বিশ্বের খ্যাতিমান ফুটবলার কাম কোচ

বিশ্বের খ্যাতিমান ফুটবলার কাম কোচ 

 

প্রস্তুতি: খেলা (প্রতিমুহূর্ত.কম)


বিশ্ব ফুটবলে যুগে যুগে যারা মাঠ কাঁপিয়েছেন এমন কিছু ফুটবলার পরবর্তীতে কোচ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। তাদের কেউ কেউ সফল হয়েছেন, কেউবা হয়েছেন ব্যর্থ। আসুন এরকম কিছু খ্যাতিমান ফুটবলার কাম কোচের সাথে পরিচিত হই।

দিয়াগো আরমানডো ম্যারাডোনা
জন্ম: ৩০ অক্টোবার ১৯৬০

ম্যারাডোনা আর্জেন্টিনার সাবেক খেলোয়ার ও কোচ হিসেবে পরিচিত। অনেক বিশেষজ্ঞ, ফুটবল সমালোচক, সাবেক খেলোয়ার, বর্তমান খেলোয়ার এবং ফুটবল প্রেমীরা তাকে সবসময়ের সর্বশ্রেষ্ঠ ফুটবল প্লেয়ার হিসেবে মনে করে থাকেন।

তিনি তার ক্যারিয়ারে ৪ টি ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ টুর্নামেন্টে অংশ নেন। ১৯৮৬ সালে তার নেতৃত্বে আর্জেন্টিনা ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ জিতে । সেই টুর্নামেন্টে তিনি সেরা খেলোয়ার হিসেবে সোনার বল লাভ করেছিলেন।

তাকে বলা হয় ফুটবলের ঈশ্বর।

ম্যারাডোনার  খেলোয়াড়ি জীবনে তিনি ৯১ টি আর্ন্তজাতিক ম্যাচে ৩৪ টি গোল করেন (১৯৭৭ থেকে ১৯৯৪)।

দিয়াগো ম্যারাডোনাকে আবার ফুটবলের ইতিহাসে সবচেয়ে বিতর্কিত হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তিনি ইতালিতে কোকেন নেওয়ার অভিযোগে ১৯৯১ সালে ১৫ মাসের জন্য তাকে ফুটবল থেকে বরখাস্ত করা হয়।

তিনি নভেম্বরে ২০০৮ সালে আজের্ন্টিনার কোচ হিসাবে চুক্তিবদ্ধ হন এবং চুক্তি শেষ হওয়ার আগেই ২০১০ সালের জুলাইতে তিনি পদত্যাগ করেন। তার কোচিং ক্যারিয়ারে ১৯ ম্যাচে ১৪ টি জয় ও ৫ টিতে হার ছিল।

আর্থার এনথনিন্স জিকো
 জন্ম: ৩ মার্চ ১৯৫৩

তিনি একজন ব্রাজিলিয়ান কোচ ও সাবেক ফুটবলার। যাকে সবাই সাদা পেলে নামে চিনে থাকেন। তাকে ১৯৭০ থেকে ১৯৮০ সালের মাঝে বিশ্বের সেরা প্লেয়ারদের মধ্যে সবচেয়ে দক্ষ ফিনিসার ও শ্রেষ্ঠ পাসার বলে মনে করা হয়।

জিকো ব্রাজিলের হয়ে ৭২ ম্যাচে ৫২ গোল করেন (১৯৭৬ থেকে ১৯৮৮)।

জিকো ১৯৭৮, ১৯৮২ ও ১৯৮৬ সালে বিশ্বকাপে ব্রাজিলের প্রতিনিধিত্ব করেন। তিনি ১৯৮১ ও ১৯৮৩ সালে সেরা খেলোয়ার হিসাবে নির্বাচিত হন।

১৯৯৯ সালে জাপানের একটি ক্লাবের মাধ্যমে তার কোচিং ক্যারিয়ার শুরু করেন। ক্লাবটির নাম ছিল কাশিমা এন্টিল্যাক্স। পরে জাপান জাতীয় দলের কোচ হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হন (২০০২ থেকে ২০০৬)।

২০০৬ এর বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্যায়ে জাপানকে ২য় রাউন্ডে উঠাতে ব্যর্থ হন তিনি। বিশ্বকাপ অভিযান শেষে জাপান জাতীয় দলের কোচ থেকে তিনি পদত্যাগ করেন ।

জিকো ২০১১ সালের ২৪ আগষ্ট ইরাক ফুটবল ফেডারেশনরে সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেন এবং ২ সেপ্টেম্বর জর্ডানের  বিরুদ্ধে  ম্যাচ দিয়ে শুরু করেন। শর্ত পূরনে ব্যর্থ হওয়ায় ২০১২ সালে ২৭ নভেম্বরে তিনি কোচ থেকে পদত্যাগ করেন।
তার কোচিং ক্যারিয়ারের ফলাফল হল ২১ ম্যাচে ১০ টি জয়, ৬ টি ড্র ও ৫ টি হার ।

সার্জিও ড্যানিয়াল বাতিস্তা
জন্ম : ০৯ নভেম্বর ১৯৬২

১৯৯০ থেকে ১৯৯৪ সালে ৩৯ ম্যাচে আর্জেন্টিনার প্রতিনিধিত্ব করেন সার্জিও বাতিস্তা। তিনি একজন মিড ফিল্ডার ছিলেন। ৩৯ ম্যাচে তিনি একটিও গোল করতে পারেননি।
বাতিস্তা ২০১০ থেকে ২০১১ সালের জুলাই পর্যন্ত আর্জেটিনা ফুটবলদলের প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। কোপা আমেরিকায় খারাপ ফলাফলের জন্য নিজেকে দায়ী করে টিম ম্যানেজমেন্টের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান।

কার্লাস কাইতানো ভিরি ডুঙ্গা
জন্ম : ৩১ অক্টোবর ১৯৬৩


১৯৮৭ থেকে ১৯৯৮ পর্যন্ত ব্রাজিল দলের সফল একজন মিড ফিল্ডার । তার বড় পরিচয় তিনি একজন প্লে মেকার।

তার গোল সংখ্যা ৯১ ম্যাচে ০৬ টি।

কোচ হিসেবে ২০০৬ থেকে ২০১০ পর্যন্ত ব্রাজিলের হেড কোচের দায়িত্ব পালন করেন । ২০১০ ফিফা বিশ্বকাপে দল কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বাদ পড়ায় ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন তাকে বরখাস্ত করে(বিফসি।

আলেকজান্ড্র সাবেলা
জন্ম : ০৫ নভেম্বর ১৯৫৪   

সাবেলা একজন আর্জেটাইন ফুটবলার ১৯৮৩ সালে মিডফিল্ডার হিসেবে আর্জেন্টিনা জাতীয় দলে খেলেছিলেন।  ০৮ ম্যাচে তার গোল সংখ্যা ০।

তিনি বর্তমানে আর্জেটিনা জাতীয় দলের হেড কোচ হিসাবে নিযুক্ত আছেন।  তার কোচিংয়ে ২২ ম্যাচে আর্জেন্টিনার  ১৪ টি জয়, ৫ টি ড্র ও ৩ টি হার। তার শতকরা জয়ের হিসাব হল ৬৩.৬৪ ভাগ ।

লেখা: রাবিদ ইসলাম হৃদয়
 সম্পাদনা : আতিক অর্পণ
আরআই-১২/৫-১

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সালাহ্উদ্দিন লাভলুর ধারাবাহিক নাটক 'কবুলীয়তনামা'

পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট ২টি গল্প

নাচো নাচো (রিমিক্স)