পোস্টগুলি

2025 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

অনলাইনে জুয়ার ফাঁদ, নিঃস্ব হাজারো মানুষ

ছবি
তথ্যপ্রযুক্তির আশীর্বাদ একদিকে যোগাযোগ-কেনাকাটাসহ অনেক কিছুই হাতের মুঠোয় এনে দিয়েছে, অন্যদিকে এর অপব্যবহার অনেকের জীবনে সর্বনাশের গাঢ় ছায়াও ফেলেছে। সেই সর্বনাশা ছায়াটি হলো অনলাইন জুয়া। বাংলাদেশে জুয়া নিষিদ্ধ, তবুও তা চলছে। বিশেষ করে অনলাইনে জুয়াখেলা ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। প্রতারণার এই ফাঁদে হাজারো মানুষ নিঃস্ব হচ্ছে। একবার এই ফাঁদে পা রাখলে প্রলোভনের জাল ছিড়ে বের হয়ে আসা খুবই কঠিন। অনলাইনে জুয়া চলে সহজলভ্য অ্যাপসের মাধ্যমে।যে কেউ চাইলেই তার স্মার্ট ফোনে অ্যাপ আপ করে কিংবা ব্রাউজারে লিংক ব্যবহার করে অ্যাকাউন্ট খুলে এই জুয়ার আসরে ঘরে বসেই যোগ দিতে পারে। এতে লেনদেন হয় মোবাইল ব্যাংকিং অর্থাৎ বিকাশ, নগদ বা রকেটের মাধ্যমে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিজ্ঞাপন বা এজেন্টদের পোস্টের মাধ্যমে অনলাইনে জুয়ার ফাঁদ পাতা হয়। লোভের ফাঁদে ফেলতে সোশাল মিডিয়ায় ডেমো অ্যাকাউন্টে কয়েকগুণ বেশি লাভ দেখিয়ে ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হয়। লোভ দেখানো হয় লাখপতি হওয়ার! অ্যাপসগুলোতে এমনভাবে সফটওয়ার সাজানো থাকে, যাতে শুরুতে হয়তো সামান্য লাভ পাওয়া যায়। পরে আরো লাভের আশায় যখন কেউ আরও টাকা বিনিয়োগ করে তখনই শুরু হয় লুটে নেওয়া। হারানো টা...

কালের ধূলোয় বিলীন অনন্য নির্মাণশৈলীর নিদর্শন কলমা জমিদার বাড়ি

ছবি
বহু বছর আগেই জমিদারদের জমিদারিত্ব শেষ হয়ে গেছে। তবে দেশের আনাচেকানাচে এখনও ছড়িয়ে ছিটিয়ে তাদের স্মৃতিচিহ্ন- জমিদারদের ধসে পড়া প্রাসাদ, বিলাসীভবন। কালের ধূলোয় ইতিহাসের স্বাক্ষী হয়ে টিকে আছে ভবনগুলোর ধংসাবশেষ। এসব ভবনের প্রায় সবই এখন পরিত্যাক্ত, বসবাসের অযোগ্য। এমনই একটি ভবন লক্ষীকান্তের জমিদার বাড়ি। বিক্রমপুর মানে আজকের মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার কলমা গ্রামে এর অবস্থান।   বিক্রমপুর একসময় ছিল সমৃদ্ধ জনপদ।দক্ষিণপূর্ব বঙ্গের প্রাচীন রাজধানী। অবশ্য মূল শহরের ধ্বংসাবশেষ পদ্মার গ্রাসে বিলীন হয়ে গেছে অনেক আগেই। তবুও মুন্সীগঞ্জের নানাপ্রান্তে এখন টিকে আছে সেই পুরনো বিক্রমপুরের কিছু ভবনের ধ্বংসাবশেষ। এ অঞ্চলের বিখ্যাত বালাসুর ও ভাগ্যকূলের জমিদার বাড়ির তুলনায় প্রায় অপরিচিত কলমার লক্ষীকান্তের জমিদার বাড়ি। অপরূপ কারুকাজ আর ভবনের দেয়ালে লেখা বাণীর জন্য এটি আলাদা বৈশিষ্ট্যময় । এই বাণী থেকে পরিচয় মিলে এই জমিদারের শিক্ষা ও রুচির গভীরতা । কলমার জমিদার বাড়িটি ১৯৮৯ পর্যন্ত ব্যবহার হয়েছে পাশের এল কে স্কুলের শিক্ষকদের নিবাস হিসাবে । এখন এটি   সম্প...

৫ আগস্ট স্ত্রীসহ পাঁচ ঘণ্টা বাথরুমে লুকিয়ে ছিলেন ওবায়দুল কাদের

ছবি
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের দিন ৫ আগস্ট প্রাণ বাঁচাতে পাঁচ ঘণ্টা বাথরুমে লুকিয়ে ছিলেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ভারতের সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াল’র এক্সিকিউটিভ এডিটর অমল সরকারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে একথা জানান তিনি। শেখ হাসিনার পতনের পর এই প্রথম গণমাধ্যমে কথা বলেন দলটির তিনবারের সাধারণ সম্পাদক। সেদিনের কথা জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি খুবই ভাগ্যবান। সেদিন হয়তো আমার বেঁচে থাকারই কথা ছিল না। আমার নিজের বাসা ছেড়ে পাশের একটি বাড়িতে আশ্রয় নিই। চারদিক থেকে মিছিল আসছিল। হঠাৎ করে তা সংসদ এলাকা ঘিরে ফেলে। শুরু হয় লুটপাট। তিনি বলেন, যে বাসায় ছিলাম, সেখানেও হামলা হয়। তারা জানত না আমি সেখানে আছি। আমি স্ত্রীসহ বাথরুমে লুকাই। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা বাথরুমে অবস্থান করি। একসময় তারা বাথরুমে ঢুকতে চায়। আমার স্ত্রী বারবার বলেন আমি অসুস্থ। পরে বাধ্য হয়ে দরজা খুলে দিই। তখন কয়েকজন ছেলে ঢোকে, মুখে মাস্ক, হাতে লাল পতাকার ব্যাজ। প্রথমে তারা উত্তেজিত ছিল, কিন্তু আমাকে দেখে আচমকা আচরণ বদলে যায়। তারা সেলফি তোলে, ছবি তোলে। কেউ কেউ বলেছিল সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দিতে। আবার কেউ জনতার হাতে। ওবায়দুল ক...

সান্ডা আর গুইসাপ নিয়ে হঠাৎ কেন শোরগোল?

ছবি
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কল্যাণে যে কোনো ঘটনাই এখন দ্রুত দেশ থেকে দেশে ছড়িয়ে পড়ে। সম্প্রতি  প্রবাসী বাংলাদেশিদের ‘সান্ডা শিকার’  এর কিছু ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।  ভিডিওগুলোতে দেখা যাচ্ছে, মরুর বালির মধ্যে প্রবাসীরা দৌড়ে বেড়াচ্ছেন সান্ডা ধরতে। কেউ বলছেন, ‘ভাই, এই সান্ডা না ধরতে পারলে চাকরি যাবে’, আবার কেউ বলছেন, ‘কফিল বলেছে, সান্ডা না পেলে ভিসা ক্যানসেল।’ এই ভিডিওগুলো তারা যে মজা করে বানিয়ে পোস্ট করেছেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। অদ্ভূত প্রাণী সান্ডাকে এই ভিডিওগুলোই আলোচনায় নিয়ে এসেছে।  এরই মধ্যে আমাদের রংপুরের পীরগাছায় সান্ডা ভেবে একটি গুইসাপ আটকে রেখে তা খাওয়ার আয়োজন করার খবর পাওয়া যায়।  পরে অবশ্য গুইসাপটিকে নিরাপদ স্থানে অবমুক্ত করা হয়। গত শুক্রবার (১৬ মে)  খানপুকুর গ্রামে আবু নাঈম রাহাদের বাড়ির গোয়ালঘর থেকে সান্ডা ভেবে একটি গুইসাপ ধরেন কয়েকজন তরুণ। এ খবর পেয়ে ওয়াইল্ডলাইফ স্ন্যাক অ্যান্ড রেসকিউ টিম ইন বাংলাদেশের সদস্যরা সেখানে যান এবং  গুইসাপটি  উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে অবমুক্ত করেন। এদিকে ফেসবুকে এক যুবকের ছবি পোস্ট করে বলা হচ্ছে, সান্ডা ভেবে গুইসা...

মনের গোপন ঘরে ভয়াল ব্যাধি `সিজোফ্রেনিয়া’

ছবি
মনের গোপন ঘরে ভয়াল ব্যাধি `সিজোফ্রেনিয়া’   সিজোফ্রেনিয়া একটি জটিল মানসিক ব্যাধি বা সাইকোটিক ডিজঅর্ডার। মনের এ অসুখে আক্রান্ত রোগীর চিন্তা-চেতনা, আবেগ-অনুভূতি, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা ও ব্যক্তিসম্পর্ক মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়।   হয়তো আমাদের মধ্যে কিংবা আমাদের আপনজনদের মধ্যেই আছে এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি।   যেহেতু শরীরের   নয়, এটা মনের অসুখ- তাই চট করে ধরা মুশকিল। আসলে সিজোফ্রেনিয়া এমন একটি মানসিক রোগ,   সঠিক সময়ে চিকিৎসা না হলে এটি বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। এমনকি সহিংসতা, হত্যা বা আত্মহত্যার ঝুঁকিও তৈরি করতে পারে। সঠিক সময়ে এ রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা দেওয়া হলে এটি নিরাময়যোগ্য। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বর্তমান বিশ্বে সিজোফ্রেনিয়া রোগীর সংখ্যা প্রায় ২ কোটি ৬০ লাখ। বাংলাদেশে এর সংখ্যা প্রায় ১৬ লাখ। শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের সাইকিয়াট্রি বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ডা. জিল্লুর রহমান খান রতন জানান, সিজোফ্রেনিক রোগীরা দিন দিন একা হয়ে যায়। সমাজ ও বাস্তবতা থেকে তারা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আচার-আচরণেও ব্যাপক পরিবর্তন দেখা দেয়। নিজেদের মন, চিন্তাশক্তি...

ভৌতিক অনুগল্প: কোনটা আমার মেয়ে?

ছবি
ভৌতিক অনুগল্প: কোনটা আমার মেয়ে?     আমার মেয়ে নুসরাত। সাত বছরে পা রেখেছে। ক্লাস থ্রিতে পড়ে। খুব চঞ্চল আর দুরন্ত। প্রতি রাতে ঘুমানোর আগে একবার ওর রুমে যাই। জেগে থাকলে ওকে গুড নাইট বলি। সেও হাসি মুখে আমাকে গুডনাইট বলে। আর ঘুমিয়ে পড়লে কপালে ছোট্ট একটা চুমু দিয়ে আসি।   প্রতিদিনের মতো সেদিন রাতেও নুসরাতের রুমে ঢুকলাম। দেখি মেয়েটা আমার   খাটের ওপর জড়সড় হয়ে বসে আছে। আরে ওকে তো কখনো এমন জড়সড় হয়ে বসে থাকতে দেখিনি। কি হয়েছে রে মা?   আমর মেয়েটা বলল, ‘বাবা! আমার খাটের নিচে কে যেন বসে আছে!’   আমি হাসলাম। হরর মুভি দেখে হয়তো ভয় পেয়েছে। উল্টাপাল্টা ভাবছে। ওকে আর হরর মুভি দেখেতে দেওয়া যাবে না।   আমি ওর খাটের নিচে তাকালাম।   খাটের নিচ থেকে আমার মেয়েটা বললো..,, ‘বাবা! আমার খাটের ওপর কে যেন বসে আছে!’ ক্রিয়েশন: বিপুল হাসান

বিশ্ব মা দিবস: মাকে ভালোবাসা জানানোর দিন আজ

ছবি
মা কথাটি ছোট্ট অতি কিন্তু যেন ভাই,মায়ের চেয়ে নাম যে মধুর ত্রিভুবনে নাই- সত্যিই তাই। ‘ মা ’ এ শব্দটির চেয়ে আপন শব্দ আর নেই পৃথিবীতে। জন্মের পর মানুষের মুখে এ শব্দই বেশি উচ্চারিত হয়। আজ মায়েদের প্রতি ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানানোর দিন।   বিশ্ব মা দিবস আজ। ১৯১২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মাদার'স ডে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোশিয়েশন্ (আন্তর্জাতিক মা দিবস সমিতি)   প্রতি মে মাসের দ্বিতীয় রবিবার মা দিবস পালনের আহ্বান জানিয়ে প্রচারণা শুরু করে। যুক্তরাষ্ট্রে সূচনা হলেও বর্তমানে আন্তর্জাতিকভাবে সারা বিশ্বেই দিবসটি পালিত হয়।  নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে আজ   বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হচ্ছে।সন্তানেরা মায়ের প্রতি ভালোবাসা জানাতে কেউ ফুলসহ বিভিন্ন উপহার দিয়ে মাকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন।সোশাল মিডিয়া ভরে গেছে, মায়েদের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানানো স্ট্যাটাস আর তাদের ছবিতে। তবে মা দিবস শুধু একটি নির্দিষ্ট দিনেই সীমাবদ্ধ নয়। একজন মা যেভাবে তার সন্তানকে যত্ন ও ভালোবাসা দিয়ে বড় করে তোলেন, সে ঋণ কোনো দিনই শোধ করা যাবে না। এজন্য মায়ের প্রতি ভালোবাসা শুধু একটি দিবসের মধ্যে না রেখে মাকে নিঃশর্তভাবে ভা...

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ, সামরিক শক্তিতে কে এগিয়ে?

ছবি
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ, সামরিক শক্তিতে কে এগিয়ে?   পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ভারত। ভারতের সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী যৌথভাবে এই হামলা চালায় ‘ অপারেশন সিঁদুর ’ কোডনামে।   এ হামলার পাল্টা জবাবে ভারতেও হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। দুদেশের নিয়ন্ত্রণরেখায়   চলছে   গোলাগুলি। এতে দুপক্ষেরই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উপমহাদেশের পারমানবিক শক্তিধর প্রতিবেশি দুই দেশের যুদ্ধাবস্থায় আলোচনায় এসেছে, সামরিক সক্ষমতায় কে এগিয়ে? ভারত নাকি পাকিস্তান?   বিশ্বে সামরিক শক্তি এবং অস্ত্রশস্ত্র সম্পর্কে ধারণা তুলে ধরা গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের তথ্য অনুযায়ী,২০২৫ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া এবং চীনের পরে ভারত বিশ্বের চতুর্থ শক্তিশালী সামরিক শক্তি। সামরিক সক্ষমতায় ভারতের চেয়ে পাকিস্তানের অবস্থান কিছুটা পেছনে। বিশ্বের ১৪৫টি দেশের মধ্যে ১২তম অবস্থানে পাকিস্তান। পাকিস্তানের চেয়ে সেনাসংখ্যায় এগিয়ে রয়েছে ভারত। গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের তথ্য অনুযায়ী, ভারতের মোট সক্রিয় সৈন্য সাড়ে ১৪ লাখের কিছু বেশি। অন্যদিকে পাকিস্তানের সৈন্য সংখ্যা সাড়ে ৬ লাখের কিছু বেশি। রিজার্ভ সেনা বা...

বিষন্নতা বা ডিপ্রেশন, কেন হয়? কিভাবে বুঝবেন আপনি আক্রান্ত ? মুক্তি যেভাবে...

ছবি
বিষন্নতা বা ডিপ্রেশন কেন হয়? কিভাবে বুঝবেন আপনি আক্রান্ত? মুক্তি মিলবে যেভাবে     বিষণ্নতা বা ডিপ্রেশন,   একধরনের মানসিক ব্যাধি।   যাপিতজীবনের নানা জটিলতায় দিন দিন বিষন্নতায় ভোগা মানুষের সংখ্যা বাড়ছে।কিন্তু বিষন্নতা যে একটি রোগ সেটা অনেকে বোঝেন না বা বুঝলেও তা স্বীকার করতে চান না। বিষণ্নতায় ভোগা মানুষ কোনো কিছুতেই উৎসাহ পান না। সহকর্মী, বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন, এমনকি নিজ পরিবারের একান্ত আপনজনদের সঙ্গে সহজভাবে মেলামেশা করতে পারেন না। ঠিকমতো কারও সঙ্গে কথা বলেন না, চুপচাপ একাকী দিন কাটান। ডিপ্রেশন বা বিষণ্নতা মানুষের অনুভূতি, চিন্তাচেতনা ও কাজকর্মের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এটি মানুষকে   অক্ষমতার দিকে ঠেলে দেয়।   বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইনডেক্সে বলা হয়েছে- ‍দুশ্চিন্তা, দুঃখ, অপরাধবোধ, বিরক্তি, ক্লান্তি, অমনোযোগিতা, অনিদ্রা, খাওয়াদাওয়ায় উদাসিনতা, আগ্রহ বা আনন্দ হারিয়ে ফেলা, নিজেকে মূল্যহীন মনে হওয়া এসব বিষয়কারো মাঝে প্রবলভাবে দেখা গেলে তাকে ডিপ্রেশন বা বিষণ্নতায় আক্রান্ত রোগী হিসেবে চিহ্নিত করা যেতে পারে। সংস্থাটির হিসেবে বিশ্বে বর্তমানে প্রায় ৩...

হার্ট অ্যাটক কেন হয়? লক্ষণ, কারণ ও চিকিৎসা!

ছবি
হার্ট অ্যাটক কেন হয়? লক্ষণ, কারণ ও চিকিৎসা! একটা সময় মনে করা হতো কেবল প্রবীণদেরই হার্ট অ্যাটাক হয়, কিন্তু তা ঠিক নয়। বর্তমানে তরুণদেরও হার্ট অ্যাটাক হতে দেখা যাচ্ছে।তবে তরুণদের তুলনায় ৪০ বছর বয়সের পর হার্ট অ্যাটাকটা বেশি হয়। তবে সত্যি বলতে কি, হার্ট অ্যাটাক বা হৃদরোগের এখন আর কোনো বয়স নেই।  ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের গবেষণায় দেখা গেছে, হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের ২৫ ভাগেরই বয়স ৫০ বছরের কম। পরিশ্রম কমে যাওয়া, অস্বাস্থ্যকর খাবার,অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, মদ্যপান ও ধূমপানের কারণে হার্ট অ্যাটাকের ঘটনা বাড়ছে বলে জানান চিকিৎসকরা।  এছাড়া  অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ থেকেও হার্টের রক্তনালি ব্লক হয়ে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। পাশাপাশি শারীরিক পরিশ্রম কম করা, চর্বি জাতীয় খাবার বেশি খাওয়া এবং শরীরের ওজন বেশি থাকার কারণেও বাড়ছে হার্ট অ্যাটাকের ঘটনা।যাদের পরিবারে আগে হার্টের রোগী আছেন তাদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি। আসলে হৃদরোগকে জেনেটিক রোগও বলা যেতে পারে। এই রোগের ঝুঁকি ডিএনএর মাধ্যমে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে চলে যায়। নানা কারণেই হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। এক্ষেত্রে তাৎ...

নিঃসঙ্গতা দিনে ১৫টি সিগারেট খাওয়ার চেয়েও বেশি ক্ষতিকর

ছবি
কেন এই নিঃসঙ্গতা, কেন এই মৌনতা. জনপ্রিয় ব্যান্ড সোলসের এ গানটি অনেকেই শুনেছেন। কিন্তু আপনি জানেন কি ? নিঃসঙ্গতা ও বিচ্ছিন্নতা দিনে ১৫টি সিগারেট খাওয়ার চেয়েও বেশি ক্ষতি করে।সাম্প্রতিক এক গবেষণা শেষে এ তথ্য জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সার্জন জেনারেল বিবেক মূর্তি । ফরচুন ম্যাগাজিনে প্রকাশিত এক নিবন্ধে ওই গবেষণার বরাতে তিনি জানান, নিঃসঙ্গ ব্যক্তিদের হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ৩০ শতাংশ বেশি। সামাজিকভাবে নিঃসঙ্গ ও বিচ্ছিন্ন ব্যক্তিদের স্মৃতিভ্রংশ, স্ট্রোক, বিষণ্ণতা, উদ্বেগ ও অকালমৃত্যুর শিকার হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি। আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ার পেছনেও নিঃসঙ্গতা দায়ি। ‘আওয়ার অ্যাপিডেমিক অফ লোনলিনেস অ্যান্ড আইসোলেশন’ শিরোনামে এ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামাজিক ও পারিবারিক জটিলতায় কিছু মানুষ নিঃসঙ্গ জীবনযাপন করে থাকেন। এই নিঃসঙ্গতা বা একাকিত্ব মৃত্যুর প্রভাবক হিসেবে দিনে ১৫টি সিগারেট খাওয়ার চেয়েও বেশি কাজ করে থাকে। এটি মানুষের কর্মক্ষমতা, সৃজনশীলতা ও উদ্দীপনা কমিয়ে দেয়।নিঃসঙ্গ মানুষের আয়ুও কমে যায়। সামাজিক-পারিবারিক কারণে নিঃসঙ্গতা ও বিচ্ছিন্নতা বিশ্বজুড়েই ক্রমশ বাড়ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও ...

কেউ কথা রাখেনি : সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

ছবি
কেউ কথা রাখেনি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় আবৃত্তি: এনামুল হক মিঠু কেউ কথা রাখেনি, তেত্রিশ বছর কাটলো কেউ কথা রাখেনি ছেলেবেলায় এক বোষ্টুমি তার আগমনী গান হঠাৎ থামিয়ে বলেছিলো শুক্লা দ্বাদশীর দিন অন্তরাটুকু শুনিয়ে যাবে তারপর কত চন্দ্রভুক অমবস্যা এসে চলে গেল, কিন্তু সেই বোষ্টুমি আর এলো না পঁচিশ বছর প্রতীক্ষায় আছি । মামাবাড়ির মাঝি নাদের আলী বলেছিল, বড় হও দাদাঠাকুর তোমাকে আমি তিন প্রহরের বিল দেখাতে নিয়ে যাবো সেখানে পদ্মফুলের মাথায় সাপ আর ভ্রমর খেলা করে ! নাদের আলি, আমি আর কত বড় হবো ? আমার মাথা এই ঘরের ছাদ ফুঁরে আকাশ স্পর্শ করলে তারপর তুমি আমায় তিন প্রহরের বিল দেখাবে ? একটাও রয়্যাল গুলি কিনতে পারিনি কখনো লাঠি-লজেন্স দেখিয়ে দেখিয়ে চুষেছে লস্কর বাড়ির ছেলেরা ভিখারীর মতন চৌধুরীদের গেটে দাঁড়িয়ে দেখেছি ভেতরে রাস উৎসব অবিরল রঙ্গের ধারার মধ্যে সুবর্ণ কঙ্কণ পড়া ফর্সা রমণীরা কতরকম আমোদে হেসেছে আমার দিকে তারা ফিরেও চায়নি ! বাবা আমার কাঁধ ছুঁয়ে বলেছিলেন, দেখিস, একদিন আমরাও… বাবা এখন অন্ধ, আমাদের দেখা হয়নি কিছুই সেই রয়্যাল গুলি, সেই লাঠি-লজেন্স, সেই রাস উৎসব আমায় কেউ ফিরিয়ে দেবে না ! বুকের মধ্যে সুগন্ধি ...

মন ভালো নেই (কবিতায় ও গানে)

ছবি
মন ভালো নেই (কবিতায় ও গানে) মন ভালো নেই কবিতা: সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়  আবৃত্তি: এনামুল হক মিঠু মন ভালো নেই  মন ভালো নেই  মন ভালো নেই কেউ তা বোঝে না  সকলি গোপন  মুখে ছায়া নেই চোখ খোলা তবু  চোখ বুজে আছি  কেউ তা দেখেনি প্রতিদিন কাটে  দিন কেটে যায়  আশায় আশায় আশায় আশায় এখন আমার  ওষ্ঠে লাগে না  কোনো প্রিয় স্বাদ এমনকি নারী  এমনকি নারী  এমনকি নারী এমনকি সুরা এমনকি ভাষা মন ভালো নেই  মন ভালো নেই  মন ভালো নেই বিকেল বেলায়  একলা একলা  পথে ঘুরে ঘুরে একলা একলা  পথে ঘুরে ঘুরে  পথে ঘুরে ঘুরে কিছুই খুঁজি না  কোথাও যাই না কারুকে চাইনি কিছুই খুঁজি না কোথাও যাই না আমিও মানুষ আমার কী আছে অথবা কী ছিল আমার কী আছে অথবা কী ছিল ফুলের ভিতরে  বীজের ভিতরে  ঘুণের ভিতরে যেমন আগুন আগুন আগুন আগুন আগুন মন ভালো নেই  মন ভালো নেই  মন ভালো নেই তবু দিন কাটে  দিন কেটে যায়  আশায় আশায়  আশায় আশায় আশায় আশায়   আশায় আশায়...। মন ভালো নেই  গান: তপু কাভার: টুম্পা মন ভালো নেই বল...

তোমার ঘরে বাস করে কারা (রিমিক্স/ফিউশন)

ছবি
তোমার ঘরে বাস করে কারা  কথা: জাহিদ আহমেদ মূল শিল্পী : আনুশেহ  (বাংলা ব্যান্ড/ কিংকর্তব্যবিমুঢ) তোমার ঘরে বাস করে কারা ও মন জানো না তোমার ঘরে বসত করে কয় জনা মন জানো না। এক জনায় ছবি আঁকে এক মনে ও হো ও মন আরেক জনায় বসে বসে রং মাখে ও আবার সেই ছবিখান নষ্ট করে কোন জনা কোন জনা তোমার ঘরে বসত করে কয় জনা। এক জনায় সুর তোলে এক তারে ও হো ও মন আরেক জন মন্দিরাতে তাল তোলে ও আবার বেসুরো সুর ধরে দেখো কোন জনা, কোন জনা তোমর ঘরে বসত করে কয় জনা। রস খাইয়া হইয়া মাতাল ঐ দেখো হাত ফসকে যায় ঘোড়ার লাগাম সেই লাগাম খানা ধরে দেখো কোন জনা কোন জনা তোমার ঘরে বসত করে কয় জনা। <script async src="https://pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js?client=ca-pub-8283151263697355" crossorigin="anonymous"></script>

তারায় তারায় রটিয়ে দেব ( গানে ও কবিতায়) ফিউশন ভিডিও

ছবি
আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান নাগরিক কবি ছিলেন শামসুর রাহমান। একুশে পদকে ভূষিত এ কবির ‘উত্তর’ কবিতা অবলম্বনে একটি গান করেছেন নগরবাউল জেমস। ১৯৯৫ সালে কবির অনুমতি নিয়ে নিজের ব্যান্ড ফিলিংসের ‘নগরবাউল’ অ্যালবামের জন্য জেমস গেয়েছিলেন ‘তারায় তারায়’। প্রকাশের পরপরই সাড়া ফেলে এটি। ‘আমি তারায় তারায় রটিয়ে দেবো’ তখন পাড়া-মহল্লায়, শহরের অলিতে-গলিতে, এমনকি গ্রাম-গঞ্জে সববয়সী শ্রোতার মুখে ছড়িয়ে পড়ে। ২৫ বছর পেরিয়েও ‘তারায় তারায়’ গানটি সমান জনপ্রিয়। এবার একই সঙ্গে কবিতা ও গান । তবে গানটি জেমসের কণ্ঠের নয়। ফিউশন তৈরিতে গানটিতে ব্যবহার হয়েছে নারী কণ্ঠ। শামসুর রাহমানের কবিতা ‘উত্তর’ তুমি হে সুন্দরীতমা নীলিমার দিকে তাকিয়ে বলতেই পারো ‘এই আকাশ আমার’ কিন্তু নীল আকাশ কোনো উত্তর দেবে না। সন্ধ্যেবেলা ক্যামেলিয়া হাতে নিয়ে বলতেই পারো, ‘ফুল তুই আমার’ তবু ফুল থাকবে নীরব নিজের সৌরভে আচ্ছন্ন হয়ে। জ্যোত্স্না লুটিয়ে পড়লে তোমার ঘরে, তোমার বলার অধিকার আছে, ‘এ জ্যোত্স্না আমার’ কিন্তু চাঁদিনী থাকবে নিরুত্তর। মানুষ আমি, আমার চোখে চোখ রেখে যদি বলো, ‘তুমি একান্ত আমার’, কী করে থাকবো নির্বাক? তারায় তারায় রটিয়ে দেবো, ‘আম...

রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ

ছবি
ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ তুই আপনাকে আজ বিলিয়ে দে, শোন আসমানী তাগিদ। তোর সোনা-দানা, বালাখানা সব রাহে লিল্লাহ দে যাকাত, মুর্দা মুসলিমের আজ ভাঙাইতে নিঁদ ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ। আজ পড়বি ঈদের নামাজ রে মন সেই সে ঈদগাহে যে ময়দানে সব গাজী মুসলিম হয়েছে শহীদ ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ। আজ ভুলে যা তোর দোস্ত-দুশমণ, হাত মেলাও হাতে, তোর প্রেম দিয়ে কর বিশ্ব নিখিল ইসলামে মুরিদ ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ।

লিখতে পারি না কোনো গান (ফিউশন ভিডিও)

ছবি
লিখতে পারি না কোনো গান কথা: গোলাম মোরশেদ, সুর: লাকী আখন্দ লিখতে পারি না কোন গান আজ তুমি ছাড়া ভাবতে পারি না কোন কিছু আর তুমি ছাড়া কিযে যন্ত্রনা এই পথচলা  বিরহ স্মৃতি তোমাকে ঘিরে তুমি জানো না। হারানো দিনগুলিতে ছিলে তুমি জড়িয়ে এই মনের সীমান্তে ছিল সুখ ছড়িয়ে হারানো দিনগুলিতে ছিলে তুমি জড়িয়ে এই মনের সীমান্তে ছিল সুখ ছড়িয়ে কিযে যন্ত্রনা এই পথচলা বিরহ স্মৃতি তোমাকে ঘিরে তুমি জানো না। আকাশে চাঁদ ছিল একা পাহাড়ি ঝর্ণা ঝরা তাদের মনেতে ব্যথা ছিল কিনা বুঝি নি সে ব্যথা বোঝার আগেহারিয়ে তোমাকে তোমাকে হারিয়ে বেদনা ঝরেছে হৃদয়ে কি যে বেদনা তুমি বোঝনা তোমাকে ভুলে থাকা কোনদিন বুঝি হল না। লিখতে পারি না কোন গান আজ তুমি ছাড়া ভাবতে পারি না কোন কিছু আর তুমি ছাড়া কিযে যন্ত্রনা এই পথচলা  বিরহ স্মৃতি তোমাকে ঘিরে তুমি জানো না।

সময় যেন কাটে না

ছবি
সময় যেন কাটে না কথা : শহীদ মাহমুদ জঙ্গী সুর : শাহবাজ খান পিলু সময় যেন কাটে না বড় একা একা লাগে এই মুখর জনারণ্যে বিরহী বাতাস বহে শুধু তোমার জন্যে সময় যেন কাটে না চেনা দিনগুলো ভীষন অচেনা মনে হয় তুমি কাছে নেই বলে সুখী দিনগুলো বেদনাবিদুর হয়ে যায় তুমি পাশে নাই বলে চেনা দিনগুলো ভীষন অচেনা মনে হয় তুমি কাছে নেই বলে সময় যেন কাটে না শীতের সকাল আগের মত নেই আর তুমি কাছে নেই বলে মেঘলা দুপুরে পায়েলের ধ্বনি নেই আর তুমি পাশে নাই বলে সময় যেন কাটে না

চোখের নজর এমনি কইরা একদিন খইয়া যাবে

ছবি

বনলতা সেন

ছবি
বনলতা সেন হাজার বছর ধ’রে আমি পথ হাঁটিতেছি পৃথিবীর পথে, সিংহল সমুদ্র থেকে নিশীথের অন্ধকারে মালয় সাগরে অনেক ঘুরেছি আমি; বিম্বিসার অশোকের ধূসর জগতে সেখানে ছিলাম আমি; আরো দূর অন্ধকারে বিদর্ভ নগরে; আমি ক্লান্ত প্রাণ এক, চারিদিকে জীবনের সমুদ্র সফেন, আমারে দু-দণ্ড শান্তি দিয়েছিলো নাটোরের বনলতা সেন। চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা, মুখ তার শ্রাবস্তীর কারুকার্য; অতিদূর সমুদ্রের ’পর হাল ভেঙে যে-নাবিক হারায়েছে দিশা সবুজ ঘাসের দেশ যখন সে চোখে দেখে দারুচিনি-দ্বীপের ভিতর, তেমনি দেখেছি তারে অন্ধকারে; বলেছে সে, ‘এতদিন কোথায় ছিলেন?’ পাখির নীড়ের মতো চোখ তুলে নাটোরের বনলতা সেন। সমস্ত দিনের শেষে শিশিরের শব্দের মতন সন্ধ্যা আসে; ডানার রৌদ্রের গন্ধ মুছে ফেলে চিল; পৃথিবীর সব রং নিভে গেলে পাণ্ডুলিপি করে আয়োজন তখন গল্পের তরে জোনাকির রঙে ঝিলমিল; সব পাখি ঘরে আসে— সব নদী— ফুরায় এ-জীবনের সব লেনদেন; থাকে শুধু অন্ধকার, মুখোমুখি বসিবার বনলতা সেন।