ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় ভোলায় ৯ হাজার স্বেচ্ছাসেবক, ৯২ মেডিকেল টিম প্রস্তুত
প্রস্তুতি : সারাদেশ (প্রতিমুর্হূত.কম)
উপকূলের দিকে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় মহাসেনের কারণে বুধবার ভোলাসহ উপকূলীয় জেলাসমূহে আবহাওয়া অধিদপ্তর এ এলাকার অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় ভোলা জেলা ও উপজেলা প্রশাসন ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে।
জেলায় ৯২টি মেডিকেল টিম ও নয় হাজার ১৩৫ জন স্বেচ্ছাসেবী ও সাইরেন মেশিন প্রস্তুত রাখা হয়েছে । জেলে, নৌকা ও ট্রলারকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে আসতে বলা হয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় মহাসেন মোকাবেলায় জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি ও মেডিকেল টিমের সদস্যরা দফায় দফায় মিটিং করছে। তবে জেলার ১৯ লাখ মানুষের জন্য মাত্র ২৫০টি আশ্রয় কেন্দ্র থাকায় মানুষ চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
মঙ্গলবার থেকেই ভোলার মনপুরা, বোরহানউদ্দিন, চরফ্যাশন ও দৌলতখানের বিচ্ছিন্ন ও দুর্গম এলাকার বাসিন্দাদের মূল ভূখন্ডে চলে আসার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রত্যেকটি উপজেলার জন্য শুকনো খাবার মজুদ করা হয়েছে। প্রত্যেকটি এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে।
মনপুরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুল্লাহ আল বাকি জানিয়েছেন, মনপুরায় সর্বোমোট ২৬টি আশ্রয়কেন্দ্র এবং স্কুল ও কলেজের ভবনগুলোতে সবমিলে ৫০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। এছাড়াও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মনপুরায় ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে নগদ তিন লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
ভোলা জেলা প্রশাসক খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, আমরা দফায় দফায় মিটিং করছি। ঘূর্ণিঝড় আইলা ও সিডরে ভোলায় ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি মাথায় রেখে মহাসেন মোকাবেলায় জেলা প্রশাসন সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে।
মেডিকেল টিমগুলোতে ঝড় পরবর্তী কার্যক্রমের অংশ হিসেবে পর্যাপ্ত ওষুধ ও স্যালাইন রাখা হয়েছে। বিচ্ছিন্ন ও দুর্গম এলাকার বাসিন্দাদের মূল ভূখন্ডে চলে আসার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পরবর্তী নিদের্শ না দেওয়া পর্যন্ত সরকারি ও আধাসরকারি সব দপ্তরের ছুটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
প্রতিবেদক : অচিন্ত্য মজুমদার, ভোলা জেলা প্রতিনিধি
সম্পাদনা
: হাসান ইমাম, বিভাগীয়
সম্পাদক, সারাদেশ
এএম/এইচআই -১৫/০৫- ১
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন