মহাসেনের আঘাতে ভোলায় নিহত ৪, আহত শতাধিক
প্রস্তুতি
: সারাদেশ (প্রতিমুহূর্ত.কম)
গত ১৬ মে
বৃহস্পতিবার ভোলার উপকূলের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় মহাসেনের আঘাতে চরফ্যাশন ও মনপুরা উপজেলা লন্ডভন্ড
হয়ে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। এ সময় ঘর ও গাছে চাপা পড়ে এক শিশুসহ নিহত হয়েছেন ৪ জন, আহত হয়েছেন শতাধিক।
ভোলার জেলা প্রশাসক খোন্দাকার মোস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় মহাসেন
চলে গেলেও তান্ডবের চিহৃ রেখে গেছে। তিন
হাজার ঘর-বাড়ি, রাস্তাঘাট
বিধ্বস্ত ও অসংখ্য গাছপালা, পানের
বরজ ও উঠতি রবি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়েছে।
এছাড়াও ঘূর্ণিঝড়ের কারণে গাছের নিচে চাপা পড়ে এক শিশুসহ ৪ জন নিহত এবং শতাধিক
লোক আহত হয়েছে।
নিহতরা হলেন, লালমোহন
উপজেলার ধলিগৌরনগর এলাকার আবুল কাশেম (৪৫),
চরফ্যাসন উপজেলার ঢালচরের রফিজুল ইসলাম (৬৫),
চর-কুকড়িমুকড়ি ইউনিয়নের চরপাতিলা গ্রামের নিপা (১০) ও চরমাদ্রাজ ইউনিয়নের পারভেজ
(৬)।
তিনি আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড় মহাসেনে জেলার ক্ষয় ক্ষতির পরিমান নিরুপন জন্য ক্ষতিগ্রস্ত
প্রতিটি ইউনিয়নগুলোতে কমিটি গঠন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসন
ওই দুটি উপজেলার ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ৯০ মেট্রিকটন খাদ্য শস্য ও নগদ সাড়ে চার লক্ষ
টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
মনপুরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ সূত্রে জানা গেছে, মহাসেনের আঘাতে উপজেলার
সোনালী ব্যাংক ও সুশীলন এনজিও কার্যালয়সহ প্রায় ৩ শতাধিক কাঁচাঘর বিধ্বস্ত হয়।
মনপুরা থেকে বিচ্ছিন্ন বেড়ীবাঁধহীন চরনিজাম ও কলাতলীর চরে ক্ষতির পরিমান সবচেয়ে
বেশি হয়েছে। সেখানে কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
লালমোহন উপজেলার ধলীগৌরনগর বাত্তির খাল ও লর্ড হার্ডিঞ্জ এলাকায় তিন শতাধিক ঘর
বিধ্বস্ত হয়েছে। ওই সব এলাকায় সাতটি নৌকাসহ ২৪ জেলে নিখোঁজ রয়েছেন বলে
জানিয়েছেন লর্ড হার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম।
এছাড়া কাচিয়া
ইউনিয়নে প্রায় ১ হাজার পানের বরাজ মাটির সাথে মিশে গিয়ে প্রায় ২০ লক্ষাধীক টাকার ক্ষয়ক্ষতি
হয়। কাচিয়া শাহবাজ পুর গ্যাস ফিল্ড এলাকা প্রবল বৃষ্টি ও বাতাসের তোড়ে ৫০টি হেচারি
বাঁধ ভেঙ্গে প্রায় ১০ লক্ষ টাকার মাছের পোনা পানির সাথে অন্যত্র চলে যায়।
প্রতিবেদন
: অচিন্ত্য মজুমদার, ভোলা জেলা প্রতিনিধি
সম্পাদনা : আব্দুল্লাহ আল জুবায়ের, নিউজরুম এডিটর
এএম/এজে-
১৭/০৫- ১
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন