কে জিতবে পাকিস্তানের নির্বাচনে ?
কে জিতবে পাকিস্তানের নির্বাচনে ?
প্রস্তুতি: আন্তর্জাতিক (প্রতিমুহূর্ত.কম)
পাকিস্তানে আজ শনিবার ১১ মে
সাধারণ নির্বাচন। শেষ মুহূর্তে সাবেক ক্রিকেটার ও পিটিআই দলের প্রধান ইমরান খানের পক্ষে সমর্থন বেড়ে গেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। অবশ্য গড়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও
পাকিস্তান মুসলিম লিগের প্রধান
নওয়াজ শরিফই এগিয়ে।
বিভিন্ন কারণে প্রথম সারির দলগুলো নিজেদের পক্ষে ভোটারদের বড় অংশের সমর্থন নিতে ব্যর্থ হওয়ায় দুর্বল কাঠামোর সরকার গঠিত হতে পারে এমন আশঙ্কা করচেন বিশ্লেষকরা । পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের ৩৪২ আসনের মধ্যে ২৭২টিতে সরাসরি নির্বাচন হবে। বাকি ৭০টি সংরক্ষিত আসন। নওয়াজ শরিফের দল বেশি আসন পেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদি তা-ই হয়, তাহলে ১৪ বছর পর ক্ষমতায় ফিরবেন তিনি। ১৯৯৯ সালে সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন নওয়াজ শিরফ ।
তবে শেষ মুহূর্তে ইমরানের প্রতি সমর্থন বেড়ে গেছে বলে যে ধারণা করা হচ্ছে । গত বৃহস্পতিবার ইসলামাবাদে বিশাল সমাবেশ করেছে তেহরিক-ই-ইনসাফ। এতে অন্তত ৩৪ হাজারের বেশি মানুষ যোগ দেয়। গত মঙ্গলবার ০৭ মে লাহোরের এক সমাবেশে মঞ্চে ওঠার সময় পড়ে আহত ইমরান খান হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ কারনে ইসলামাবাদের সমাবেশে যোগ দিতে পারেননি ইমরান খান । তার পরও সমাবেশে এত মানুষের উপস্থিতি তাঁর প্রতি সমর্থন বাড়ার ইঙ্গিত হিসেবে দেখা হচ্ছে।
নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শেষ হয়েছে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে। নির্বাচনে যে বিষয়টিকে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হচ্ছে—সেই সহিংসতা কিন্তু চলছে। গতকাল শুক্রবার ০৯ মে কোয়েটা ও পেশোয়ারে পৃথক দুই বোমা হামলায় পাঁচজন নিহত হয়েছে। তালেবানরা হুমিক দিয়েছে নির্বাচনের দিনও আত্মঘাতী হামলা চালানো হবে।
তালেবানের হুমকি সত্ত্বেও এবারের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বেশি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এবারের নির্বাচনে ভোটারসংখ্যা ৮ কোটি ৬০ লাখের বেশি। এর মধ্যে নারী ভোটার প্রায় ৩ কোটি ৬৫ লাখ, মোট ভোটকেন্দ্র ৭০ হাজার। নির্বাচনে প্রয় ৬ লাক্ষ নিরাপত্তাকর্মী আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মোতায়েন করা হচ্ছে। এর মধ্যে ৫০ হাজার সেনাসদস্য থাকবেন।
নির্বাচনে বিদায়ী সরকারের প্রধান শরিক দল পাকিস্তান পিপলস পার্টির অবস্থান হতাশাজনক। কারণে প্রচারণায় নেতার টেলিভিশন বিজ্ঞাপন ও ব্যানারে প্রচারণা চালানো পিপিপি প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধান বেনজির ভুট্টোর ভাবমূর্তিকেই মূল পুঁজি হিসেবে ব্যবহার করে। প্রেসিডেন্ট পদে থাকায় পিপিপির কো-চেয়ারম্যান আসিফ আলী জারদারি প্রচারণায় আংশ নিতে পারেননি। অন্যদিকে দলের চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো বয়স কম হওয়ায় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেননি। এসব কারণে পিপিপির ফল হতাশাজনক হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরেক- ১১/৫-১
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন