ব্যাঙ্গালুরকে হটিয়ে শীর্ষ চারে সানরাইজার হায়দ্রাবাদ


প্রস্তুতি : খেলা (প্রতিমুহূর্ত.কম)

আজ ম্যাচ জিতলেই টিকে থাকবে সেমিতে যাবার স্বপ্ন এমন সমীকরণ দেখেই আজ মাঝে নামছে সানরাইজার হায়দ্রাবাদ।

কিছু খেলোয়াড়ের উপর ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ ওঠার পর আজই প্রথম মাঠে নামছে রাজস্থান রয়েলস।

দুই দলের সামনে যখন এমন কঠিন হিসেব নিকেশ তখনই মাঠে গড়াচ্ছে হায়দ্রাবাদ-রাজস্থান ম্যাচ।

হায়দ্রাবাদের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে দিবারাত্রির এই ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় স্বাগতিক হায়দ্রাবাদ। দলীয় ৩ রানে পার্থিব প্যাটেল, ৪ রানে শেখর ধাওয়ান ও ৫ রানে অধিনায়ক হোয়াইট আউট হলে বেশ চাপে পড়ে স্বাগতিকরা। দলকে এ অবস্থা থেকে টেনে বের করে নিয়ে আসেন বিহারী ও বিপ্লব সামান্ট্রে। দলীয় ৪৯ রানে বিহারী শচীন বেবীর হাতে ক্যাচ তুলে দেবার আগে করেন ১৯ রান। বিহারির বিদায়ের পর সামান্ট্রে ও সামি মিলে চেষ্টা করেন হায়দ্রাবাদের স্কোরকে সম্মানজনক অবস্থায় নিয়ে যাবার। ১৯ বলে ২৩ করে সামি ফুলকানারের বলে আউট হলে আবারও সঙ্কায় পড়ে স্বাগতিকরা। দলীয় ১২৫ রানে সামান্ট্রে ৫৫ রান করে ফুলকানের বলে আউট হলে হায়দ্রাবাদ শিবিরের আশার শেষ প্রদীপটুকুও নিভে যায়। শেষেরদিকে পেরেরা ১৭ ও রাজস্থানের অতিরিক্ত ১৫ রানও স্বাগতিকদের ১৩৬ এর বেশি করতে দেয়নি।

আজ ফুলকানের তোপের মুখে পড়েন সব নামীদামী হায়দ্রাবাদী ব্যাটসম্যানরা। ৪ ওভার বোলিং করে এই রাজস্থানি বোলার মাত্র ১৬ রানের বিনিময়ে তুলে নেয় ৫ উইকেট। যাতে পার্থিব প্যাটেল, শেখর ধাওয়ান, বিপ্লব সামান্ট্রে, সামি ও ডেল স্টেইনের নাম ছিল। এছাড়া অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার শেন ওয়াটসন ১টি ও ত্রিবেদী ১টি উইকেট পান।

১৩৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত করেন রাজস্থানি অধিনায়ক রাহুল দ্রাবিড় ও রাহানে। দ্রাবিড় অফসাইডে খেলে সিঙ্গেল নিতে দিয়ে হোয়াইটের থ্রোতে আউট হন। আউট হবার আগে তিনি করেন ২৫ রান (দলীয় ৩৯/১)। রাহানেও ১২ করে বিদায় নেন। দলের হাল ধরেন ওয়াটসন ও স্যামসন। স্যামসন মিশ্রাকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে স্টেইনের হাতে ক্যাচ দেন আর ওয়াটসন ব্যক্তিগত ১১ রানে সামির হাতে ক্যাচ দেন। এরপর রাজস্থান শিবিরে শুরু হয় যাওয়া-আসার মিছিল। একে একে আউট হন বেনি, হজ, ফুলকানার, শচীন বেবী। কেভিন কুপা ১২ বলে ২৬ রান করলেও দলকে জয়ের ঘাটে নিয়ে যেতে পারেননি। স্টেইনের বলে তিনি সামান্ট্রির হাতে ক্যাচ দেন। এরপর হায়দ্রাবাদের জয় শুধুই সময়ের ব্যাপার থাকে। রাজস্থান থেমে যায় ১১৩ রানেই, হায়দ্রাবাদ জয় পায় ২৩ রানে।

ঠিক সময়মতই জ্বলে উঠেছেন হায়দ্রাবাদী বোলারা। স্টেইন, শর্মা, মিশ্রা ও পেরেরা প্রত্যেকেই দুটি করে উইকেট পান।

প্লেয়ার অফ দ্যা ম্যাচের পুরষ্কার যায় হায়দ্রাবাদের আমিত মিশ্রার হাতে।

এই ম্যাচ জিতে বাঙ্গালুরকে হটিয়ে পয়েন্ট টেবিলের চতুর্থ জায়গাটি নিজের করে নিলো সানরাইজার হায়দ্রাবাদ আর রাজস্থান রয়েলসের সেমি ফাইনাল আগেই নিশ্চিত হওয়ায় আর কোন পরিবর্তন হয়নি। পরের ম্যাচে ব্যাঙ্গালুর জিতলে নিট রানরেটই হবে সেমিতে যাবার মাপকাঠি।

রাজস্থান রয়েলস অধিনায়ক দ্রাবিড় ম্যাচ শুরুর আগে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন,”আমরা মর্মাহত, আমরা প্রতিটা ম্যাচ জেতার জন্য মাঠে নামি। এ ঘটনার (ম্যাচ পাতানোর) প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ প্রভাব আমাদের মাঠের পারফর্মেন্সকে অবশ্যই তরান্বিত করবে। জাতীয়দলের কোন খেলোয়াড়ের কাছে এধরণের আচরণ অবশ্যই প্রত্যাশিত নয়।“

আর দ্রাবিড়ের এই কথা সত্যি প্রমাণিত হল আজকের ম্যাচের পারফর্মেন্সে। রাজস্থান তাদের এই বাড়তি চাপ ঝেড়ে সেমিতে আবারও স্বরূপে ফিরে আসবে এমনটাই প্রত্যাশা করেন রয়েলস সমর্থকরা।

প্রতিবেদন : নিপুণ কাওসার, বিভাগীয় সম্পাদক, খেলা

এনকে-১৮/০৫-১৫

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সালাহ্উদ্দিন লাভলুর ধারাবাহিক নাটক 'কবুলীয়তনামা'

পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট ২টি গল্প

নাচো নাচো (রিমিক্স)