আইনস্টাইনের মস্তিষ্কের ছবি নিয়ে গবেষণা



প্রস্তুতি: প্রযুক্তি (প্রতিমুহূর্ত.কম)

বিশ্বের সবচেয়ে মেধাবী মানুষ হতে পেরেছিলেন আইনস্টাইন। কারণ হয়তো স্বাভাবিক মানুষের তুলনায় তাঁর মস্তিষ্কে বেশি ভাঁজ থাকার জন্যই!

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা আইনস্টাইনের মস্তিষ্কের ছবি নিয়ে গবেষণা করে নতুন সিদ্ধান্তে পৌঁছেন। 

আরো ৮৫টি মস্তিষ্কের আলোকচিত্রের সঙ্গে তুলনা করে তাঁরা জানিয়েছেন, আইনস্টাইনের মগজের আকৃতি ছিল স্বাভাবিক মানুষের সমান। যদিও অতিরিক্ত ভাঁজ খাঁজের কারণে কিছু অংশ দেখতে বড় মনে হয়।

বিজ্ঞানীরা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন, আইনস্টাইনের মস্তিষ্কের ব্যবচ্ছেদ সংক্রান্ত নতুন গবেষণার ফলে মস্তিষ্কের গঠন প্রক্রিয়া আরও সহজবোধ্য হয়ে উঠতে পারে। তবে কী করে আইনস্টাইন এই বেশি ভাঁজের মস্তিষ্কের অধিকারী হলেন তা অবশ্য এখনও অজানাই থাকল।

ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃতত্ত্ববিদ ডিন ফাক এবং তাঁর সহকর্মীরা দেখতে পান, নোবেলজয়ী এই বিজ্ঞানীর মস্তিষ্কের সম্মুখভাগে জিহ্বা এবং মুখমন্ডলের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত অংশে ভাঁজের পরিমাণ তুলনামূলক বেশি। অতিরিক্ত ভাঁজের কারণে আইনস্টাইনের মস্তিষ্ক যুক্তিসিদ্ধ সিদ্ধান্তে অতিদ্রুত পৌঁছাতে সক্ষম ছিল।  

বিজ্ঞানীরা আরো বলছেন, আইনস্টাইন তাঁর পেশিসদৃশ মস্তিষ্কের ভাঁজগুলোকে দ্রুত ব্যবহার করতে পারতেন। তাই পদার্থবিজ্ঞানের জটিল সব উদ্ভাবনে পারদর্শী হয়ে ওঠেন তিনি। ১৯৫৫ সালে কালজয়ী বিজ্ঞানীর মৃত্যুর পরপরই তাঁর মস্তিষ্ক নিয়ে অসংখ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। তখনই মেপে দেখা হয়েছিল, আইনস্টাইনের মস্তিষ্কের ওজন ১২৩০ গ্রাম, যা অন্যান্য মানুষের মস্তিষ্কের ওজনের প্রায় সমপরিমাণ।
কোয়ান্টাম পদার্থবিদ্যার জনক বিজ্ঞানীর মস্তিষ্ককে সে সময় গবেষণার জন্য ২৪০টি টুকরা করা হয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় এর অধিকাংশ টুকরাই পরবর্তী সময়ে নষ্ট হয়ে যায়। আর এই অঙ্গ-ব্যবচ্ছেদ গবেষণার সামান্য অংশই লিখিত আকারে রয়ে গেছে।  

আইনস্টাইনের মগজ টুকরা করার আগে একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছিলেন প্যাথলজিস্ট থমাস হার্ভে। সৌভাগ্যক্রমে আইনস্টাইনের মস্তিষ্ক কাটাছেঁড়ার সময় তিনি ল্যাবে উপস্থিত ছিলেন। তিনি আইনস্টাইনের মগজটি টুকরা করার আগে পরের বিভিন্ন অবস্থার দুই হাজার থিন সিলভার ফটোগ্রাফ বা রুপার সূক্ষ্ম স্লাইডে ছবি তোলেন এবং সেগুলো সংরক্ষণ করেন। এসব ছবি নিয়েই পরবর্তী সময়ে নানা পরীক্ষা চালান গবেষকরা।

বলা বাহুল্য, ডিন ফাক তাঁর সহকর্মীদের গবেষণায় ব্যবহার হয়েছে থমাস হার্ভের তোলা ছবিগুলোই। বিষয়ে দু'টি গবেষণা প্রবন্ধও প্রকাশিত হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, স্বাভাবিক মস্তিষ্কের তুলনায় আইনস্টাইনের মস্তিষ্কের কুন্ডলিগুলো দেখতে অস্বাভাবিক জটিল।

ছাড়া মস্তিষ্কের ঢালগুলোর মধ্যবর্তী উঁচু এলাকার গঠনও একেবারে অন্যরকম। তাঁরা ধারণা করেন, এই অংশটির গঠন এমন অদ্ভুতুড়ে হওয়ায় পদার্থবিদ্যার কঠিন সব সমস্যার সহজেই সমাধান বের করতে পারতেন বিজ্ঞানী আইনস্টাইন। 

সূত্র: ইন্টারনেট
রিপোর্ট: আব্দুল্লাহ আল জুবায়ের, নিউজরুম এডিটর
এজে-১৮/৫-৫

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সালাহ্উদ্দিন লাভলুর ধারাবাহিক নাটক 'কবুলীয়তনামা'

পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট ২টি গল্প

নাচো নাচো (রিমিক্স)