কেমন কাটলো এবারের পহেলা বৈশাখ?
মোঃ আল আমিন হাওলাদার
শাহজাদপুর, গুলশান, ঢাকা
এবারের পহেলা বৈশাখটা কাটিয়েছি আমার দুই মামনিকে নিয়ে, সঙ্গে ছিল ওদের মা। সূর্য যখন পশ্চিমে হেলে পড়েছে হেঁটে হেঁটে পৌছালাম গুলশান ইয়ুথ ক্লাব মাঠে। বাচ্চারা ইচ্ছে মতো ছোটাছুটি করলো। ওদের মা বললো, বাসায় ফেরার জন্য আজকে তাড়া দিবে না। ওরা যতক্ষণ খুশি খেলবে। যা খুশি তাই করবে। আজকের দিনটা ওদের।
গুলশানের পুরনো ওয়ান্ডারল্যান্ড পার্কে চলছিল বৈশাখী মেলা। মেলামঞ্চে চলছিল গানের অনুষ্ঠান। মাইক্রোফোন হাতে গান গাইছিলেন মোস্তফা জামান আব্বাসী। হঠাৎ গান থামিয়ে তিনি বললেন, দর্শক সারিতে আছেন ঢাকা উত্তরের মেয়র আনিসুল হক এবং তার স্ত্রী রুবানা হক। রুবানা হকের আরো একটা পরিচয় হলো, সে আমার মেয়ে। অাজকের এই বৈশাখী আয়োজনে আমরা রুবানা হকের কাছ থেকে একটা গান শুনতে চাই। তাকে গান গাওয়ার সম্মানী হিসেবে আমি ১০০ টাকাও দেবো। মোস্তফা জামান আব্বাসীর কথায় দর্শক সারিতে তুমুল করতালি ওঠলো।
এরিন ও জেরিন |
ধনধান্য পুষ্প ভরা আমাদের এই বসুন্ধরা
তাহার মাঝে আছে দেশ এক সকল দেশের সেরা
ও সে স্বপ্ন দিয়ে তৈরি সে যে স্মৃতি দিয়ে ঘেরা
এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি
সকল দেশের রাণী সে যে আমার জন্মভূমি
সে যে আমার জন্মভূমি, সে যে আমার জন্মভূমি ॥
একসময় আমরা সবাই তার সঙ্গে গাইতে শুরু করলাম। আমার দুই টুইন বেবী এরিন আর জেরিনও গাইলো গানটি। মনটা আমার আনন্দে ভরে ওঠলো।
এরপর মোস্তফা জামান আব্বাসী নিজেই গাইলেন অসম্ভব সুন্দর একটা রবীন্দ্র সঙ্গীত-
ফিরে চল্, ফিরে চল্, ফিরে চল্ মাটির টানে-
যে মাটি আঁচল পেতে চেয়ে আছে মুখের পানে
যার বুক ফেটে এই প্রাণ উঠেছে, হাসিতে যার ফুল ফুটেছে রে,
ডাক দিল যে গানে গানে ॥
পরিবারের সঙ্গে পহেলা বৈশাখ কাটিয়ে আমার মনে হলো, আমি বুঝি ফিরে এসেছি মাটির টানে। আমার জীবনের সবচেয়ে স্মরণীয় বাংলা নববর্ষ পালন করলাম এবারই। জানি না, আগামী পহেলা বৈশাখ কেমন কাটবে? কোনো মানুষই জানে না, আগামী দিন কেমন কাটবে, কী ঘটবে!
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন