১৩৩টি আসনে বিজয়ী নেওয়াজ



 ১৩৩টি আসনে বিজয়ী নেওয়াজ


প্রস্তুতি: আন্তর্জাতিক (প্রতিমুহূর্ত.কম)

পাকিস্তানে  ১৯৯৯ সালে সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী নেওয়াজ শরিফ আবার প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন।  দেশটিতে গত শনিবার ১১ মে সাধারণ নির্বাচনে বেসরকারীভাবে বিজয়ী হয়েছেনেওয়াজ শরিফের  দল পিএমএল-এন তবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় এ মধ্য ডানপন্থী দলটিকে সরকার গঠনের জন্য জোট গড়তে হতে পারে।

গত রোববার রাত দেড়টা পর্যন্ত বেসরকারিভাবে মোট ২৬৬টি আসনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে নেওয়াজ শরিফের দল পিএমএল-এন পেয়েছে ১৩৩টি আসন। আর দ্বিতীয় অবস্থানে আছে সদ্য ক্ষমতা ছেড়ে যাওয়া পাকিস্তান পিপলস পার্টি, তারা পেয়েছে ৩৩টি আসন। সাবেক ক্রিকেটারতেহরিক-ই-ইনসাফ প্রধান ইমরান খানের দল পেয়েছে ২৭টি আসন। ৭৩টি আসনে জয়ী হয়েছে স্বতন্ত্র ও অন্য দলের প্রার্থীরা। এখন পর্যন্ত ৬টি আসনে ফলাফল ঘোষণা বাকি আছে।

এখন প্রধান বিরোধী দল কে  হবে,  পিপিপি না পিটিআই তা নির্ভর করছে অবশিষ্ট আসন গুলোর ফলাফলের ওপর।

সাড়ে ছয় দশকের ইতিহাসে পাকিস্তানে যখনই সেনাবাহিনীর হাত থেকে ক্ষমতা কোনো রাজনৈতিক দলের হাতে এসেছে, তখন তা এসেছে  পিপিপি অথবা পিএমএল-এন এর কাছে। এ দুটি দলই দীর্ঘ সময় ধরে  নিয়ন্ত্রণ করে সছে পাকিস্তানের রাজনীতি। এবার সেখানে পিটিআই নামের আরেকটি নতুন দলের আবির্ভাব ঘটল। শেষ পর্যায়ে পিটিআই প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা পেলে অবাক হওয়ার মত কিছুই থাকবে না।

সরকার গঠনের লক্ষ্যে গত রোববার ১২ মে থেকেই অন্যান্য দলের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছেন ওয়াজ শরিফ। এ সময় দলের শীর্ষ নেতা ও সাবেক মন্ত্রী শরতাজ আজিজ উপস্থিত ছিলেন । তিনি  জানান,  কয়েকজন স্বতন্ত্র সাংসদের সঙ্গে কথা বলেছেন নওয়াজ শরিফ
পিএমএল-এন প্রধান ওয়াজ শরিফ ১৯৯৯ সালে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগে দুই মেয়াদে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৯০ সালের ৬ নভেম্বর থেকে ১৯৯৩ সালের ১৮ জুলাই এবং ১৯৯৭ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৯৯৯ সালের ১২ অক্টোবর পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি

পাকিস্তানে পিপিপি সরকারের আগ পর্যন্ত  কোনো সরকারই ক্ষমতার পূর্ণ মেয়াদ শেষ করতে পারেনি। দেশটিতে এর আগে কখনোই শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর হয়নি। সেদিক দিয়ে এবারের নির্বাচন ছিল তাৎপর্যপূর্ণ

নির্বাচনী প্রচারণার সময় পড়ে গিয়ে আহত হওয়ার পর থেকে হাসপাতালে আছেন ইমরান খান। নির্বাচনের পর পর  কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেছেন, এ নির্বাচন দেশের নবীন গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করবে।   ভিডিও বার্তায় তেহরিক-ই-ইনসাফ প্রধান ইমরান খান আরও বলেন, আমরা এখন গণতন্ত্রের পথে অগ্রসর হচ্ছি। দেশের তরুণ সমাজ আমার পক্ষে ছিল। এটাই আমার বিজয়। নির্বাচনে ব্যাপক হারে ভোট দেওয়ার জন্য দেশবাসীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ইমরান খান

এদিকে  জমিয়ত উলামা-আল-ইসলামের প্রধান মাওলানা ফজলুর রহমান ফোন করে নওয়াজ শরিফকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ায়ওয়াজ শরিফকে ফোন করে আরো অভিনন্দন জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং।


ডেস্ক রিপোর্ট : রাফি খান
সম্পাদনা : পাভেল রহমান
আরকে- ১৩/০৫-১             


মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সালাহ্উদ্দিন লাভলুর ধারাবাহিক নাটক 'কবুলীয়তনামা'

পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট ২টি গল্প

নাচো নাচো (রিমিক্স)