মৃতের সংখ্যা নিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে : পুলিশ কমিশনার

মৃতের সংখ্যা নিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে : পুলিশ কমিশনার


প্রস্তুতি : জাতীয় (প্রতিমুহূর্ত.কম)

মতিঝিলের শাপলা চত্বরে অবস্থান নিয়ে তাণ্ডব চালাতে থাকা হেফাজতকর্মীদের সরাতে ১০ মিনিটের অভিযানের সময় ‘হাজার হাজার’ মানুষের মৃত্যুর অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার বেনজীর আহমেদ বলেন, “শাপলা চত্বরে অপারেশন ফ্ল্যাশ আউটে মৃতের সংখ্যা নিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। আমরা সমাবেশস্থল থেকে সাতটি মৃতদেহ উদ্ধার করেছি। এছাড়া আমাদের এক সহকর্মীকে হেফাজতিরা কুপিয়ে হত্যা করেছে।”

বুধবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন ৠাবের গোয়েন্দা শাখার প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিয়াউল আহসান ও বিজিবির ঢাকা সেক্টর কমান্ডার কর্নেল এহিয়া আজম।

বেনজীর বলেন, নাশকতা ও ব্যাপক মাত্রায় ধ্বংসযজ্ঞ থেকে জনগণকে রক্ষা করতেই ওই অভিযান চালানো হয়। আর এতে যেসব অস্ত্র ব্যবহার করা হয়, সেগুলো প্রাণঘাতী নয়।  

পুলিশ কমিশনার বলেন, অভিযানের পর হেফাজতের মঞ্চের কাছে চারটি লাশ কাপনের কাপড়ের ও পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় এবং বিভিন্ন স্থানে আরো তিনটি লাশ পাওয়া যায়, যাদের কেউ ওই অভিযানে নিহত হননি। এছাড়া হেফাজত কর্মীরা এক পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা করে। এর আগে রোববার বিকাল পর্যন্ত সংঘর্ষে মোট তিনজনের মৃত্যু হয়। 

অভিযানে বহু হেফাজত কর্মী হতাহতের যে প্রচার চালানো হচ্ছে তা ‘মিথ্যা ও বানোয়াট’ বলে উল্লেখ করেন ঢাকার পুলিশ কমিশনার। এর বাইরে হতাহতের কোনো তথ্য থাকলে তার সুনির্দিষ্ট তালিকা দেয়ারও আহ্বান জানান তিনি।

বেনজির আহমেদ বলেন, “রোববার হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ চলাকালে যে ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয় তাতে মানুষ আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ে। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আতঙ্ক বাড়তে থাকে। সমাবেশকে ঘিরে কোনো কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে নাশকতার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। কোনো একটি দলের পক্ষ থেকে ঢাকা ও বিভিন্ন জেলায় নাশকতা চালানোর জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেয়া হয়।”

বেনজীর আরো বলেন, “আমরা এই অভিযানে ওয়াটার ক্যানন, সাউন্ট গ্রেনেড, স্মোক গ্রেনেড--সব নন-লেথাল অস্ত্র ব্যবহার করেছি। ওয়ার্ল্ড ক্লাস লজিস্টিক্স ব্যবহার করেছি। আমাদের লক্ষ্য ছিল জিরো ক্যাজুয়াল্টি। আমরা এতে মোটামুটি সফল হয়েছি। অভিযানে ম্যাক্সিমাম অফিসার ব্যবহার করেছি, এটা অফিসার-বেজড অভিযান। আমরা সফলভাবে অভিযান শেষ করি। রাত ২টায় (৫ মে) অপারেশন শুরু করি, মাত্র ১০ মিনিটে ঈর্ষণীয় ক্ষিপ্রতায় শেষ করি।”

পুলিশ কমিশনার বলেন, “এখন আমরা অগ্রসর (অ্যাডভান্সড) সময়ে বসবাস করি। এই যুগ মৃতদেহ গুম করা অসম্ভব বিষয়, এটা স্পষ্ট। মিথ্যা কথা ছড়ানো হচ্ছে। কম্পিউটারে ফটোশপ করে আমাদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলার চেষ্টা চলছে। এই তালিকা আপনারা (বিরোধী দল) কোথায় পেলেন? যদি দুই-তিন হাজার লোক মারা যায়, তাহলে তাদের আত্মীয়স্বজনরা কোথায়? আপনাদের কাছে তালিকা থাকলে আমাদের দেন।”



তিনি জানান, অর্থনৈতিক দৈন্য, সামাজিক অবস্থানের সুযোগ নিয়ে সমাবেশে শিশু-কিশোরদের ভুল বুঝিয়ে শাপলা চত্বরের সমাবেশে নিয়ে আসা হয়।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সালাহ্উদ্দিন লাভলুর ধারাবাহিক নাটক 'কবুলীয়তনামা'

পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট ২টি গল্প

নাচো নাচো (রিমিক্স)