আশ্রয় কেন্দ্র ছেড়ে ঘরে ফিরছে উপকূলবাসী



প্রস্তুতি : সারাদেশ (প্রতিমুহূর্ত.কম)--

১৬ মে বৃহস্পতিবার বঙ্গোপসাগর থেকে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় মহাসেন অবশেষে দুর্বল হয়ে উপকূল অতিক্রম করেছে। এর প্রভাবে বুধবার মধ্যরাত থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত একটানা ভারি বর্ষণে বাগেরহাটের উপকুলীয় অঞ্চল শরনখোলা, মোড়েলগঞ্জ, রামপাল ও মংলা উপজেলার অধিকাংশ এলাকা বৃর্ষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে।

সমুদ্র উত্তাল থাকায় স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২/৩ ফুট বেশি উচ্চতায় প্লাবিত হয়েছে বাগেরহাটের উপকুলীয় নিম্নাঞ্চলসমূহ। আজ সকালে শরনখোলা, মোড়েলগঞ্জ, রামপাল উপজেলার উপর দিয়ে হালকা দমকা হাওয়া বয়ে গেছে। এতে শরণখোলার কয়েকটি এলাকায় ৫০টির বেশী কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানায় স্থানীয়রা ।

এছাড়া ভারী বর্ষণের সৃষ্ট জলাবদ্ধতার ফলে বোরো ও রবি ফসল তলিয়ে গিয়ে ব্যপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে জেলা বন্যা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

এদিকে মহাসেনের তান্ডব থেকে রক্ষা পেতে জেলার ১ লাখ ১০ হাজার মানুষ ২০১টি আশ্রয় কেন্দ্রসহ বিভিন্ন নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছিল।

তারা এখন আশ্রয় কেন্দ্র ছেড়ে ঘরে ফিরতে শুরু করেছে। মংলা বন্দর কর্তৃপরে চেয়ারম্যান কমোডর হাবিবুর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড় মহাসেনের তান্ডব মোকাবেলায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছিল। তবে বড় ধরণের কোন ক্ষয়-ক্ষতি না হওয়ায় তিনি শুকরিয়া জ্ঞাপন করেন।

বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মো: শুকুর আলী জানান, ঘূর্ণিঝড় মহাসেনের প্রভাবে উপকূলের বেশকিছু কাঁচা ঘরবাড়ী ভেঙ্গে গেছে। অতি বর্ষণের ফলে তলিয়ে গেছে বেশকিছু এলাকার বোরো ও রবি ফসলও। এছাড়া তেমন কোন হতাহতের ঘটনাও ঘটেনি।



রিপোর্ট : রবিউল ইসলাম, বাগেরহাট প্রতিনিধি
সম্পাদনা : জামিল আশরাফ খান, নিউজরুম এডিটর
আরই/জেএ/১৬/০৫-১

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সালাহ্উদ্দিন লাভলুর ধারাবাহিক নাটক 'কবুলীয়তনামা'

পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট ২টি গল্প

নাচো নাচো (রিমিক্স)