হেফাজত-আওয়ামী লীগ-পুলিশ সংঘর্ষ, নিহত ১


হেফাজত-আওয়ামী লীগ-পুলিশ সংঘর্ষ, নিহত ১



প্রস্তুতি : জাতীয় (প্রতিমুহূর্ত.কম/protimuhurto.com) --


রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে হেফাজত কর্মীদের সঙ্গে পুলিষ ও আওয়ামী লীগের সংঘর্ষ হয়েছে। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ কর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। পল্টনে হেফাজত কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাঁদানী গ্যাস ও ফাঁকাগুলি বর্ষন করে।

হেফাজত কর্মীরা দুপুর একটার দিকে স্টেডিয়ামের সামনের রাস্তা দিয়ে মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎ আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের মুল গেট অতিক্রম করে কার্যালয়ে দ্বিতীয় তলায় উঠে পড়ে বলে অভিযোগ করে আওয়ামী লীগ নের্তৃবৃন্দ। কার্যালয়ে উপস্থিত দলীয় নেতা-কর্মীরা লাঠি হাতে হেফাজত কর্মীদের প্রতিহত করে। এ সময় সেখানে কয়েক রাউন্ড গুলি ও ককটেলের বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়।

মহানগর আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক জানিয়েছেন, হেফাজতের হামলায় আওয়ামী লীগের ৫ কর্মীকে আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষে হেফাজতের ২ দুজন ও এক পথচারি গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছে।তবে এসময় তিন জন হেফাজত কর্মী নিহত হয়েছে-এমন গুজব ছড়িয়ে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা করা হয়।

পুলিশ ও র‌্যাব আওয়ামী লীগ কার্যালয় ঘিরে রেখেছে । সেখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে দলীয় নেতা-কর্মীরা লাঠিসোটা নিয়ে সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। এর আগে হেফাজত কর্মীরা লঠিসোঁটা হাতে শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চের দিকে যাওয়া সময় পুলিশ বাধা দিলে তাদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়।

হেফাজতে ইসলামের ঢাকা অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সকাল থেকেই বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন। একপর্যায়ে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা ঐ এলাকা দিয়ে মিছিল নিয়ে যাওয়া সময় তাদের সঙ্গে এই সংঘর্ষ শুরু হয়।

এদিকে পল্টনে হেফাজত-পুলিশ-আওয়ামী লীগের ত্রিমুখী সংঘর্ষে সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিক ওরফে বুলেট (২৮) নামে হানিফ পরিবহনের একজন শ্রমিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো অনেকে। রোববার দুপুর ২টার দিকে পুরানা পল্টন মোড়ে সংঘর্ষের কবলে পড়ে তার মৃত্যু হয়। তার মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে  রাখা  আছে।

ঢাকা-কক্সবাজার রুটে হানিফ পরিবহনের একটি গাড়িতে হেলপারের চাকরি করতেন বুলেট। ওই গাড়ির চালক জুয়েল জানান, কামরাঙ্গির চার থানার পুলিশ গত শুক্রবার গাড়িটি রিক্যুইজিশনে নেয়। চালক জুয়েল আরো জানান, নিহত বুলেট থাকতেন রাজধানীর মানিকনগরে। রোববার এক  কাজে আমরা পল্টন গিয়েছিলাম। হঠাৎ গুলিবিদ্ধ হয়ে বুলেটকে রাস্তায় লুটিয়ে পড়তে দেখি। তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসি। কর্তব্যরত সার্জন হরিদাস সাহা প্রতাপ তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সালাহ্উদ্দিন লাভলুর ধারাবাহিক নাটক 'কবুলীয়তনামা'

পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট ২টি গল্প

নাচো নাচো (রিমিক্স)