পর্বতারোহী খালেদের মরদেহ দেশে আনা নিয়ে অনিশ্চয়তা
প্রস্তুতি : জাতীয় (প্রতিমুহূর্ত.কম)
পর্বতারোহী ও তরুণ চলচ্চিত্রকার মোহাম্মদ
খালেদ হোসেন (সজল খালেদ) পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট জয়
করে নেমে আসার সময় মারা গেছেন । এভারেস্ট চূড়া থেকে সফলভাবে নেমে আসার কয়েক ঘণ্টা পর বেস
ক্যাম্পের তাঁবুতে মারা যান তিনি। খালেদের মরদেহ দেশে আনা নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।
আবহাওয়া প্রতিকূল হয়ে উঠার কারণে আগামী ৩১ মে'র মধ্যে এভারেস্টে সবধরণের উদ্ধার অভিযান শেষ হয়ে যাবে। এ সময়ের মধ্যে লাশ ফেরত আনার ব্যবস্থা না হলে পড়তে হবে চরম অনিশ্চয়তায়। মৃত্যুর আগে পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে জয় করে গেছেন মাউন্ট এভারেস্ট। মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরের মোহাম্মদ খালেদ হোসেন বন্ধু ও পরিজনদের মাঝে সজল খালেদ নামেই পরিচিত ছিলেন। পর্বত আরোহনের অদম্য নেশার সাথে ছিল চলচ্চিত্র পরিচালনার শখ। তরুণ পরিচালকের খাতায় নাম লিখিয়ে পরিচালনা করেছেন মুক্তির অপেক্ষায় থাকা শিশুতোষ চলচ্চিত্র 'কাজলের দিনরাত্রি'।
২০১১ সালে এভারেস্টে উঠার চেষ্টা করে অসুস্থতার কারণে নেমে আসেন। এরপর গত ৯ এপ্রিল এভারেস্ট অভিযানের জন্য সজল খালেদ বাংলাদেশ ত্যাগ করেন। একমাসেরও বেশি সময় পর ২০ এপ্রিল নেপালের স্থানীয় সময় আনুমানিক সকাল দশটা পয়তাল্লিশ মিনিটে এভারেস্ট শৃঙ্গ জয় করেন অকুতোভয় এই বাংলাদেশি। কিন্তু নেমে আসার পথে আট হাজার ষোল মিটার উচ্চতায় শুধু বিশ্রাম নিতে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। সজলের ঘুম আর ভাংগেনি।
সজলের শ্বশুড় জানান, সোমবার রাতে নেপাল থেকে একটি ফোন আসে তার কাছে। জানানো হয় সজল দুই নাম্বার ক্যাম্পে আছেন। এর পর ফোনের লাইনটি কেটে যায়।
৩৫ বছরের এই সাহাসী যোদ্ধা রেখে গেছেন স্ত্রী শৈলী ও দুই বছরের শিশু সুস্মিতকে।
সজল খালেদের পরিবার এখন চেষ্টা করছে তার মরদেহ দেশে নিয়ে আসার জন্য। তবে ৩১মে'র মধ্যে এভারেস্টে সব ধরণের উদ্ধারকাজ শেষ হয়ে যাবে। এসময়ের মাঝে মরদেহ না আনা গেলে এ নিয়ে চরম অনিশ্চয়তায় পড়তে হবে।
আরএম- ২২
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন