চলছে ব্যাঙ্গেলুরের জয়রথ



চলছে ব্যাঙ্গেলুরের জয়রথ



প্রস্তুতিঃ স্পোর্টস (প্রতিমুহূর্ত.কম)-----

ইন্ডিয়ান ক্রিকেট লিগ (আইপিএল) –এর ষষ্ঠ আসরের ৫৭ তম ম্যাচে দিল্লীর ফিরোজ শাহ্‌ কোটলায় মুখোমুখি হয় এবারের আসরের অন্যতম ফেবারিট রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গেলুর ও দিল্লী ডেয়ারডেভিলস। এবারের আইপিএল-এ টানা ছয় ম্যাচ হেরে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে ছিল দিল্লী অপরদিকে গেইল-কোহলিদের কল্যাণে ব্যাঙ্গেলুরের অবস্থান শীর্ষ চারে। ক্রিকেটবোদ্ধাদের ভবিষৎবাণী অনুযায়ী, এই ম্যাচ নিতান্তই কোন ম্যাড়ম্যাড়ে নিয়ম রক্ষার ম্যাচ হতে যাচ্ছে; কিন্তু ম্যাচের শেষটা এতটা শ্বাসরুদ্ধকর হবে সেটা হয়তো জানা ছিলনা কারোর।

দিবারাত্রির এ ম্যাচে দিল্লী টস জিতে ব্যাঙ্গেলুরকেব্যাটিং-এ পাঠায়। ক্রিজে আসেন ব্যাটিং দানব ক্রিস গেইল ও দিলশানের জায়গায় সুযোগ পাওয়া পূজারা। কিন্তু ব্যক্তিগত ৪রানে (দলীয় ৬) গেইলকে সাজঘরে ফিরিয়ে অধিনায়কেরসিদ্ধান্তকে যথার্থ প্রমাণ করেন বাহাতি পেসার ইরফান পাঠান। সঙ্গীকে হারিয়ে পূজারাও বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না ক্রিজে। ১৭ রানেই (দলীয় ৩২) থেমে যায় তার ইনিংস।

গেইল-পূজারাকে হারিয়ে মাঠে নামেনঅধিনায়ক বিরাট কোহলি। ব্যাঙ্গেলুর ভক্তদের কপালে একটু ভাঁজই যেন পরল; কিছুদিন থেকে যে ব্যাটে রান পাচ্ছেন না অধিনায়ক কোহলি। কোহলির সঙ্গী হিসেবে আসেন হেনরিক্স। কিন্তু ৮৯ রানে হেনরিক্সকে তালুবন্দি করেন নাদিম। ততক্ষণে কোহলি ক্রিজে মোটামুটি সেট হয়ে গেছেন। তার শর্টে দেখা যাচ্ছিলো নিজেকে ফিরে পাবার প্রত্যয়। মারকুটে এই ব্যাটসম্যান ৯৯ রানের (৫৮ বলে) এক অনবদ্য ইনিংস খেলে স্বাগতিকদের দর্শকে নিজের বানিয়ে নেন কোহলি। কোহলির এই ইনিংস হয়তো ১৪ রানেই থেমে যেতে পারতো যদি না কুলের বলে শেবাগ তার ক্যাচটি ফেলে না দিতেন। কোহলিকে যোগ্য সহযোগিতা দেন এবি ডি ভিলিয়ার্স । ভিলিয়ার্স ১৭ বলে ৩২ রান করে অপরাজিত থাকেন। ২০ ওভারে আর কোন অঘটন না ঘটিয়েই ব্যাঙ্গেলুর ১৮৩ রানের পাহাড় গড়ে তোলে। দিল্লীর বোলারদের মাঝে পাঠান, নাদিম ও কুল একটি করে উইকেট পান।

১৮৪ রান তাড়া করতে মাঠে নামেন দিল্লীর শিবিরের অভিজ্ঞ দুই ওপেনার মাহেলা জয়বর্ধণে ও বীরেন্দ্র শেবাগ। সবাই শেবাগের ব্যাট থেকে অতিমানবীয় কোন ইনিংস দেখার জন্য মুখিয়ে ছিল। কিন্তু ২৫ রানেই সাজঘরে ফিরে যান মাহেলা। শেবাগ শুরুটা ভালো করলেও ইনিংসকে বেশিদূর টেনে নিয়ে যেতে পারেননি। ব্যক্তিগত ১৮ রানে (দলীয় ৪২) টহধফশধঃ এর বলে পূজারার হাতে ক্যাচ দেন শেবাগ।

আজকের ম্যাচের জন্য দিল্লীর অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নারও ক্রিজে সুবিধা করতে পারলেন না, তাকে বোল্ড করেন হেনরিক্স। বিধ্বস্ত দিল্লীর হাল ধরেন উম্মুক্ত্ চাঁদ ও অস্ট্রেলিয়ান বেন ৎড়যৎবৎ। ২৭ বলে ৩২ রান (দলীয় ১১৮) করে ৎড়যৎবৎ বিনয় কুমারের বলে বোল্ড হন। চাঁদ-কে টহধফশধঃ আউট করে দিল্লীর টপ অর্ডারের লেজ মুড়িয়ে দেন। উত্তেজনার তখনো বাকি অনেক।

দিল্লীর জেতার আশা জিইয়ে রাখেন দুই বোলিং অলরাউন্ডার ইরফান পাঠান (ভারত) ও মরনে মরকেল (দক্ষিণ আফ্রিকা)। পাঠানের সংগ্রহ ১১ বলে ২৩ রান আর ১০ বলে ১৯ করেন মরকেল। শেষ দুই বলে দরকার ৯ রান। দুই অলরাউন্ডার কোহলির কপালে চিন্তার রেখা এঁকে দিচ্ছেন আর ফিরোজ শাহ্‌ কোটলার সব দর্শকের মাঝে শ্বাসরুদ্ধকর উত্তেজনা। কিন্তু আবার আঘাত হানেন উঁদাকাত। এবারের শিকার মরকেল। শেষ বলে যাদভের বাউন্ডারিও দিল্লীকে আর ম্যাচে ফেরাতে পারেনি, ফলাফল ব্যাঙ্গেলুর ৪ রানে জয়ী।

যাদভ উঁদাকাত ৪ ওভারে ২৫ রানে ৫ উইকেট নিয়ে হন ম্যাচ সেরা। এছাড়া হেনরিক্স ও বিনয় কুমার একটি করে উইকেট পান।

লেখাঃ নিপুণ কাওসার
এনকে-১১/০৫-০২

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সালাহ্উদ্দিন লাভলুর ধারাবাহিক নাটক 'কবুলীয়তনামা'

পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট ২টি গল্প

নাচো নাচো (রিমিক্স)