তারায় তারায় রটিয়ে দেব ( গানে ও কবিতায়) ফিউশন ভিডিও
আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান নাগরিক কবি ছিলেন শামসুর রাহমান। একুশে পদকে ভূষিত এ কবির ‘উত্তর’ কবিতা অবলম্বনে একটি গান করেছেন নগরবাউল জেমস।
১৯৯৫ সালে কবির অনুমতি নিয়ে নিজের ব্যান্ড ফিলিংসের ‘নগরবাউল’ অ্যালবামের জন্য জেমস গেয়েছিলেন ‘তারায় তারায়’। প্রকাশের পরপরই সাড়া ফেলে এটি। ‘আমি তারায় তারায় রটিয়ে দেবো’ তখন পাড়া-মহল্লায়, শহরের অলিতে-গলিতে, এমনকি গ্রাম-গঞ্জে সববয়সী শ্রোতার মুখে ছড়িয়ে পড়ে। ২৫ বছর পেরিয়েও ‘তারায় তারায়’ গানটি সমান জনপ্রিয়। এবার একই সঙ্গে কবিতা ও গান । তবে গানটি জেমসের কণ্ঠের নয়। ফিউশন তৈরিতে গানটিতে ব্যবহার হয়েছে নারী কণ্ঠ।
শামসুর রাহমানের কবিতা ‘উত্তর’
তুমি হে সুন্দরীতমা নীলিমার দিকে তাকিয়ে বলতেই পারো
‘এই আকাশ আমার’
কিন্তু নীল আকাশ কোনো উত্তর দেবে না।
সন্ধ্যেবেলা ক্যামেলিয়া হাতে নিয়ে বলতেই পারো,
‘ফুল তুই আমার’
তবু ফুল থাকবে নীরব নিজের সৌরভে আচ্ছন্ন হয়ে।
জ্যোত্স্না লুটিয়ে পড়লে তোমার ঘরে,
তোমার বলার অধিকার আছে, ‘এ জ্যোত্স্না আমার’
কিন্তু চাঁদিনী থাকবে নিরুত্তর।
মানুষ আমি, আমার চোখে চোখ রেখে
যদি বলো, ‘তুমি একান্ত আমার’, কী করে থাকবো নির্বাক?
তারায় তারায় রটিয়ে দেবো, ‘আমি তোমার, তুমি আমার’।
‘তারায় তারায়’ গানের কথা
সুন্দরীতমা আমার
তুমি নীলিমার দিকে তাকিয়ে বলতে পারো
এই আকাশ আমার।
নীলাকাশ রবে নিরুত্তর
মানুষ আমি চেয়ে দেখো
নীলাকাশ রবে নিরুত্তর
যদি তুমি বলো আমি একান্ত তোমার,
আমি তারায় তারায় রটিয়ে দেবো তুমি আমার
আমি তারায় তারায় রটিয়ে দেবো আমি তোমার।
ক্যামেলিয়া হাতে এই সন্ধ্যায়
ভালবেসে যতো খুশি বলতে পারো এই ফুল আমার।
ফুল শুধু ছড়াবে সৌরভ লজ্জায় বলবে না কিছু
ফুল শুধু ছড়াবে সৌরভ লজ্জায় বলবে না কিছুই
ফুল থাকবে নিরব।
আমি তারায় তারায় রটিয়ে দেবো তুমি আমার
আমি তারায় তারায় রটিয়ে দেবো আমি তোমার।
জোছনা লুটালে তুমি অধিকার নিয়ে বলতে পারো
এই জোছনা আমার
এই চাঁদ খুঁজবে না উত্তর একবার যদি বলো
এই চাঁদ খুঁজবে না উত্তর একবার যদি বলো আমাকে
আমি থাকবো না নির্বাক,
আমি তারায় তারায় রটিয়ে দেবো তুমি আমার
আমি তারায় তারায় রটিয়ে দেবো আমি তোমার।
(ভালো লাগলে অনুগ্রহ করে শেয়ার/ কমেন্টস/লাইক দিয়ে উৎসাহ দিবেন)
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন