জিম্বাবুয়ে বনাম বাংলাদেশ, কী হবে টি-টোয়ন্টিতে?
প্রস্তুতি : স্পোর্টস (প্রতিমুহূর্ত.কম)--
জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ ড্র, ওয়ানডে সিরিজ হার,এখন প্রশ্ন হল টি-টোয়েন্টিতে কী ফলাফল দেশবাসীকে উপহার দিতে যাচ্ছে টাইগাররা ?
আর মাত্র কয়েক দিন পরই পর্দা উঠতে যাচ্ছে ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আসর টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০১৪ এর। এবারই প্রথম ২০১৪ টি-টোয়ন্টির বিশ্ব আসরের একক আয়োজক হচ্ছে লাল সবুজের বাংলাদেশ। এই জমজমাট আসরটি শুরু হবে আগামী বছরের ১৬ মার্চ। ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ৬ এপ্রিল। অংশ নিবে ১৬ টি দেশ।
ক্রিকেটের এই নতুন ফরম্যাটটি ইতোমধ্যেই খুব দ্রুতই সবাইকে কাছে টেনে নিয়েছে। টি-টোয়ন্টিতে আসলে বড় দল বা ছোট দল বলে কথা নেই। আন্ডারডগ যে কোনো দল হারিয়ে দিতে পারে ফেভারিট বড় কোনো দলকে।
ফিরে দেখা যাক অতীত ইতিহাস:
২০০৭ টি-টোয়ান্টি বিশ্বকাপ:
২০০৭ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর ওয়ানডারস্ স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। আর সেই ম্যাচে বাংলাদেশ ক্যরিবিয়দের হারায় ৬ উইকেটে। এটিই ছিল টি-টোয়ান্টিতে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয়। ওই ম্যাচে ম্যান অব দ্যা ম্যাচ হন আশরাফুল। এই জয়ে সুপার এইটে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে টাইগাররা। সুপার এইটে টাইগার বাহানী সাউথ আফ্রিকা , অস্ট্রেলিয়া,শ্রীলংকা ও পাকিস্তানের কাছে পরাজিত হয়ে ছিল।
২০০৯ টি-টোয়ান্টি বিশ্বকাপ:
২০০৯ সালের ৬ জুন ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামে বাংলাদেশ।ওই ম্যাচে ভারতের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৮০ রান, আর বাংলাদেশ করে ১৫৫ রান ৮ উইকেটের বিনিময়ে।
আর সবচেয়ে বড় অঘটন ঘটে ৮ জুন সোমবার । আয়ারল্যান্ড বাংলাদেশকে হারায় ৬ উইকেটে। এরে ফলে টাইগাররা ছিটকে পড়ে বিশ্বকাপ আসর থেকে।
২০১০ টি-টোয়ান্টি বিশ্বকাপ:
১ মে ও ৫ মে যথাক্রমে পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়ার কাছে হার মানে বাংলাদেশ। এ টুর্ণামেন্টে প্রথম পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হয় টাইগারদের।
২০১২ টি-টোয়ান্টি বিশ্বকাপ:
২০১২ সালে বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ডের কাছে ৫৯ রানে ও পাকিস্তানের কাছে ৮উইকেটের বিশাল ব্যবধানে পরাজিত হয়।
উপরের পরিসংখ্যান থেকে থেকে বোঝা যায় বাংলাদেশের টি-টোয়ান্টি ফিগার।
যাই হোক, আমাদের সকলের আশা প্রত্যাশা, আমারা চাই জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ জিতেই সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে যাক বাংলাদেশ। আমাদের এই চাওয়া পাওয়া কোনো আবেগের বশে নয়। যোগ্যতার প্রমানেই আমারা জয় প্রত্যাশা করছি । কারণ আমাদের ভান্ডারে আছে বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডার সাকিব। আরো আছেন তরুণ উদীয়মান নাসির, যে কিনা নিজেকে উজার করে খেলে থাকেন। শ্রীলংকার মাঠে বড় ইনিংস খেলায় অভিজ্ঞ আশরাফুল। বিগ হিটার তামিম। তরুণ পেসার শফিউল ও রবিউল। আছেন স্পিন যাদুকর রাজ্জাক, যে কিনা দলের প্রয়োজনে ভালো ব্যাট করে থাকেন। এর প্রমান রেখেছেন ২য় ওয়ানডেতে। আর তাদের সাথে আছেন গত ম্যাচে ভালো খেলা মাহমুদুল্লা, মমিনুল, জিয়াদের নিয়ে গঠিত এক ঝাঁক তরুণ। আমারা আর কোনো দুঃসহ স্মৃতি বয়ে বেড়াতে চাই না। টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ আমাদের কাছে এখন শুধু স্মৃতি।
এগিয়ে যাও বাংলাদেশ, ভুলে যাও দুঃসহ স্মৃতি ,ষোল কোটি মানুষ আজ তোমাদের সাথে। তোমাদের শুভ কামনায় ১৬ কোটি হৃদয় এক সাথে প্রার্থনারত।
লেখা : রাবিদ ইসলাম হৃদয়
আরআাই-১০/৫-১
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন