খেলা


জয় দিয়ে জিম্বাবুয়ে মিশন শেষ করলো টাইগাররা


প্রস্তুতি : স্পোর্টস (প্রতিমুহূর্ত.কম)---

বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের ম্যাচে কাগজে-কলমে বাংলাদেশকেই এগিয়ে রাখা হয়। এবার সাকিব-নাসিররা যখন জিম্বাবুয়েতে পা রাখে তখন তারা ছিল শ্রীলঙ্কা সিরিজে ভালো খেলা আত্মবিশ্বাসী একঝাঁক জয় পিপাসু ক্ষ্যাপা বাঘ। কিন্তু টেস্ট সিরিজ ড্র, ওয়ানডে সিরিজে হার, মুসফিকের হঠাৎ অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেয়া সর্বোপরি প্রথম টি-২০ তে হার। সবমিলিয়ে বাংলাদেশের এবারের জিম্বাবুয়ে সফরটা ছিল দুঃস্বপ্নের মতো। হয়তো ফেবারিটের এই বাড়তি চাপ তারা নিতে পারেনি। 

সবমিলিয়ে শেষ টি-২০ তে ভালো করা বাংলাদেশের জন্য একরকম চ্যালেঞ্জই ছিল। আগের টি-২০ তেও শামসুর-সাকিবদের ভালো খেলার পরও মিডল ও লোয়ার অর্ডারের ব্যর্থতায় জিততে পারেনি বাংলাদেশ। বাংলাদেশের জন্য তাই শেষ টি-২০ জেতার কোন বিকল্প ছিল না। ‘বাংলাদেশ সবসময় চাপে ভালো খেলে’ এই কথাকেই মেনে নিয়ে আজও টেলিভিশন সেটের সামনে বসেছিল ক্রিকেটপ্রেমীরা।

বুলাওয়ের কুইন্স স্পোর্টস ক্লাবে মুসফিক যখন টস করতে নামলেন তখন অনেকেই ভেবে নিয়েছিলেন এটাই হয়তো অধিনায়ক মুসফিকের শেষ টস। নিজের অধিনায়কত্বকেই হয়ত স্মরণীয় করে রাখার জন্য টসও জিতলেন। কিন্তু গ্যালারী থেকে কোন উচ্ছ্বাসী কন্ঠ ভেসে এলো না, কয়েক হাজার শ্বেতাঙ্গ-কৃষ্ণাঙ্গ আপন খেয়ালে নাচছেন, গাইছেন। ক্রিকেট বিশ্বে জিম্বাবুয়েই বোধহয় সেই দেশ যেখানে বাংলাদেশকে এমন দর্শক খড়ায় ভুগতে হয়।

টস জিতে অধিনায়ক (সম্ভবত বিদায়ী!!!) মুসফিক ব্যাটিং-এর সিদ্ধান্ত নেন। আগের দিনে অর্ধশতক করা শামসুর উৎসেয়ার প্রথম ওভারের চতুর্থ বলেই ওয়ালারের হাতে ক্যাচ তুলে দেন। শুরুতেই উইকেটের পতন কালকের ম্যাচেরই পুনরাবৃত্তি হবে বলে মনে হচ্ছিলো।

এরপর মাঠে নামেন সম্প্রতি ব্যাটিং অর্ডারে পদোন্নতি পাওয়া সাকিব। দুই বামহাতি যখন ব্যাটিং করছিলেন তখন অনেককেই একটু হতাশই মনে হচ্ছিল। সম্প্রতি তামিমের ফর্মটা ভালো যাচ্ছে না, আর গত জানুয়ারিতে ইনজুরিতে পরার পর থেকে সাকিবের সেই ধারাবাহিকতাকে যেন আর খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছিলো না। গতকালের ম্যাচে ভালো খেলার পরও ক্রিকেটের সাধারণ দর্শকেরা যেন সাকিবের উপর ভরসাই করতে পারছিলেন না। কিন্তু সবাইকে ভুল প্রমাণ করে সাকিব-তামিম মিলে ৮.১ ওভারে গড়ে তলেন ৮২ রানের পার্টনারশিপ।

দলীয় ৮৬ রানে সাকিব যখন মুসহাংগুয়ের বলে সিকান্দার রেজার হাতে ক্যাচ তুলে দিলেন তখন তার নিজের নামের পাশে যোগ করেছেন ৪০ রান। ২৮ বলে খেলা এই ইনিংসে ছিল ৬টি বাউন্ডারি ও ১টি ওভারবাউন্ডারি। সাকিবের ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছিলো সেই পুরনো সাকিব আবার ফিরে এসেছেন আপন রূপেই। অপরপ্রান্তে তামিম তখনো বলকে আগুনের গোলা বানিয়ে বাউন্ডারিতে আছড়ে ফেলছেন। বিধ্বংসী এই ওপেনার জিম্বাবুয়ের বোলারদের নাকের পানি, চোখের পানি একাকার করে দিয়ে করেন ৩০ বলে ৪৩ রান, যাতে ৬টি চারের সাথে ছিল ১টি ছয়ের মার। ১০১ রানে তামিমকে আউট করে জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক টেইলরের কপালের ভাঁজ মুছে দিলেন অভিজ্ঞ স্পিনার প্রসপেয়া উৎসেয়া। সাকিব-তামিমের আউটের পর কুইন্স স্পোর্টস ক্লাবের দর্শকরা যেন হাফ ছেড়ে বাঁচল। গত ৮ ওভার যে সাকিব-তামিম তাদের উচ্ছ্বাসকে প্রার্থনায় বদলে দিয়েছিলো।

সাকিবের পর ক্রিজে আসেন অধিনায়ক মুসফিক। অধিনায়কত্ব থেকে স্বেচ্ছা নির্বাসন নেয়া মুসফিক স্বভাবতই চেয়েছিলেন অধিনায়ক হিসেবে নিজের শেষ ম্যাচকে স্মরনীয় করে রাখতে। কিন্তু ১২ বলে ১৭ করার পর তাকে এল.বি.ডাব্লিউ-এর ফাঁদে ফেলেন হ্যামিল্টন মাসাকারজা। মাঠে আসেন গতকিছুদিন থেকে বাংলাদেশের অন্যতম ধারাবাহিকভাবে পারফর্মার নাসির হোসেন।

গত ম্যাচে শূন্য রানে রান আউট হওয়া নাসিরের কাছে আজকের ম্যাচে ভালো কিছু করার তাগিদ তো ছিলই, তারসাথে ছিল শেষ ম্যাচে বাংলাদেশকে তার হারানো সম্মান ফিরিয়ে দেবার তাড়াও। কিন্তু আজ ২৩ বলে ২৭ রান (দলীয় ১২৭) করার পর সিবান্দার দুর্দান্ত থ্রোতে রানআউট হন তিনি। মাহমুদুল্লাহ ১ ও মমিনুল ৯ রানে ফিরে গেলে বাংলাদেশের স্কোরকে আর বেশিদূর টেনে নিয়ে যাওয়া যায়নি। ২০ ওভার শেষে বাংলাদেশ করে ৭ উইকেটে করে ১৬৮ রান। রানরেটে  প্রতি ওভারে ৮.৪০।

উৎসেয়ার বলে দেখা যাচ্ছিলো যথেষ্ট অভিজ্ঞতার ছাপ। ৪ ওভারে মাত্র ১৫ রানে ২ উইকেট নিয়ে একটু বেশিরকমের কৃপণতার পরিচয় দিলেন তিনি। ভেক্টরি, পানিয়াঙ্গারা, হ্যামিল্টন মাসাকারজা ও মুসহাংগুয়ে ১টি করে উইকেট নেন।

১৬৯ রানের টার্গেটে জিম্বাবুয়ে ব্যাটিং করতে নেমে মাত্র ১.১ ওভারে হারায় গত কিছুদিন থেকে বাংলাদেশকে ভোগাতে থাকা হ্যামিল্টন মাসাকারজার উইকেট। রাজ্জাকের বলে ব্যাট চালিয়ে মিস করে বোল্ড হন তিনি। জিম্বাবুয়ের স্কোর তখন ৫/১। মাঠে আসেন অনফর্ম অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেইলর। কিন্তু সাকিব তাকে আউট করে জানিয়ে দিলেন আজ টেইলরের দিন নয়। নাসিরের হাতে ক্যাচ দেবার আগে টেইলর করেন ১৫ রান (দলীয় ৪৫/২)। অন্যপ্রান্তে লড়াই চালিয়েই যাচ্ছিলেন জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটদলের আরেক পারফর্মার সিবান্দা। মাত্র ১৯ বলে ৩২ রানের (৩ চার ও ১ ছক্কা) এক বিধ্বংসী ইনিংস খেলে যখন তিনি সাফিউলের বলে আউট হলেন তখন দলের রান ৫৩।

এ অবস্থায় স্বাগতিক দলের হাল ধরার জন্য মাঠে আসেন ওয়ালার ও রেজা। ওয়ালার ১৯ বলে ১৬ রান করে রানআউট হলেও লড়াই চালিয়ে যেতে থাকেন রেজা। ৩০ বলে ৩২ করে তিনি একরকম হুমকিই দিচ্ছিলেন। সাকিব তাকে বোল্ড করে জানিয়ে দেয় কোনকিছুই আজ বাংলাদেশের কাছ থেকে ম্যাচ ছিনিয়ে নিয়ে যেতে পারবে না। ছিঙ্গি মাসাকারজা ৯ ও উৎসেয়া ৬ রানে আউট হলে জিম্বাবুয়ের সিরিজ জয়ের স্বপ্নে ভাঁটা পড়ে। জিম্বাবুয়ের টেইলএন্ডারদের পাত্তাই দেয়নি টাইগারা। ৯ উইকেটে ১৩৪ রানেই থামিয়ে দেয় জিম্বাবুয়ের ইনিংস। ফলাফল বাংলাদেশ ৩৪ রানে জয়ী, সেই সাথে টি-২০ সিরিজ ১-১ এ ড্র।

বাংলাদেশের বোলারদের মাঝে আজও সাকিব ৪ ওভারে ২২ রানে ৪ উইকেট তুলে নিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন তার ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত। এছাড়া রাজ্জাক ও সফিউল ২ টি করে উইকেট নেন।৪০ রান ও ৪ চার উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হন সাকিব আল হাসান, সিরিজ সেরাও হন তিনি।

একটা সময় ছিল যখন ক্রিকেট সমালোচক ও ধারাভাষ্যকাররা বাংলাদেশ দলকে বলত “Most unpredictable team in cricket”। আজ শুধু দেশের সমর্থকরা কেন, ক্রিকেট বিশ্লেষকরাও বাংলাদেশের সম্ভাবনার বলে, কথা বলে ধারাবাহিকতার। অনেকেই এখন সমীহের চোখে দেখে টাইগারদের। এই সম্মান টিকিয়ে রাখতে হলে মাঠেই নিয়মিত পারফর্ম করতে হবে সাকিব-তামিমদের।

জিম্বাবুয়ে সিরিজে দেশের ক্রিকেটভক্তদের প্রত্যাশা ছিল অনেক কিন্তু সিরিজ শেষে বাংলাদেশের ঝুলি অনেকটা শূন্যই রইলো। এবারের সিরিজের ভুলগুলো শুধরে আগামী সিরিজে বাংলাদেশ ভালো করবে এই প্রত্যাশা রইলো টাইগারদের প্রতি।

 রিপোর্ট : নিপুণ কাওসার

এনকে-১১/০৫-০৪

 

--------------------------------------------------------------------------------------------------

টি-টোয়েন্টির প্রথম ম্যাচেও হার টাইগারদের

হার দিয়ে শুরু টি-টোয়েন্টি সিরিজ
 প্রস্তুতি : খেলা (প্রতিমুহূর্ত.কম) ---
স্বাগতিক জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টি- টোয়েন্টি সিরিজ হার দিয়ে শুরু করেছে টাইগাররা। জিম্বাবুয়ের দেয়া ১৫৯ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১৬২ রানে থেমে যায় মুশফিকদের ইংনিস। 
শেষ ওভারে বাংলাদেশের জয়ের জন্য ১০ রান প্রয়োজন ছিলো। কিন্তু ওই ওভারে টাইগাররা ৪ রান সংগ্রহ করে ১ উইকেট হারিয়ে। প্রথম বলে মুশফিক বিদায় করেন অভিষিক্ত পানিয়াঙ্গারা।, দ্বিতীয় বলে সোহাগের ১ রান নিলে জয়র জন্য ড্রয়োজন হয় ৪ বলে ৯ রান। কিন্তু তৃতীয় বলে এক রানের বেশি নিতে পারলেন না রাজ্জাক। চতুর্থ বলে সেহাগ গাজী এক রান নিলে জয়ের জন্য প্রয়োজন পড়ে ২ বলে ৭। কিন্তু পঞ্চম বলে রাজ্জাক ব্যাটে বল লাগাতে ব্যর্থ হলেও শেষ বলে পানিয়াঙ্কার শিকার হন।
সাকিব-শামসুরের ১১৮ রানের জুটির কল্যানে জিততে পারেনি মুশফিকরা। সাকিব আল হাসান টেলরের কল্যানের দুই বার স্ট্যাম্পিং হওয়া থেকে বেচে যান। শেষ পর্যন্ত  সাকিব ৫৬ বল খেলে ৬৫ রান করেন। অন্যদিকে অভিষিক্ত শামসুর রহমান ৪৮ বলে ৫৩ রানের ইনিংস খেলেন। এছাড়া শেষের দিকে অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের ২৮ রানের কল্যানে জিততে পারেনি বাংলাদেশ। এই হারের ফলে ২ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ১-০ তে এগিয়ে গেলো স্বাগতিকরা।
জিম্বাবুয়ে বোলারদের মধ্যে পানিয়াঙ্গারা সর্বোচ্চ ৩টি এবং উৎসিয়া ২টি উইকেট নেন। 
এর আগে টেলর-মাসাকাদজার কল্যানে ১৬৮ রান সংগ্রহ করে জিম্বাবুয়ে। ইনিংসের শুরুতেই ভুসি সিবান্দাকে আউট করে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিচ্ছিলো টাইগাররা। কিন্তু অধিনায়ক টেলর ও ওপেনার মাসাকাদজার ঝড়ো ব্যাটিং বিশাল স্কোর সংগ্রহ করে স্বাগতিকরা। 
সাকিব আল হাসান টেইলরকে ফেরানোর আগে ২৫ বল খেলে ৪০ রান করেন জিম্বাবুয়েন এই ক্রিকেটার। টেলরের আউটে মাসাকাদজা ৪৮ বলে ৫৯ রানের কার্যকরী ইংনিস খেলে বড় স্কোড় গড়তে সমর্থ হয়। এই নিয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে মাসাকাদজার এটি সপ্তম অর্ধশতক। 
জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটারদের মধ্যে অভিষিক্ত সেকান্দার রাজাকে সাকিব ১৪ রানে ফেরান। এছাড়া মুতুমবোজি ১২ রানে এবং ওয়ারলার ২৬ রানে অপরাজিত ছিলেন।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সাকিব আল হাসান সর্বোচ্চ ২টি এবং সোহাগ গাজী, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও শফিউল ইসলাম প্রত্যেকে একটি করে উইকেট নেন।
এই ম্যাচে বাংলাদেশের পক্ষে টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয়েছে ডানহাতি পেসার সাজেদুল ইসলামের ও ডানহাতি ব্যাটসম্যান শামসুর রহমানের।
এবারের সফরে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ১-১ সমতায় নিয়ে শেষ করতে পারলেও, ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে হেরে যায় বাংলাদেশ।
সিরিজ হারের ক্ষতটাকে আরও বাড়িয়ে দিয়ে মুশফিকুর রহিম ব্যর্থতার দায় কাঁধে আকস্মিকভাবে বাংলাদেশের অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।
এর আগে ২০০৬ সালে খুলনাতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৪৩ রানে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ।
১২ মে একই মাঠে শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দিয়ে জিম্বাবুয়ে সফর শেষ করবে টাইগাররা।
আরএম-১১/৫-৪

 

 

------------------------------------------------------------------------------

টি-টোয়েন্টিতে টাইগারদের ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয়

প্রস্তুতি: খেলা (প্রতিমুহূর্ত.কম)

মুশফিকের পদত্যাগ, টেস্ট সিরিজ ড্র,ওয়ানডে সিরিজ হার --সব মিলিয়ে কি হতে যাচ্ছে আজ বুলাওয়ের কুইন্স ক্লাব মাঠে।

টাইগার ক্যাপ্টেন  মুশফিফকের পদত্যাগ সম্পর্কে জালাল  উদ্দিন বলেছেন, চলমান সিরিজের মধ্যে হঠাৎ  যদি অধিনায়ক বলে আমি রিজাইন করব তাহলে ডেফিনিটলী টিমের উপর একটা ইফেক্ট তো হবেই।

স্বাভাবিকভাবেই  এবার নজর থাকবে ব্যর্থ টপ অডারের দিকে। দলে তাই থাকছে একাধিক পরিবর্তন । কিন্তু তাতে কি টি-টোয়ান্টিতে নিজেদের ভাগ্যের পরিবর্তন আনতে পারবে বাংলাদেশ? তাই বুলাওয়ের উইকেটে আজ ও আগামী কালের দুটি ম্যাচে বাড়তি চাপ থাকছে মুশফিকদের উপর।   মনোবলে চিড় ধরার সঙ্গে যোগ হয়েছে আকাশ বাতাসে নানা গুজবের অনুরণ।

সব বাঁধা পেরিয়ে বছরের প্রথম টি-টোয়ান্টি জয়ের চাপটা কম নয়।

আজকের ম্যাচ সম্পর্কে শাহারিয়ার নাফিস বলেন,”যেটা চলে গিয়েছে,তা চলে গিয়েছে, বিশ্বাস করতে হবে এবং বিশ্বাস না করলেও  সত্যি যে আমরা জিম্বাবুয়ের চেয়ে অনেক ব্যাটার দল। বাংলাদেশ যখন-ই চাপে বা ক্রাইসিসে থাকে তখনই বাংলাদেশ ভালো খেলে।”

আত্মবিশ্বাস নিয়েই এবার মাঠে নামা উচিত বাংলাদেশের। পরিসংখ্যান বলে এখন পযন্ত টি-টোয়ান্টিতে ২৮ ম্যাচে টাইগারদের জয় মাত্র ৮ টি। প্রায় ৭ বছর আগে খুলনার মাঠে একমাত্র টি-টোয়ান্টিতে ৪৩ রানে জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে ছিল  টাইগার বাহিনী।

বর্তমান আইসিসি টি-টোয়ান্টি রেটিং ও পয়েন্ট অনুযায়ী বাংলাদেশ ৯ম এবং জিম্বাবুয়ে ১১।


                          ম্যাচ      রেটিং      পয়েন্টস্
বাংলাদেশ                 ১২        ৮২         ৭৪২
জিম্বাবুয়ে                  ১২        ৪১          ৩৭৩


তথ্য:ওয়েব

লেখা:রাবিদ ইসলাম হৃদয়
আরআই-১১/৫-২


 
-------------------------------------------------------------------------------------------

বাংলাদেশের অলিম্পিক গেমস ও আনসারদের আধিপত্য


প্রস্তুতি : খেলা (প্রতিমুহূর্ত.কম) ---

১৫ মার্চ ১৯৭৮ ‘বাংলাদেশ অলিম্পিক গেমস’ নামে ঘরোয়া ক্রীড়াঙ্গনের সর্ববৃহৎ আসরের পথচলা শুরু। সময়ের পরিক্রমায় আসরের পরিবর্তিত নাম হয়েছে ‘বাংলাদেশ গেমস’। নির্ধারিত সময়ের ৬ বছর পর ২০-২৮ এপ্রিল ২০১৩ অনুষ্ঠিত হয় ঘরোয়া ক্রীড়াঙ্গনের সর্ববৃহৎ এ আসরের অষ্টম আয়োজন।

নানা চড়াই,উৎরাই পেরিয়ে দীর্ঘ ১১ বছর ১ মাস ১ দিন পর বার্ণিল উদ্বোধনের মধ্যে দিয়ে ২০ এপ্রিল শনিবার পর্দা ওঠে বাংলাদেশের অলিম্পিক খ্যাত অষ্টম বাংলাদেশ গেমসের। ‘হৃদয়ে খেলার স্পন্দন’ স্লোগান নিয়ে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, চোখ ধাঁধানো আলোর ঝলকানি আর আতশবাজির উৎসবে শুরু করা হয় দেশের সবচেয়ে বড় ক্রীড়াযজ্ঞ।

এর আগে ১৯ এপিল শুক্রবার সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ থেকে ১০ জন ক্রীড়াবিদ জ্বলন্ত মশাল নিয়ে দৌড় শুরু করেন। এরপর তা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সুসজ্জিত মোটর সাইকেল শোভাযাত্রা করে আনা হয় আর্মি ষ্টেডিয়ামে। সেখান থেকে ৩৬ জন ক্রীড়াবিদেও একটি দল মশাল নিয়ে আসেন জাতীয় ষ্টেডিয়ামে। ২০ এপ্রিল শনিবার সেখানে মশাল হাতে দৌড়ান ৪ ক্রীড়াবিদ। সর্বশেষ লিফটে চড়ে মশাল স্টান্ডে দাঁড়িয়ে মশাল জ্বালান সাবেক হকি তারকা জুম্মান লুসাই।

বাংলাদেশ গেমস প্রতিযোগিতা হয় ৩৪৬ টি স্বর্ণ, ৩৪৬ টি রৌপ্য ও ৪৭৭ টি ব্রোঞ্জ পদকের জন্য। কয়েকটি ইভেন্টে ২ টি কওে ব্রোঞ্জ পদক দিতে হয়। দলগত ইভেন্টে দলের প্রত্যেককে আলাদা কওে পদক দেয়ায় পদক সংখ্যা বেশি কওে বানাতে হয়। সে হিসেবে অষ্টম বাংলাদেশ গেমসে মোট পদক সংখ্যা ছিল ২ হাজার ২৪৩ টি। এ আসরে প্রথম স্বর্ণ পদক লাভ করে টেনিসের পুরুষ দ্বৈতে যৌথভাবে অমল রায় ও হেনরি পৃথুল।

২০ এপ্রিল শুরু হওয়া অষ্টম বাংলাদেশ গেমসের সাদামাটা সমাপনীতে পর্দা নামে। সাভার ট্রাজেডির কারণে সমাপনী অনুষ্ঠানের চাকচিক্য বর্জন করা হয়েছে। সাদামাটা সমাপনীর মধ্যদিনে পর্দা নামে ১১ বছর পর অনুষ্ঠিত অষ্টম বাংলাদেশ গেমসের। সমাপনী অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধান অতিথির আগমণ তারপর এভি ডিসপ্লে, মাসকট ও মার্চপাস্টের মাধ্যমে অ্যাথেলিটদের মাঠে প্রবেশ, এক মিনিট নীরবতা পালন, মাসকটের বিদায়, মশাল নিভিয়ে ফেলা ইত্যাদি।

বাংলাদেশ গেমসের সমাপনী ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এ সময় যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আহাদ আলী সরকার এমপি, বিওএ’র সভাপতি ও সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ইকবাল করিম ভূঁইয়া, মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা, সহ-সভাপতি ও স্টিয়ারিং কমিটির চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ, অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু, মিজানুর রহমান মানু, শেখ বশির আহমেদ মামুন, উপ-মহাসচিব বাদল রায়, আশিকুর রহমান মিকু, এসএম ইমতিয়াজ খান বাবুল ও বাংলাদেশ হ্যান্ডবল ফেডারেশনের সভাপতি নুরুল ফজল বুলবুল উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ গেমসে টানা চতুর্থবারের মতো শীর্ষস্থানে নিজেদের সাফল্য ধরে রেখেছে বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি দল। দেশের ক্রীড়াঙ্গনে তাদের অবদান আরও একবার প্রমাণ করল সার্ভিসেস এই দলটি।সদ্যসমাপ্ত বাংলাদেশ গেমসে ১১১টি স্বর্ণ, ৭৪টি রুপা ও ৬৫টি ব্রোঞ্জসহ ২৫০টি পদক জিতে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব ফের প্রমাণ করল আনসার।

১৯৯২ সালে পঞ্চম বাংলাদেশ গেমস থেকেই পদক তালিকার শীর্ষস্থান ধরে রাখা শুরু আনসারের। সেবার তারা ৫০টি স্বর্ণ জিতে পদক তালিকার শীর্ষস্থান দখল করে নেয়।

১৯৯৬ সালে ষষ্ঠ বাংলাদেশ গেমসে ৬৯টি স্বর্ণ জিতে শীর্ষস্থান ধরে রাখে আনসার। ২২ ডিসিপ্লি¬নে তিন হাজার ৬৭৯ জন ক্রীড়াবিদের আসরে আনসারের সাঁতারু রেহানা জামান ব্যক্তিগতভাবে ১০টি স্বর্ণ জিতে সেরা ক্রীড়াবিদের মর্যাদাও পান।

২০০২ সালে সপ্তম বাংলাদেশ গেমসেও সেরার মুকুট ছিল এই আনসার বাহিনীর মাথায়। ২৫টি ডিসিপ্লি-নের ওই আসরে ৬৫টি স্বর্ণ, ৬১টি রুপা ও ৬৪টি ব্রোঞ্জসহ ১৯০টি পদক জিতে তৃতীয় বারের মতো গেমসের শীর্ষস্থানে থাকে। তারা পরপর তিনবার গেমসের শীর্ষস্থান দখলে রাখায় ওই বছরেই স্বাধীনতা পুরস্কার পায় বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি বাহিনী। বাংলাদেশ গেমসের অষ্টম আসরে ডিসিপ্লিন সংখ্যা বাড়ায় আনসারের পদক সংখ্যাও বেড়েছে। গেমসের মোট ৩৩৬টি স্বর্ণের মধ্যে আনসারের অর্জন ১১১টি।

লেখা : আব্দুল্লাহ আল জুবায়ের

এজে- ১০/৫-১



-------------------------------------------------------------------------------------------------------


আইপিএল কাহন



প্রস্তুতি : স্পোর্টস (প্রতিমুহূর্ত.কম)--
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) -এর জন্ম ২০০৭ সালে  তৎকালীন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি ললিত মোদী ও রাজীব শুক্লার উদ্যোগে শুরু হয় ক্রিকেটের এই জমকালো আসর। কাড়ি কাড়ি অর্থ, বিশ্বমানের খেলোয়াড়, বলিউড তারকাদের উপস্থিতি আইপিএলের জনপ্রিয়তাকে সারা বিশ্বে আকাশচুম্বী করে তুলেছে।
আইপিএল ১ :
২০০৭ সালে উদ্যোগ নেয়া হলেও আইপিএল মাঠে গড়ায় ২০০৮ সালের ১৮ এপ্রিল কলকাতা নাইট রাইডার্স ও রাজস্থান রয়েলস এর ম্যাচের মাধ্যমে। ৪৩ দিনের এই লিগে মোট ম্যাচ ছিল ৫৯ টি তার মাঝে ৫৮ টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়, খারাপ আবহাওয়ার কারণে একটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়নি। ফাইনাল ম্যাচে মুখোমুখি হয় রাজস্থান রয়েলস ও চেন্নাই সুপার কিংস। প্রথম আইপিএলের ট্রফি ঘরে তোলে রাজস্থান। সেই সিরিজে সেরা খেলোয়াড় হন শেন ওয়াটসন, সেরা ব্যাটম্যান শন মার্স, সেরা বোলার রাজস্থান রয়েলসের সোহেল তানভীর (পাকিস্তান)।
আইপিএল ২ :
প্রথমবার ব্যাপক জনপ্রিয়তা সত্ত্বেও ২০০৯ সালে নিরাপত্তাজনিত কারণে নিজের দেশেই আইপিএল ব্রাত্য হয়ে পড়ে। আইপিএলের দ্বিতীয় আসর শুরু হয় দক্ষিণ আফ্রিকায়। ফাইনালে মুখোমুখি হয় ডেকান চেজার্স ও রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গেলুর। দ্বিতীয় আইপিএলের ট্রফি যায় ডেকানের ঘরে। প্রথম আসরের মত এই আইপিএল ট্রফিও ঘরে তুলল কোন আন্ডারডগ দল। 
আইপিএল ৩:
আইপিএলের তৃতীয় আসরে এর জনপ্রিয়তা আরও বিস্তৃত হয়। এবছর আইপিএল ফিরে আসে আবার ভারতে। ভারতীয় সিনেমা হলগুলোতে আইপিএলের ম্যাচ সরাসরি দেখানো হয়। অর্থ কেলেঙ্কারির কারণে এ বছরে ললিত মোদী আইপিএলের দায়িত্ব থেকে বরখাস্ত হন। এই আসরের ফাইনালে মুখোমুখি হয় দুর্দান্ত ফর্মে থাকা মুম্বাই ইন্ডিয়ান ও চেন্নাই সুপার কিংস। এ বছরের কাপ যায়  ধোনীর চেন্নাইয়ের হাতে যায়।
আইপিএল ৪ :
আইপিএলের এই আসরে আগের দলগুলোর সাথে যোগ হয় নতুন দুই দল কোচি টাস্করস ও পুনে ওয়ারিয়র্স। রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গেলুরকে ফাইনালে ৫৮ রানে হারিয়ে চেন্নাই টানা দ্বিতীয়বারের মত আইপিএলের ট্রফি জেতে। আইপিএলের ইতিহাসে এবারই কোন দল টানা দুবার ট্রফি জিতল।
আইপিএল ৫ :
আগের আসরেই যোগ হওয়া কোচি এবারের আসরেই সংবিধান লঙ্ঘনের কারণে বাদ পড়ে। প্লেঅফে খেলে চেন্নাই, দিল্লি, কলকাতা ও মুম্বাই। এই আসরে ১৪ টি ম্যাচের ফল আসতে শেষ বল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ ওঠে ৫ ক্রিকেটারের উপর। ফাইনালে মুখোমুখি হয় আগের দুইবারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই ও কলকাতা। এ আসরের শিরোপা জেতে কলকাতা।
আইপিএল ৬ :
এবারের আইপিএল তার টাইটেল স্পন্সর বদলে পেপসির সাথে নতুন চুক্তি করে। ডেকান চেজার্স তার নাম বদলে হয় সানরাইজেজ হায়দ্রাবাদ। সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় হিসেবে এ আসরে নাম লেখান অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। কলকাতা ও দিল্লির ম্যাচ দিয়ে এ আসরের পর্দা ওঠে। এখন পর্যন্ত সেরা ব্যাটসম্যান মাইক হাসি (৫৫৪ রান), সেরা বোলার চেন্নাইয়ের ডুইন ব্রাভো (২১ উইকেট), সবচেয়ে বেশি ছক্কা (ক্রিস গেইল), ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ স্কোর ক্রিস গেইল (১৭৫, ৬৮ বলে)।
চলছে আইপিএল ছয় :
এখন পর্যন্ত আইপিএল ছয়ের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে চেন্নাই থাকলেও তারকাখচিত ক্রিকেটারের কারণে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গেলুরকে ফেবারিট ধরা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত সেরা চারদল চেন্নাই, রাজস্থান, মুম্বাই ও ব্যাঙ্গেলুর। চেন্নাইকে শিরোপা জয়ের রসদ যোগাচ্ছে দুবার শিরোপা জয়ের আত্মবিশ্বাস, মাইক হাসি ও ব্রাভোর পারফর্মেন্স। রাজস্থানের নিয়মিত পারফর্মার না থাকলেও দলের প্রয়োজনে জ্বলে উঠছেন শেন ওয়াটসন, রাইডু, দ্রাবিররা। কাইরন পোলার্ডের দুর্দান্ত ফিল্ডিং, রোহিত শর্মা ও দীনেশ কার্তিকের অসাধারণ ব্যাটিং নৈপুণ্য ও শচীনের অভিজ্ঞতা এখন পর্যন্ত  মুম্বাইকে সেরা তিনে ধরে রেখেছে। গেইল, দিলশান, কোহলি, ডিভিলিয়ার্স, মুরালিদের ব্যাঙ্গেলুরকে অনেকেই এবছরের চ্যাম্পিয়ন ভাবছেন।
জমে উঠেছে এবারের আসর, এখন অপেক্ষা ষষ্ঠ আসরের ট্রফি কার ঘরে ওঠে সেটা দেখার । 
লেখা : নিপুণ কাওসার
এনকে-১০/০৫-০১ 
---------------------------------------------------------------------------------------------

 

 

 

জিম্বাবুয়ে বনাম বাংলাদেশ, কী হবে টি-টোয়ন্টিতে?


প্রস্তুতি : স্পোর্টস (প্রতিমুহূর্ত.কম)--

জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ ড্র, ওয়ানডে সিরিজ হার,এখন প্রশ্ন হল টি-টোয়েন্টিতে কী ফলাফল দেশবাসীকে উপহার দিতে যাচ্ছে টাইগাররা ?

আর মাত্র কয়েক দিন পরই পর্দা উঠতে যাচ্ছে ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আসর  টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০১৪ এর। এবারই প্রথম ২০১৪ টি-টোয়ন্টির বিশ্ব আসরের একক আয়োজক হচ্ছে লাল সবুজের বাংলাদেশ।  এই জমজমাট আসরটি শুরু হবে আগামী বছরের ১৬ মার্চ। ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ৬ এপ্রিল। অংশ নিবে ১৬ টি দেশ।

ক্রিকেটের এই নতুন ফরম্যাটটি ইতোমধ্যেই খুব দ্রুতই সবাইকে কাছে টেনে নিয়েছে। টি-টোয়ন্টিতে আসলে বড় দল বা ছোট দল বলে কথা নেই। আন্ডারডগ যে কোনো দল হারিয়ে দিতে পারে ফেভারিট বড় কোনো দলকে।

ফিরে দেখা যাক অতীত ইতিহাস:

২০০৭ টি-টোয়ান্টি বিশ্বকাপ:
২০০৭ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর ওয়ানডারস্ স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। আর সেই ম্যাচে বাংলাদেশ ক্যরিবিয়দের হারায় ৬ উইকেটে। এটিই ছিল টি-টোয়ান্টিতে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয়। ওই ম্যাচে ম্যান অব দ্যা ম্যাচ হন আশরাফুল। এই জয়ে সুপার এইটে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে টাইগাররা। সুপার এইটে টাইগার বাহানী সাউথ আফ্রিকা , অস্ট্রেলিয়া,শ্রীলংকা ও পাকিস্তানের কাছে পরাজিত হয়ে ছিল।

২০০৯ টি-টোয়ান্টি বিশ্বকাপ:
২০০৯ সালের ৬ জুন ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামে বাংলাদেশ।ওই ম্যাচে ভারতের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৮০ রান, আর বাংলাদেশ করে ১৫৫ রান ৮ উইকেটের বিনিময়ে।
আর সবচেয়ে বড় অঘটন ঘটে ৮ জুন সোমবার । আয়ারল্যান্ড বাংলাদেশকে হারায় ৬ উইকেটে। এরে ফলে টাইগাররা ছিটকে পড়ে বিশ্বকাপ আসর থেকে।

২০১০ টি-টোয়ান্টি বিশ্বকাপ:
১ মে ও ৫ মে যথাক্রমে পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়ার কাছে হার মানে বাংলাদেশ। এ টুর্ণামেন্টে প্রথম পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হয় টাইগারদের।

২০১২ টি-টোয়ান্টি বিশ্বকাপ:
২০১২ সালে বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ডের কাছে ৫৯ রানে ও পাকিস্তানের কাছে ৮উইকেটের বিশাল ব্যবধানে পরাজিত হয়।

উপরের পরিসংখ্যান থেকে থেকে বোঝা যায় বাংলাদেশের  টি-টোয়ান্টি ফিগার।

যাই হোক, আমাদের সকলের আশা প্রত্যাশা, আমারা চাই জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ জিতেই সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে যাক বাংলাদেশ। আমাদের এই চাওয়া পাওয়া কোনো আবেগের বশে নয়। যোগ্যতার প্রমানেই আমারা জয়  প্রত্যাশা করছি । কারণ আমাদের ভান্ডারে আছে বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডার সাকিব। আরো আছেন তরুণ উদীয়মান নাসির, যে কিনা নিজেকে উজার করে খেলে থাকেন। শ্রীলংকার মাঠে বড় ইনিংস খেলায় অভিজ্ঞ আশরাফুল। বিগ হিটার তামিম। তরুণ পেসার শফিউল ও রবিউল। আছেন স্পিন যাদুকর রাজ্জাক, যে কিনা দলের প্রয়োজনে ভালো ব্যাট করে থাকেন। এর প্রমান রেখেছেন ২য় ওয়ানডেতে। আর তাদের সাথে আছেন গত ম্যাচে ভালো খেলা মাহমুদুল্লা, মমিনুল, জিয়াদের নিয়ে গঠিত এক ঝাঁক তরুণ। আমারা আর কোনো দুঃসহ স্মৃতি বয়ে বেড়াতে চাই না। টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ আমাদের কাছে এখন শুধু স্মৃতি।

এগিয়ে যাও বাংলাদেশ, ভুলে যাও দুঃসহ স্মৃতি  ,ষোল কোটি মানুষ আজ তোমাদের সাথে। তোমাদের শুভ কামনায় ১৬ কোটি হৃদয় এক সাথে প্রার্থনারত।

লেখা : রাবিদ ইসলাম হৃদয়

আরআাই-১০/৫-১

 

 

---------------------------------------------------------------

সিরিজ জিতে নিল জিম্বাবুয়ে



 প্রস্তুতি : স্পোর্টস (প্রতিমুহূর্ত.কম) ---

পারলো না টাইগাররা, ওয়ানডে সিরিজ জিতে নিল জিম্বাবুয়ে। ভুসি সিবান্দা ও শন উইলিয়ামসের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে সহজ জয় পেল জিম্বাবুয়ে। সাত উইকেটের এই জয়ে বাংলাদেশকে ২-১ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজে হারাল স্বাগতিকরা।

 বুলাওয়ের মাটিতে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে প্রথমটিতে জয় পায় বাংলাদেশ। কিন্তু দ্বিতীয়টিতে সেই জয়ের ধারা ধরে রাখতে পারেনি লাল-সবুজের দলের তারকা। আর ছয় ম্যাচে পর ওয়ানডেতে জয় পেয়ে সিরিজ জয়েও বেশ আত্মবিশ্বাসী ছিল জিম্বাবুয়ে। শেষ ম্যাচেও সেই আত্মবিশ্বাসের প্রমাণও রেখেছে স্বাগতিকরা।

তাদের এই জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছেন ওপেনার সিবান্দা। কারণ তার অপরাজিত ১০৩ রানের ইনিংসে ১৭ বল হাতে থাকতে জয় পায় স্বাগতিকরা। তবে তার সেঞ্চুরিটির জন্য কয়েকটি বল ছেড়ে দেন উইলিয়ামস।
বুধবার বুলাওয়ের কুইন্স স্পোর্টস ক্লাব মাঠে টসে জয় পায় জিম্বাবুয়ে। তখনই যেন তাদের জন্য এই জয়টিও নিশ্চিত হয়ে যায়। কারণ প্রথমে ফিল্ডিং নিয়ে বাংলাদেশকে মাত্র ২৪৭ রানে আটকে দেয়। আর ব্যাট করতে নেমেই উদ্বোধনী জুটিতে করে ৭৯ রান। ৪১ রান করে রবিউলের বলে মাসাকাদজা সাজঘরে ফিরে গেলেও লড়াই চালিয়ে যান সিবান্দা। ওয়ানডাউনে নামা সিকান্দার রাজাকে নিয়ে ৫৬ রানের  জুটি গড়েন তিনি। কিন্তু বাংলাদেশের বোলার জিয়াউর রহমান ৩৭ রান করা সিকান্দারকে আউট করে দেন।
এরপর মাঠে এসে দুই রান করেই মাহমুদুল্লাহর বলে বিদায় নেন অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেলর। কিন্তু বোলাররা আর কোন উইকেটরে ধেকাই পাননি। সিবান্দার ১০৩ রানের সঙ্গে ৫৫ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন শেন উইলিয়ামস।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১৫ রানে দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংরাদেশ। তবে তৃতীয় জুটিতে আশার আলো দেখায়। কিন্তু জিম্বাবুয়ে বোলিং তোপে রানের চাকা বেশ ঘুরাতে পারছিল না সফরকারী ব্যাটসম্যানরা। তারপরও শেষ দিকে মাহমুদুল্লাহর ওয়ানডে ক্যারিয়ারে সেরা ও এই ম্যাচের দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রানের ইনিংসে জিম্বাবুয়েকে ২৪৮ রানের টার্গেট দেয় বাংলাদেশ।

এই ম্যাচে জিম্বাবুয়ের পেসার শিঙ্গি মাসাকাদজার পরিবর্তে দলে ফেরা ভিটোরি উইকেট শিকার করলেও ভাল কিছু দেখাতে পারেননি মুমিনুলের পরিবর্তে একাদশে যোগ দেওয়া জহুরুল ইসলাম। কারণ আশরাফুলের পাঁচ রান করে বিদায় হওয়ার পর শূন্য রানেই সাজঘরে ফিরে যান জহুরুল। আর তারা দুই জনই ভিটোরির শিকার।
এরপর তামিমের সঙ্গে যোগ দেন মুশফিকুর রহিম। তারা দুই জন গড়ে তোলেন ৬২ রানের জুটি। কিন্তু এই জুটি ভেঙ্গে যায় ৩২ রান করা মুশফিকের আউট হওয়ায়। উৎসিয়ার বলে চাতারার হাতে ক্যাচ আউট হন তিনি। দলের রানের খাতায় আর সাত রান যোগ হতেই ৩২ রান করা তামিমকে মাঠ থেকে বিদায় করে দেন বোলার চাতারা।
দলের ভরসার পাত্র সাকিবের সঙ্গে জোট বাধেন নাসির। কিন্তু বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারেনি এই জুটি। উইলিয়ামসের বলে সিবান্দার হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে মাঠ থেকে চলে গেলেন সাকিব (১৮)। কিন্তু দলের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর গড়েন নাসির। জারভিসের বলে আউট হওয়ার আগে চার বাউন্ডারিতে ৬৩ রান করেন তিনি। পরে পাঁচ রান করেই মাঠ ছাড়েন জিয়াউর রহমান।
শেষ দিকে মাহমুদুল্লাহর অপরাজিত ৭৫ রান করলে নির্ধারিত ওভারে নয় উইকেটের বিনিময় ২৪৭ রান করে বাংলাদেশ। পাঁচটি চার ও দুটি ছক্কায় এই স্কোর গড়েন মাহমুদুল্লাহ। জিম্বাবুয়ের বোলার জারভিস, ভিটোরি এবং চাতারা প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট পান।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সালাহ্উদ্দিন লাভলুর ধারাবাহিক নাটক 'কবুলীয়তনামা'

পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট ২টি গল্প

নাচো নাচো (রিমিক্স)