মতিঝিলে হেফাজতের সমাবেশ সম্পর্কে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের প্রেসনোট
মতিঝিলে হেফাজতের সমাবেশ সম্পর্কে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের প্রেসনোট
প্রস্তুতি : জাতীয় (প্রতিমুহূর্ত.কম)--
মতিঝিলে
হেফাজতে ইসলামের সমাবেশের দিন রাজধানীজুড়ে সহিংসতা ও যৌথ বাহিনীর অপারেশন
সম্পর্কে প্রেসনোট দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়।
শুক্রবার বিকাল সোয়া ৫টার দিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অতিরিক্ত সচিব মাইন উদ্দিন খন্দকার স্বাক্ষরিত এ প্রেসনোট দেওয়া হয়।
প্রেসনোটটি নিচে দেওয়া হলো -
গত
৫ মে হেফাজতে ইসলাম কর্তৃক ঢাকা অবরোধ এবং তৎপরবর্তী শাপলা চত্বরে
অনুষ্ঠিত সমাবেশকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত পরিস্থিতি প্রসঙ্গে বিভিন্ন মহল
কর্তৃক কতিপয় মিডিয়ায় প্রচারিত/প্রকাশিত কথিত গণহত্যা/লাশ গুম ইত্যাদি
ধরনের গুজবকে কেন্দ্র করে জনমনে বিরাজমান বিভ্রান্তি নিরসনের জন্য প্রকৃত
সত্য উন্মোচনকল্পে সরকার সংশ্লিষ্ট প্রকৃত তথ্যাদি প্রকাশ করা প্রয়োজন বলে
মনে করছে।
হেফাজতে ইসলাম নামে একটি অনিবন্ধিত
সংগঠন গত ৬ই এপ্রিল ঢাকার শাপলা চত্বরে সমাবেশ করে ৫ই মে ঢাকা অবরোধের
কর্মসূচী ঘোষণা করে। পূর্ব ঘোষিত এ কর্মসূচী অনুসারে তারা ঢাকার চারদিকে
ছয়টি স্থানে অবরোধের আয়োজন করে।
অবরোধ কর্মসূচী
পালনের একদিন পূর্বে ৪ মে শনিবার তারা পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচী সংক্ষিপ্ত
করণের কথা বলে ৫ মে বেলা ২টা থেকে শাপলা চত্বরে তাদের নেতা হাটহাজারী
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আহমদ শফির নেতৃত্বে দোয়া কর্মসূচী পালনের অনুমতি চায়।
পূর্ব ঘোষিত এ কর্মসূচীতে ঢাকা শহরের ভেতরে কোন সভা-সমাবেশ করার কার্যক্রম
না থাকলেও সরকার গণতান্ত্রিক উদারতার পরিচয় দিয়ে হেফাজতে ইসলামকে
শর্তাধীনে সন্ধ্যার পূর্ব পর্যন্ত দোয়া কর্মসূচী প্রতিপালনের অনুমতি
প্রদান করে।
কিন্তু ৫ই মে অবরোধ কর্মসূচীর প্রথম
থেকেই হেফজতে ইসলাম ঢাকার চারপাশে ৬টি পয়েন্টে অবরোধ স্থাপন করে শহরে ঢুকে
এবং শাপলা চত্বরে অবস্থান নিতে থাকে। সেই সাথে বায়তুল মোকাররম এলাকায়
জমায়েত হয়ে কর্তব্যরত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে
জড়িয়ে পড়ে এবং উচ্ছৃঙ্খল কর্মীরা নাশকতামূলক কর্মকান্ড চালাতে থাকে। এক
পর্যায়ে তারা ব্যাপক জমায়েত করে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ভাংচুরে লিপ্ত হয়।
তারা নির্বিচারে গাড়ী পোড়াতে থাকে, পুরানা পল্টন সড়কে অবস্থিত কমিউনিষ্ট
পার্টির অফিসে অগ্নিসংযোগ করে। অত:পর পাশেই মুক্তি ভবনে লুটপাট চালিয়ে
আগুন লাগিয়ে দেয়। হকারদের দোকানসমূহ লুটপাট করে, বইয়ের দোকানসমূহ তছনছ
করে এবং পবিত্র কোরআন শরীফের স্টল বিভিন্ন দিক থেকে পেটো্রল দিয়ে পুড়িয়ে
দেয়। উন্মত্ত হেফাজত কর্মীরা ফুটপাতে স্থাপিত জায়নামাজ, তসবি ও টুপির
দোকান এবং অন্যান্য ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী দোকান পুড়িয়ে দিয়ে শত শত নিরীহ
কর্মজীবী মানুষকে সর্বশান্ত করে।
হেফাজতের লোকজন
হাউস বিল্ডিং ফাইনান্স করপোরেশন কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে এবং
তাদের ১১ টি মূল্যবান গাড়ীতে অগ্নিসংযোগ করে । এ সময়ে দমকল বাহিনীর লোকজন
আগুন নিভাতে গেলে তাদেরকে মারধর ও আহত করে তাড়িয়ে দেয়। দুপুরের পর
অবরোধ স্থলসমূহে আন্দোলনরত লোকজন শাপলা চত্বর ও বায়তুল মোকাররম এলাকায়
হাজির হলে হেফাজতি কর্মীরা উন্মত্ত হয়ে ডিসি (ট্রাফিক) পূর্ব জোন অফিসে
বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে অগ্নিসংযোগ করে। এতে ডিসি মতিঝিলসহ একজন পুলিশ
আগুনে পুড়ে আহত হয়।
দুপুরের দিকে একপর্যায়ে তারা
গুলিস্তানে অবস্থিত আওয়ামীলীগ অফিসে হামলা চালাতে উদ্যত হয় এবং গোলাপ শাহ
মাজারে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। তারা জনতা ব্যাংকের করপোরেট শাখায় হামলা
চালায় এবং লুটপাটের চেষ্টা করে এবং নিচতলায় অবস্থিত এটিএম বুথ ভেঙ্গে
গুড়িয়ে দেয়। তাছাড়া ইষ্টার্ন ব্যাংক ও ব্যাংক এশিয়ায় হামলা চালিয়ে
ভাংচুর করে। উচ্ছৃঙ্খল কর্মীরা মতিঝিলে সরকারী কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের বাস
ডিপোতে ঢুকে সরকারী কর্মচারী পরিবহনের কয়েক ডজন বাস পুড়িয়ে ধ্বংস করে
দেয়। তাদের তান্ডব থেকে রক্ষা পায়নি আন্তর্জাতিক মানে সজ্জিত স্টেডিয়াম,
রাস্তায় লাগানো বৃক্ষরাজি, রাস্তা বিভাজক, লাইট পোষ্ট ও বিভাজকে স্থাপিত
ষ্টীল স্ট্রাকচার। এমনকি সৌর বিদ্যুৎ পোষ্টও ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়।
রাজধানীর
গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক ও প্রশাসনিক কেন্দ্রে যখন নজীরবিহীন লুটপাট ও
অগ্নিসংযোগ চলছে তখন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে গণমাধ্যমে
হেফাজতে ইসলামকে সত্বর নৈরাজ্য বন্ধ করে সন্ধ্যার পূর্বেই তাদের
প্রতিশ্রুতি মত শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়ায় সরে যাবার জন্য আহ্বান জানানো
হয়। কিন্তু হেফাজতের নেতৃবৃন্দ তাতে কর্ণপাত করেনি, বরং তাদের বেআইনী
অবস্থান কার্যক্রম বেপরোয়াভাবে চালিয়ে যেতে থাকে। শেষ বিকেলে তাদের নেতা
আহমদ শফি তাঁর অবস্থানস্থল লালবাগ মাদ্রাসা থেকে শাপলা চত্বরের সমাবেশ
স্থলে রওয়ানা হন। কিন্তু কিছুদূর এসেই তিনি বি,এন,পির নেতৃপর্যায় থেকে
ফোন পেয়ে শাপলা চত্বরে না এসে ফিরে যান। এদিকে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির
ব্যাপকতাও বাড়তে থাকে। রাত এগিয়ে এলে বি,এন,পি নীতিনির্ধারকদের নিয়ে
জরুরী বৈঠক করে। বৈঠক শেষে মাননীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তাদের নেতা
কর্মীদেরকে হেফাজতে ইসলামের কর্মসূচীতে সক্রিয় অংশ গ্রহণের আনুষ্ঠানিক
নির্দেশ দেন এবং ঢাকা নগরবাসীকে হেফাজত কর্মীদের সহায়তা প্রদানের জন্য
আহ্বান জানান। অবশ্য ঘটনার সূচনা থেকেই বি,এন,পি ও জামায়াত শিবির কর্মীরা
নৈরাজ্যকর কার্যক্রমের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলো বলে জানা যায়।
হেফাজত
কর্মীরা ডিভাইডারের মাঝে থাকা গাছ গুলো কেটে রাস্তায় বেরিকেড দেয়,
ডিভাইডার ভেঙ্গে দেয় এবং নির্বিচারে গাড়ীতে অগ্নিসংযোগ করতে থাকে। লোহার
ডিভাইডার ও কাঁটাতার উপড়ে ফেলে দেয়। রাস্তায় বড় বড় অগ্নিকান্ড ঘটিয়ে
গণ আতঙ্কের সৃষ্টি করে। রাত বাড়ার সাথে সাথে কতিপয় গণমাধ্যমে তাদের এহেন
বিভীষিকাময় কর্মকান্ড ও উষ্কানীমূলক বক্তব্য প্রচার করতে থাকলে নগরবাসী
আতঙ্কিত হন। ফলে দেশবাসী চরম উদ্বিগ্ন অবস্থায় সময় কাটাতে থাকেন।
দেশ
যখন মহা দুর্যোগের দ্বারপ্রান্তে, তখন জনগণের নির্বাচিত সরকার দেশ ও
জনগণের নিরাপত্তা ও সম্ভাব্য অস্থিতিশীল পরিস্থিতি ও নৈরাজ্য থেকে দেশকে
রক্ষার নিমিত্তে এবং নগরবাসীর জানমাল রক্ষার্থে উচ্ছৃঙ্খল ও উন্মত্ত
ধ্বংসযজ্ঞে লিপ্ত হেফাজত কর্মীদের নিরাপদে সরিয়ে দেবার সিদ্ধান্ত গ্রহণ
করে। নৈরাজ্য প্রতিরোধ, গণতন্ত্র রক্ষা, আইনের শাসন সুরক্ষা, গণনিরাপত্তা
সুনিশ্চিত করার জন্যই এই অভিযান অপরিহার্য্য হয়ে উঠে। অনন্যোপায় হয়ে রাত
প্রায় ২টায় ঢাকা মহানগর পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি-র যৌথ অভিযান শুরু হয়।
অভিযানে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার না করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এতে জল
কামান, সাউন্ড গ্রেনেড ও রাবার বুলেট ব্যবহার করা হয়।
অভিযানের
শুরুতেই মাইকে একাধিকবার সতর্ক করে সকলকে চলে যাবার জন্য আহ্বান জানানো
হয়। আরামবাগ ও দৈনিক বাংলা মোড় থেকে শাপলা চত্বরমুখী সড়ক দিয়ে
নিরাপত্তা বাহিনী আস্তে আস্তে এগুতে থাকে এবং ইত্তেফাক মোড় অভিমুখী রাস্তা
খোলা রেখে জনতাকে নিরাপদে সরে যাবার সুযোগ করে দেয়। অভিযান শুরুর ১০
থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে অবস্থানরত জনতা শাপলা চত্বর ছেড়ে
সায়দাবাদ-যাত্রাবাড়ীর পথে সরে যায়। অভিযানকালে মঞ্চের পাশে কাফনের
কাপড়ে মোড়ানো ০৪টি মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। পুলিশ সূত্রে জানা যায়
সারাদিন বিভিন্ন পর্যায়ের সংঘাতে ০৩ জন পথচারী একজন পুলিশ সদস্যসহ মোট ১১
জন নিহত হন।
এ ঘটনায় হাজার হাজার লোক প্রাণ
হারিয়েছে বলে অবাস্তব ও ভিত্তিহীন গুজবের পরিপ্রেক্ষিতে জনসাধারণের অবগতির
জন্য জানানো যাচ্ছে যে, উক্ত গুজবসমূহ সম্পূর্ণ অসত্য, মনগড়া ও
অসৎউদ্দেশ্য প্রণোদিত। কেননা:
(ক) অবাধ তথ্য প্রবাহ ও
ব্যাপক তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে হাজার হাজার লোক হত্যা করে লাশ গুম করা
কোনভাবেই সম্ভব নয়। মোবাইল ফোন, ই-মেইল, ইন্টারনেটের এই যুগে এটি নিতান্তই
অবিশ্বাস্য।
(খ) এত প্রাণ হানি হয়ে থাকলে নিশ্চয়ই
নিহতদের পরিবার পরিজন, আত্মীয়স্বজন, বন্ধু বান্ধব প্রিয়জনদের সন্ধানে
তৎপরতা চালাতেন এবং গণমাধ্যমে তা প্রকাশ পেত। কিন্তু এ ক্ষেত্রে একটি
উদাহরণও কোন মহল থেকে হাজির করা হয়নি। এতেই প্রমাণ হয় ব্যাপক লোক হননের
বিষয়টি অসত্য ও পুরোপুরি উদ্দেশ্য প্রণোদিত গুজব।
(গ)
অভিযান কার্যক্রম পরিচালনার সময় টিভি ও ষ্টিল ক্যামেরাসহ বিপুল সংখ্যক
সংবাদকর্মী উপস্থিত ছিলেন, যারা ঘটনা পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যবেক্ষণ ও সম্প্রচার
করেছেন। উঁচু ভবন থেকে বহুলোকজন ঘটনাক্রম অবলোকন করেছেন ও ছবি ধারণ
করেছেন। কিন্তু কোথাও মারাত্মক আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের চিত্র পাওয়া
যায়নি, দৃশ্য দেখা যায়নি। কাজেই বিপুল প্রাণহানির গুজব ছড়ানোর বিষয়টি
অশুভ মহলের অসৎ উদ্দেশ্যমূলক অপপ্রচার। বরং বাস্তবতা হলো সুশৃঙ্খল
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সুচিন্তিত পরিকল্পনা অনুযায়ী অপরিসীম ধৈর্য ও কঠোর
সংযমের সাথে পুরো অভিযান পরিচালনা করেছে। অভিযান চলাকালে আইন-শৃঙ্খলা
বাহিনী বিভিন্ন গলিতে ও ভবনের ফাঁকে যারা আশ্রয় নিয়েছিলো তাদেরকে অভয়
দিয়ে যত্নের সাথে উদ্ধার করে নিরাপদে সরে যাবার ব্যবস্থা করে দিয়েছে।
এদের মধ্যে প্রচুর কিশোর ও তরুণ ছিলো যারা প্রথমবার ঢাকা মহানগরীতে এসেছে,
তাদেরকে তাদের গন্তব্যস্থল সম্পর্কে পথ নির্দেশ দিয়ে চলে যেতে সহায়তা
করেছে যা টিভি সমপ্রচারে দেখা গেছে। পুরো অভিযান পরিচালনাকালে কারোর প্রতি
কোন নিষ্ঠুর ও অমানবিক আচরণ করেছে মর্মে কোথাও কোন সংবাদ বা ছবিও দেখা
যায়নি।
(ঘ) পুলিশ ও বিজিবির তরফ থেকে সংবাদ
মাধ্যমে ‘অসংখ্য জনগণের মৃত্যু সম্বলিত অপপ্রচার’ অসত্য, যুক্তি বিহীন এবং
উদ্দেশ্যমূলক বলে চিহ্নিত করা হয়।
শাপলা চত্বর থেকে
হেফাজতে ইসলামের লোকজনকে সরিয়ে দিলে তারা ঢাকা চট্টগ্রাম সড়কে আবারও
জমায়েত হতে থাকে। পরদিন ০৬ই মে ভোর থেকেই তারা রাস্তায় ব্যারিকেড বসায়।
সেই সাথে নির্বিচারে রাস্তার পাশে রাখা গাড়ীতে অগ্নিসংযোগ করতে থাকে। এরই
মধ্যে পূর্ব নির্দেশ মত বি,এন,পি জামায়াত কর্মীরাও ধ্বংসযজ্ঞে যোগ দেয়।
নারায়ণগঞ্জ জেলার কাঁচপুর, সাইনবোর্ড, শিমরাইল, সানার পাড়, কোয়েত
মার্কেট ও মাদানী নগর এলাকায় উন্মত্ত ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ভয়াবহরূপ ধারণ
করে। তারা মাদানী নগর মাদ্রাসাকে কেন্দ্র করে আশ-পাশের মসজিদের মাইক
ব্যবহার করে চরম উত্তেজনাকর গুজব ছড়িয়ে লোক জড় করে কর্তব্যরত
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপর ঝাপিয়ে পড়ে। তাদের পরিকল্পিত সংঘবদ্ধ
আক্রমণ প্রতিরোধ করতে গিয়ে ২ জন পুলিশ, যথাক্রমে নায়েক ফিরোজ ও কনষ্টেবল
জাকারিয়া এবং ২ জন বি,জি,বি সদস্য যথাক্রমে শাহআলম ও লাভলু গুরুতর আহত
হয়ে লুটিয়ে পড়ে এবং হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করে। সেই সাথে বিভিন্ন পর্যায়ে
উন্মত্ত সহিংসতার ফলশ্রুতিতে ১৩ জন মৃত্যুবরণ করেছে মর্মে জানা যায়। ঘটনা
আরও চরম আকার ধারণ করতে থাকলে অধিক সংখ্যক ফোর্স সমাবেশ ঘটিয়ে আন্দোলন
কারীদেরকে সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন