সাভার ট্র্যাজেডির বেসরকারি উদ্ধার তৎপরতা
সাভার
ট্র্যাজেডির বেসরকারি উদ্ধার তৎপরতা
প্রস্তুতিঃ জাতীয় (প্রতিমুহূর্ত.কম)
সাভারের রানা প্লাজার ভবন ধসের পর এখনও সরকারি উদ্ধারতৎপরতার
পাশাপাশি সমান ভাবেই কাজ করে যাচ্ছে সাধারণ মানুষ সহ বেসরকারি কিছু সংস্থা ।
রানা প্লাজা ধসের পরপরই ছুটে আসে আশেপাশের হাজার হাজার
সাধারণ মানুষ । জীবন বাজি রেখে ভবনের ভেতর আটকে থাকা মানুষদের উদ্ধার করতে থাকেন তারা।
ফায়ার বিগ্রেড, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর উদ্ধারকারীরা উদ্ধার কাজ শুরু করলেও থেমে
থাকেনি সেইসব মানুষ । কোন ধরনের প্রশিক্ষন বা অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও এখন
পর্যন্ত তারা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন ।
সাভারের রানা প্লাজা এলাকার দোকানদার, পোশাকশ্রমিক থেকে
শুরু করে আশেপাশের সাধারণ মানুষ, স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সেখানে অবিরাম কাজ করে যাচ্ছেন ।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, উত্তরার বিভিন্ন বেসরকারি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও উদ্ধার কাজে অংশ নিয়েছে ।
বাংলাদেশের ইতিহাসে এই ধরনের ভয়াবহ ভবন ধসের ঘটনা এই
প্রথম ।
উদ্ধারকারী দলের মধ্যে প্রয়োজনীয় আধুনিক যন্ত্রপাতির সংকট
রয়েছে। এইসব সাধারণ জনগন যদি উদ্ধার কাজে যোগ না দিত তাহলে উদ্ধারকৃত পোশাক
শ্রমিকদের সংখায় তারতম্য দেখা যেত । তাদের হাত ধরেই প্রাণ ফিরে পেয়েছেন অসংখ্য
আটকে থাকা মানুষ ।
উদ্ধারকাজে অংশ নিতে দেশের বিভিন্ন স্থান
থেকে সাহায্য করতে ছুটে এসেছে সাধারণ মানুষ । ঢাকার বিভিন্ন
সরকারি-বেসরকারি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা খাবার,
পানি ও ওষুধ সরবরাহ করেছে, যোগ দিয়েছে বিভিন্ন মিডিয়ার ব্যাক্তিবর্গ ।
তবে ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে উন্নত করতে হবে উদ্ধারকারী
বাহিনী । উন্নত যন্ত্রপাতি ও যথাযথ প্রশিক্ষণ ছাড়া ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্যোগ মোকাবেলা
করা আরও কষ্টসাধ্য হবে। প্রতিটি স্কুল-কলেজের স্কাউট ও বি.এন.সি.সি. গ্রুপ থাকা
বাধ্যতামূলক করা ও তাদের দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য যথাযথ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা
যেতে পারে ।
বিভিন্ন গার্মেন্টস, ফ্যাক্টরি ও শিল্প প্রতিষ্ঠানে
বিশেষ একটি দল গঠনের মাধ্যমে তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। যেন তারা
ভবিষ্যতের যেকোনো দুর্ঘটনা বা দুর্যোগে প্রাথমিকভাবে মোকাবেলা করতে পারে ।
সরকার এসব প্রশিক্ষণের জন্য উন্নত যন্ত্রপাতি ও
প্রশিক্ষক নিয়োগ দিতে পারে । এভাবে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় ও শিল্প প্রতিষ্ঠানে
দুর্যোগ ও দুর্ঘটনা মোকাবেলা করার প্রশিক্ষণ ও সরঞ্জাম সরবরাহ করা গেলে ভবিষ্যতে
যেকোনো দুর্যোগে প্রাণহানি ও হতাহতের সংখ্যা অনেকাংশেই কমে যাবে ।
লেখা : সজল বি রোজারিও
সম্পাদনা : আতিক অর্পণ
এসআর- ১২/৫-১
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন