অর্থনীতি

আশুলিয়ায় গোলযোগপূর্ণ গার্মেন্টসই কেবল অনির্দিষ্টকাল বন্ধ থাকবে


প্রস্তুতি : অর্থনীতি (প্রতিমুহূর্ত.কম) ---

পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ  শ্রমিক বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে আশুলিয়ার সব পোশাক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের ঘোষণা দেয় সোমবার বিকেলে। এই ঘোষণার কয়েক ঘন্টার পরই
বিজিএমই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে শুধুমাত্র গোলযোগপূর্ণ পোশাক কারখানাগুলো মঙ্গলবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে।

বেতন-ভাতা বাড়ানো, কর্মস্থলে নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন দাবিতে সোমবার বিক্ষোভের পর আশুলিয়ায় শতাধিক পোশাক কারখানায় ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। এরই প্রেক্ষাপটে  বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে সব কারখানা বন্ধের ঘোষণা দেয় বিজিএমইএ। এই ঘোষণায গার্মেন্টস মালিকদের মধ্যেই দেখা দেয় অসন্তোষ। পরে ওই অঞ্চলের গার্মেন্টস মালিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করার পর নতুন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে বিজিএমইএ। রাতে বিজিএমইএ মহাসচিব এহসান উল ফাত্তাহ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শুধুমাত্র গোলযোগপূর্ণ পোশাক কারখানাগুলো মঙ্গলবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে।

এর আগে সোমবার সকালে আশুলিয়ায় বিক্ষোভরত শ্রমিকরা প্রায় এক ঘণ্টা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। কয়েকটি কারখানায় তারা ইট-পাটকেল ছোড়ে এবং ভাংচুরের চেষ্টা চালায়। ওই সময় পুলিশের লাঠিপেটায় কয়েকজন শ্রমিক আহতও হন।

বিজিএমইএ’র পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশের মোট উৎপাদিত তৈরি পোশাকের ২০ শতাংশ আশুলিয়ার বিভিন্ন গার্মেন্টস থেকে সরবরাহ হয়। এ এলাকার ৩২০টি পোশাক কারখানা বিজিএমইএ’র তালিকাভুক্ত সদস্য। 

তাজরীন ফ্যাশনসে অগ্নিকাণ্ডে শতাধিক এবং রানা প্লাজা ধসে সহস্রাধিক শ্রমিকের মৃত্যুর পর পোশাক শিল্প নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের চাপে রয়েছে বাংলাদেশ। গার্মেন্টকর্মীদের বেতন-ভাতা ও কারখানার কর্মপরিবেশ নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিরূপ আলোচনার প্রেক্ষাপটে শ্রমিকদের বেতন বাড়াতে রোববারই মজুরি বোর্ড গঠন করে সরকার। এর একদিন বাদেই আশুলিয়ার এই ঘটনা ঘটলো।

অবশ্য শিল্প মালিকদের দাবি, শ্রমিক অসন্তোষের পেছনে রয়েছে ‘ষড়যন্ত্র’ ।

 

 

--------------------------------------------------------------------------------------------------------------

অর্থনৈতিক শুমারি নিয়ে এফবিসিসিআইয়ের মতবিনিময়

প্রস্তুতি: অর্থনীতি (প্রতিমুহূর্ত.কম)

দেশের ব্যবসায়ীদের প্রধান সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র  (এফবিসিসিআই) সাথে অর্থনৈতিক শুমারি ২০১৩ উপলক্ষে মতবিনিময় করেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস)।

১১ মে শনিবার বেলা সাড়ে ৩টায় রাজধানীর মতিঝিলে ফেডারেশন ভবনে অর্থনৈতিক শুমারি ২০১৩ এর বিভিন্ন বিষয়ে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দদের সাথে এফবিসিসিআইয়ের মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মোঃ নজিবুর রহমান, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) উপ মহাপরিচালক মিজানুর রহমান, এফবিসিসিআইয়ের প্রথম সহ সভাপতি মনোয়ারা হাকিম আলী, সহ সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রকল্প পরিচালক দিলদার হোসেন। প্রবন্ধে অর্থনৈতিক শুমারির পটভুমি, উদ্দেশ্য, বিভিন্ন ধাপ ও পদ্ধতি তুলে ধরেন।

এরপর এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক ও এর অন্তর্ভুক্ত ব্যবসায়ীরা মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।
বক্তারা বলেন, সরকারি আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় ব্যবসায়ীরা ট্যাক্সের ভয়ে সঠিক তথ্য দিতে চান না। সঠিক তথ্য ছাড়া অর্থনীতি বা দেশের জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়া কঠিন। পরিসংখ্যান ব্যুরোর উচিত ছিলো আরও আগে এফবিসিসিআইয়ের সাথে মতবিনিময় করা। 

ব্যবসায়ীরা পরামর্শ দিয়ে বলেন, বিবিএস অনেক প্রয়োজনীয় তথ্য রাখেতে পারছেনা। নারী উদ্যোক্তাদের জন্য আলাদাভাবে তথ্য সংরক্ষণ করতে হবে। সেইসাথে ব্যবসায়ীদের তথ্য গোপন রেখে ব্যবসার সমস্যাগুলো শুমারিতে উঠে আসা উচিত। 

তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মোঃ নজিবুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি বিশ্বের কাছে একটি ছোট দেশের শক্তিশালী অর্থনীতি হিসেবে পরিচিত। আমরা বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বিশ্বমানের শুমারি করার জন্য কাজ করছি। 

তিনি বলেন, তথ্য প্রযুক্তির এ যুগে তথ্য সংগ্রহ ও তথ্য সঞ্চালনের গতিধারাকে বেগবান করার জন্য বর্তমান সরকার প্রতিটি জেলা ও উপজেলার সঙ্গে কম্পিউটার ও ডাটা কমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক সংযোগ স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে।

পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) উপ মহাপরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, আমাদের দেশে আদমশুমারি, অর্থনৈতিক শুমারি ও কৃষি শুমারি হয়। যা আমাদের দেশের অর্থনীতিতে বিরাট ভুমিকা পালন করে। আমাদের দেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনার আবাস কেন্দ্র হলো ঢাকা ও চট্রগ্রাম বিগত  বছর থেকে দেশের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রের বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ ও প্রকাশনার নিমিত্ত বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো বিভিন্ন শুমারি ও জরিপ পরিচালনা করে। আরও নতুন নতুন শুমারি করা হবে। অর্থনৈতিক শুমারি আয়করের সাথে সম্পৃক্ত নয়। এটার গোপনীয়তা রাখা হবে।

এফবিসিসিআইয়ের প্রথম সহ-সভাপতি, মিসেস মনোয়ারা হাকিম আলী তার বক্তবে বলেন, আমাদের দেশের নারী উদ্যক্ততা দিন দিন বেড়েই চলেছে। তিনি বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এর কাছে নারী উদ্যোক্তাদের সমন্বয় করে তাদের উপর একটি পৃথক সমীক্ষা করার আহবান জানান।
তিনি আরও বলেন, আদমশুমারির পরই অর্থনৈতিক শুমারি গুরুত্বপূর্ণ। মাঠ পর্যায়ে শুমারি সফলভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে সিটি কর্পোরেশন, জেলা, উপজেলা, পৌরসভা এবং ইউনিয়ন/ওয়ার্ড পর্যায় শুমারি পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়েছে। উন্নয়ন পরিকল্পনায় তথ্যের ঘাটতি রয়ছে। জাতীয় অর্থনীতির এই উত্তরণলগ্নে অর্থনৈতিক শুমারির গুরুত্ব অকল্পনীয় ।            

এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ণে সঠিক অর্থনৈতিক শুমারি অত্যন্ত জরুরী। তিনি সাভারের রানা প্লাজার ভবন ধসের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন। ব্যবসায়ীদের সহযোগিতার মানসিকতা নিয়ে এই শুমারি করা উচিত। তিনি বলেন, আমাদের দেশে দুই বছরে অন্তত একবার অর্থনৈতিক শুমারি করার আহবান জানান। সেই সাথে ব্যবসায়ীদের সমস্যা সমাধানে এই তথ্য কাজে লাগানো উচিত।

দেশে এবার তৃতীয়বারের মত অর্থনৈতিক শুমারি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর প্রথম পর্বে চলে ১৫ এপ্রিল থেকে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত। এ সময়ে দেশের ৩৭টি জেলা থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। দ্বিতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হবে ১৫ মে থেকে ২৪ মে পর্যন্ত সময়ের মধ্যে। এ সময়ে বাকি ২৭টি জেলা থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। 
গত ৩১ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। শুমারি পরিচালনার জন্য ৮৫ হাজার গণনাকারি ও ২০ হাজার সুপাইভাজার নিয়োগ করা হয়েছে। স্থানীয় পর্যায়ের শিক্ষিত বেকার যুবারা জরিপে অংশ নেয়। এবারের শুমারির প্রশ্নপত্রে ২৭টি বিষয়ে তথ্য চাওয়া হচ্ছে। এর আগে সিলেট ও পাবনায় পাইলট প্রকল্প হিসেবে এই শুমারি শুরু হয়।
১৯৮৬ সালে প্রথম অর্থনৈতিক শুমারি অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ২০০১ সালে শহরে ও ২০০৩ সালে পল্লী এলাকায় করা হয়।


রিপোর্ট : আব্দুল্লাহ আল জুবায়ের
এজে- ১১/৫-২

 

 -----------------------------------------------------------------------------------------------------------

 হংকং-এ জনশক্তি রফতানির নতুন সম্ভাবনা



প্রস্তুতি : অর্থনীতি (প্রতমুহূর্ত.কম/ protimuhurto.com) ---

গত কয়েক বছর ধরে দেশের জনশক্তি রফতানি খাতে একধরনের  স্থবিরতা নেমে এসেছে। এ অবস্থায়
 হংকং-এ তৈরি হয়েছে জনশক্তি রফতানির নতুন সম্ভাবনা। শিগগিরই বাংলাদেশ থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক গৃহকর্মী নিয়োগ করতে যাচ্ছে হংকং ।

হংকং-এ দীর্ঘদিন ধরে গৃহস্থালি কাজে কর্মী সঙ্কট বিরাজ করছে। এই সঙ্কট কাটাতে বাংলাদেশ থেকে গৃহকর্মী নিয়োগ করার উদ্যোগ নিয়েছে দেশটির একাধিক প্রতিষ্ঠান।


হংকং-এ নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল সারোয়ার মাহমুদ এ বিষয়ে জানিয়েছেন, হংকংয়ে যাওয়ার আগ্রহ জানিয়ে এরই মধ্যে প্রায় চার হাজার আগ্রহী বাংলাদেশি রেজিস্ট্রেশন করেছেন। এ মাসের প্রথম দিকে রেজিস্ট্রেশন শুরুর মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যেই এ পরিমাণ আবেদন জমা পড়ে ।

হংকংয়ে বাংলাদেশি গৃহকর্মীদের কর্মসংস্থানের মাধ্যমে উভয় দেশই লাভবান হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশিরা স্বভাবগতভাবেই বিশ্বস্ত এবং গৃহস্থালি কাজে যত্মশীল। বিদেশি শ্রমিকদের জন্য হংকং খুবই আকর্ষণীয় গন্তব্য।প্রথম ব্যাচের ২০ জন বাংলাদেশি কর্মী এ মাসের মধ্যেই হংকং-এ পৌঁছাবে বলে জানান তিনি।


হংকং-এর গৃহকর্মীর চাহিদা মিটিয়ে থাকে মূলত ফিলিপিনস সহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর শ্রমিকরাই  । কিন্তু গত কয়েক বছরে ফিলিপিন থেকে গৃহকর্মী আগমনের হার কমে যাওয়ায় সেখানে সৃষ্টি হয়েছে গৃহকর্মী সঙ্কট।এ সঙ্কট মেটাতেই হংকং বাংলাদেশি শ্রমিকদের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠেছে।

গৃহকর্মী হিসেবে হংকং-এ মাসিক আয় বেশ আকর্ষণীয়। বাংলাদেশ  থেকে নিয়োগ প্রাপ্ত কর্মীরা মাসে ৩ হাজার ৯২০ হংকং ডলার বেতন পাবেন বলে জানা গেছে। এক হংকং ডলার বাংলাদেশি টাকায় দশ টাকারও বেশি।

হংকং-এর এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এমপ্লয়মেন্ট এজেন্সির (এওবিইএ) আগামী ছয় মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার গৃহকর্মী হিসেবে নিয়োগ করবে বলে জানা গেছে  । এছাড়াও আরো  তিনটি গ্রুপ বাংলাদেশ থেকে গৃহকর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেছ।এ তিনটি গ্রুপ সমসংখ্যক গৃহকর্মী নিলে আগামী ৬ মাসে প্রায় ৬০ থেকে ৮০ হাজার নারী শ্রমিক হংকংয়ে নিয়োগ পাবে। সরকারী ব্যবস্থাপনাতেই বাংলাদেশ থেকে হংকং-এ কর্মী নিয়োগ করা হচ্ছে।

বিশ্বের উদীয়মান অর্থনৈতিক পরাশক্তি চীনের শাসনাধীন এশিয়ার অন্যতম সমৃদ্ধ নগরী হংকংয়ে বাংলাদেশি গৃহকর্মীর নিয়োগ দেশটিতে জনশক্তি রফতানির নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে সংশ্লিষ্টদের ধারনা।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সালাহ্উদ্দিন লাভলুর ধারাবাহিক নাটক 'কবুলীয়তনামা'

পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট ২টি গল্প

নাচো নাচো (রিমিক্স)