পাকিস্তানের নির্বাচন : সহিংসতার মধ্যে চলছে ভোট গণনা

পাকিস্তানের নির্বাচন : সহিংসতার মধ্যে চলছে ভোট গণনা


প্রস্তুতি: আন্তর্জাতিক (প্রতিমুহূর্ত.কম)--

পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনের আংশিক ভোট গণনায় এগিয়ে আছে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) প্রধান ইমরান খান ও মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) নেতা নওয়াজ শরিফ ।

শনিবার রাত ৮টার দিকে পাকিস্তানের টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর উদ্ধৃতি দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায়, তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) প্রধান ইমরান খান ২৭২টি আসনের ৫০টিরও বেশি আসনে এগিয়ে রয়েছে ।

আংশিক গণনায় দেখা গেছে, দুইবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী সবচেয়ে বেশি আসনে আসনে এগিয়ে থাকলেও ইমরানের দলের কাছে পাঞ্চাব প্রদেশে ১৫টি আসন হারিয়েছে  নওয়াজ শরিফ ।

পাকিস্তানের ১৪ তম সাধারণ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী মূল দলগুলো হলো পাকিস্তান পিপল’স পার্টি (পিপিপি), পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন), মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট (এমকিউএম), পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) আওয়ামী ন্যাশনাল পার্টি (এএনপি), মুত্তাহিদ মজলিস-ই-আলাম (এমএমএ) ও জামায়াতে ইসলামি।

 ৩৪২টি আসনের মধ্যে নারীদের জন্য ৬০টি আসন এবং সংখ্যালঘু অমুসলিমদের জন্য সংরক্ষিত ১০টি । বাকি ২৭২ জন সদস্যকে জনগণের ভোটে নির্বাচিত  হতে হবে । কোনো দল এককভাবে ক্ষমতায় যেতে সেই দলকে  ৩৪২ আসন বিশিষ্ট ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি অব পাকিস্তানের কমপক্ষে  ১৭২টি আসন পেতে হবে, আর ব্যর্থ হলে গঠিত হবে ঝুলন্ত পার্লামেন্ট ।

বিশ্লেষকরা এবার পাকিস্তানে ঝুলন্ত পার্লামেন্টও গঠিত হতে পারে বলে মনে করছেন।


শনিবার পাকিস্তানের ১৪তম সাধারণ নির্বাচনেরভোট গ্রহন শুরু হয় স্থানীয় সময় সকাল ৮ টায় এবং বিকেল ৫টার মধ্যে ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ভোট গ্রহণ কেন্দ্রগুলোতে দীর্ঘ লাইন থাকায় ভোট গ্রহণ শেষ সন্ধ্যা ৬টায়। এছাড়া করাচির ৭টি আসনে স্থানীয় সময় রাত ৮ পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলে।

নির্বাচন চলাকালে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নির্বাচনে জালিয়াতি আর কারচুপির অভিযোগ তুলেছে। করাচিতে সকালের দিকে ২টি বোমা হামলায় ১৩ জন নিহত ও অর্ধ শতাধিক লোক আহত হয়েছে।

এছাড়া  বিভিন্নস্থানে সহিংসতার ঘটনায় ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে।

পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম দ্য ডন জানায়, শনিবার ৫টা ২৫ মিনিটে করাচির ২৫০ নং আসনে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ শুরু হয়নি । ফলে করাচিতে বৈঠক করেছে নির্বাচন কমিশন ।

করাচি ও হায়দ্রাবাদে নির্বাচন বয়কট করেছে জামায়াতে-ইসলামি। তাদের অভিযোগ মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্টের (এমকিউএম) কর্মীরা ভোটার দের হুমকি দিয়েছে। দলটির প্রধান সৈয়দ মনোয়ার হাসান বলেন, “এমনকি হায়দ্রাবাদে আমাদের কর্মীদের ওপর অস্ত্র দিয়ে হামলা করা হয়েছে এবং দু’টি আসনের ভোট কেন্দ্রকে বের করে দিয়েছে।”

এদিকে এমকিউএমের এক নেতা করাচির লিয়ারি শহরের তিনটি আসনে নির্বাচন বর্জন করে এমকিউএম। তার দাবি, তার দলের পক্ষের ভোট হাইজ্যাক করা হয়েছে। কয়েকটি জায়গায় ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে।

এমন ঘটনার প্রেক্ষিতে করাচিতে স্বচ্ছ ও অবাধ নির্বাচনের স্বীকার ব্যর্থতা স্বীকার করেছে নির্বাচন কমিশন।

কোয়েটা, চারসাদ্দা ও চামান শহরের বিভিন্ন স্থানে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। কয়েকটি জায়গায় ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটেছে।

ডেস্ক রিপোর্ট : আতিক আহম্মেদ অর্পন

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সালাহ্উদ্দিন লাভলুর ধারাবাহিক নাটক 'কবুলীয়তনামা'

পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট ২টি গল্প

নাচো নাচো (রিমিক্স)