই মার্চের ভাষণের দিন ক্যান্টনমেন্টের ভেতরের পরিস্থিতি বেশ ..............



# বাকি অংশ পড়তে ক্লিক করুন এখানে >  বিতর্কিত অংশবিশেষ: কী আছে একে খন্দকারের বইতে?

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সালাহ্উদ্দিন লাভলুর ধারাবাহিক নাটক 'কবুলীয়তনামা'

পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট ২টি গল্প

নাচো নাচো (রিমিক্স)