আপন রূপে 'সাকিব আল হাসান'

আপন রূপে  'সাকিব আল হাসান'


প্রস্তুতি: খেলা (প্রতিমুহূর্ত.কম) --

শেষ টি-টোয়ান্টিতে বুলাওয়ের কুইন্স ক্লাবের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে  ৩৪ রানে   জিতে  সিরিজে ১-১ সমতা এনেছে বাংলাদেশ। টি-টোয়ান্টিতে ম্যাচ এবং সিরিজ সেরা হয়েছেন সাকিব আল হাসান।

গত জানুয়ারিতে ইনজুরিতে পরার পর থেকে সাকিবের ভালো খেলার সেই ধারাবাহিকতা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলো না। তবে শেষ টি-টোয়ান্টিতে অল রাউন্ডার সাকিবের ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত পারফর্মেন্সই বাংলাদেশকে এনে দেয় সিরিজ ড্র-এর স্বস্তি। এদিন ২৮ বলে ৪০ রান রান করার পাশাপাশি তিনি ২২ রানে নেন চারটি উইকেট।

প্রথম টি-টোয়েন্টি  ম্যাচে ভালো খেলার পরও ক্রিকেটের সাধারণ দর্শকেরা যেন সাকিবের উপর ভরসাই করতে পারছিলেন না। কিন্তু সবাইকে ভুল প্রমাণ করে সাকিব-তামিম মিলে ৮.১ ওভারে গড়ে তলেন ৮২ রানের পার্টনারশিপ। দলীয় ৮৬ রানে সাকিব যখন মুসহাংগুয়ের বলে সিকান্দার রেজার হাতে ক্যাচ তুলে দিলেন তখন তার নিজের নামের পাশে যোগ করেছেন ৪০ রান। ২৮ বলে খেলা এই ইনিংসে ছিল ৬টি বাউন্ডারি ও ১টি ওভারবাউন্ডারি। সাকিবের ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছিলো সেই পুরনো সাকিব আবার ফিরে এসেছেন আপন রূপেই।


বাংলাদশে: ১৬৮/৭ (২০ ওভার)
জিম্বাবুয়ে: ১৩৪/৯ (২০ ওভার)
ফল: বাংলাদশে ৩৪ রানে জয়ী।

এ ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ১৬৮ রান তোলে বাংলাদশে। জবাবে শেষ র্পযন্ত লড়ে ৯ উইকেটি ১৩৪ রান তুলতে সক্ষম হয় স্বাগতকি জিম্বাবুয়ে। বাংলাদশেরে ইনিংসের শুরুটা অবশ্য ভালো ছিল না । ৪ রানে প্রথম উইকটে হারায় সফরকারী।তখন শামসুর রহমানে ব্যক্তিগত সংগ্রহ ২। দ্বিতীয় উইকেটে ৮২ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশকে বড় সংগ্রহের স্বপ্ন দেখান তামিম ইকবাল ও  সাকিব আল হাসান। ২৮ বলে ৪০ রানরে ঝোড়ো এক ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন সাকিব। দলীয় ১০১ রানে তৃতীয় উইকেটের পতন হয়। উতসয়োর দ্বিতীয় শিকার হন তামিম ইকবাল। ৩০ বলে ছয় বাউন্ডারি ও এক ছয়ে ৪৩ আসে তার ব্যাট থেকে। সাকিব ও তামিমের বিদায়ের পর কিছুটা সফলতা পেয়েছেন কেবল নাসির হোসনে । তার ব্যক্তিগত সংগ্রহ২৭। অধিনায়ক মুশফিকের সংগ্রহ ১৭ রান।

 উতসয়ো ১৫ রানে দুটি উইকটে নেন। এছাড়া ভিত্তরি, হ্যামিল্টন মাসাকাদজা, পানয়িাঙ্গারা ও মুসাঙ্গবি একটি করে উইকেট নেন।

১৬৯ রানরে লক্ষ্যটা জিম্বাবুয়ের  জন্য কঠিনই ছিল। দ্রুত উইকেট হারিয়ে সেটা আর কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে ওঠে। ৫ রানে সাজঘরে ফরেনে ওপনোর হ্যামল্টিন মাসাকাদজা । তাকে বোল্ড করেন আব্দুর রাজ্জাক। তার সংগ্রহ ২। দলীয় ৪৫ রানে অধিনায়ক  টেইলরকে  শিকার করনে সাকিব আল হাসান। টেইলরের সংগ্রহ তখন ১২ বলে ১৫।

স্বাগতিকদের দলীয় সংগ্রহ শতরান র্স্পশ করার আগেই  পতন ঘটে পাঁচটি উইকেটের। পরর্বতী ব্যাটসম্যানরা উইকেটে আসা যাওয়ার মধ্যে থাকায় ১৩৪ রান র্পযন্ত যেতে সক্ষম হয় জিম্বাবুয়ে। ব্যাট হাতে কিছুটা সফলতা পেয়েছেনে কেবল সিকান্দার  রাজা ও ভুসি সিবান্দা। দুজনই করেন ৩২ রান।

আপন রূপে ফেরার পুরস্কারও পেয়েছেন সাকিব। ম্যাচ আর সিরিজ সেরার খেতাবটা তিনিই পেয়েছেন।



রিপোর্ট : রাবিদ ইসলাম হৃদয়

আরআই-১২/৫-২

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সালাহ্উদ্দিন লাভলুর ধারাবাহিক নাটক 'কবুলীয়তনামা'

পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট ২টি গল্প

নাচো নাচো (রিমিক্স)