ধর্ষণের পরীক্ষায় নারী চিকিৎসক নিয়োগের নির্দেশ

ধর্ষণের পরীক্ষায় নারী চিকিৎসক নিয়োগের নির্দেশ

 
 প্রস্তুতি : নারী (প্রতিমুহূর্ত.কম/ protimuhurto.com) ---

ধর্ষণের শিকার নারীর শারীরিক পরীক্ষা ও বয়স নির্ধারণের জন্য নারী চিকিৎসক নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি কেউ চিকিৎসাসেবা নিতে গেলে তার সম্মান অক্ষুন্ন রাখারও নির্দেশ দেওয়া হয়ছে স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি।
 
 
 বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি এ বি এম আলতাফ হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ৬ মে সোমবার এ আদেশ দেন। এ নির্দেশ বাস্তবায়নের অগ্রগতির প্রতিবেদন তিন মাসের মধ্যে আদালতে পেশ করতে বলা হয়েছে। ।
 
 
সম্প্রতি ধর্ষণের শিকার নারীদের নিয়ে একটি  দৈনিক পত্রিকায় ‘নারীর জন্য এ কেমন ব্যবস্থা?’ শীর্ষক   প্রতিবেদন ছাপা হয়। এতে বলা হয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ডিএমসি) ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগে ধর্ষণের শিকার নারীর শারীরিক পরীক্ষা করেন পুরুষ চিকিৎসক। ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে কোনো নারী চিকিৎসক নেই। কোনো নারী নার্স, এমনকি আয়াও নেই।

প্রতিবেদনটি ওই দিন আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জ্যোর্তিময় বড়ুয়াসহ কয়েকজন আইনজীবী।
 
প্রাথমিক শুনানির পর আদালত স্বতঃপ্রণোদিত রুল জারির পাশাপাশি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ডিএমসিএইচ) পরিচালক ও ফরেনসিক বিভাগের প্রধানকে ২৮ এপ্রিল হাজির হতে নির্দেশ দেন। এ দুই কর্মকর্তা ২৮ এপ্রিল আদালতে হাজির হন। ওই দিন আদালত ডিএমসিএইচের পরিচালককে হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেন।
 
আদালত ৬ এপ্রিল পরবর্তী দিন ধার্য করেন ও ফরেনসিক বিভাগের প্রধানকে এদিন হাজির হতে বলেন। নির্দেশ অনুসারে সোমবার ফরেনসিক বিভাগের প্রধান মোখলেছুর রহমান হাজির হন ও তার ব্যাখ্যা জানান। শুনানি নিয়ে তাকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেন আদালত।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিত রায়, আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া শুনানি করেন।
 
ফরেনসিক বিভাগের প্রধান কাজী গোলাম মোখলেসুর রহমান বলেন, রোগীরা এলে কার্যপ্রণালি অনুসরণ করা হয়। আদালত বলেন, ‘এটা কখনো অনুসরণ করেন না। তাহলে বলেন প্রতিবেদনটি সত্য নয়। বছরের পর বছর এভাবেই চলছে।’
 
এ পর্যায়ে আইনজীবী আফতাব উদ্দিন ছিদ্দিকী হলফনামাসহ প্রতিবেদন দাখিল করেন। আদালত বলেন, ‘এতে বলা হয়েছে, প্রতিবেদনটি সত্য। মহিলা এমএলএসএস  ছিলেন না।’ 
 
জবাবে চিকিৎসক বলেন, ‘১২ বছর ধরে একজন নারী এমএলএসএস আছেন। তবে, অনেকবার বলা হলেও নারী চিকিৎসক দেওয়া হয়নি।’ আদালত বলেন, ‘এখন অবস্থা কী?’ জবাবে চিকিৎসক বলেন, ‘দুজন নারী চিকিৎসক আছেন। দুজন (চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী) এমএলএসএস  নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারা এখনো যোগ দেননি। পরে আদালত আদেশ দেন।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সালাহ্উদ্দিন লাভলুর ধারাবাহিক নাটক 'কবুলীয়তনামা'

পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট ২টি গল্প

নাচো নাচো (রিমিক্স)