বাগেরহাট ও সুন্দরবনের অধিবাসীরা নিরাপদ আশ্রয়ে

প্রস্তুতি: সারাদেশ (প্রতিমুহূর্ত.কম)

ঘূর্ণিঝড় মহাসেন ধেয়ে আসার খবরে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবেলায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। সুন্দরবনের দুবলার চরের জেলেদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

আজ ১৫ মে বুধবার সকাল থেকে বাগেরহাটে গুমট আবহাওয়া বিরাজ করছে। মংলা সমূদ্র বন্দরে এলার্ট-৩ জারি করা হয়েছে বলে মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমোডর. হাবিবুর রহমান ভূইয়া জানান।

বুধবার দুপুর থেকে সম্ভাভ্য দুর্যোগ মোকাবেলায় মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ, জেলা প্রশাসন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগন স্ব- স্ব দপ্তরে সভা অব্যাহত রেখেছে। এছাড়া জেলা সদরসহ ৯ টি উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদে নিযন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। বাগেরহাট স্বাস্থ্য বিভাগ ইতিমধ্যে ৩ টি বিশেষজ্ঞ টিমসহ ৭৫টি ইউনিয়নে ৮২টি মেডিকেল টিম গঠন করে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে বলে বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডাঃ বাকির হোসেন জানান।

এদিকে রেডক্রিসেন্টের ১৩০ জন সেচ্ছাসেবী সার্বক্ষনিক প্রস্তুত রয়েছে। জেলায় ২০১ টি ঘূর্নিঝড় আশ্রায় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ সকল আশ্রয় কেন্দ্রে দুর্যোগকালীন সময়ে  ১ লাখ ৭৭ হাজার লোক আশ্রায় নিতে পারবে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।

এছাড়া মংলা বন্দর অবস্থানরত সকল জাহাজকে বিভিন্ন জেটিতে নিরাপদ আশ্রয়ে রাখা হয়েছে। এছাড়া বুধবার দুপুরে উপকূলীয় উপজেলা মংলা, শরনখোলা ও রামপালের নিচু এলাকায় মাইকিং করে জনসাধারণকে সন্ধ্যায় শুকনা খাবারসহ আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থানের জন্য বলা হয়েছে।

এদিকে মংলা কোষ্টগার্ড পশ্চিম জোনের সকল জলযান নিরাপদ আশ্রায় রাখা হয়েছে এবং সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে সর্তক থাকতে বলা হয়েছে। অপরদিকে বাগেরহাটে যে সকল জেলে ও নৌকা সুন্দরবনসহ বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার কাজে নিয়োজিত ছিল তার অধিকাংশ সুন্দরবনের দুবর্লাচরসহ বিভিন্ন চরে এবং বিভিন্ন ছোট খালে আশ্রয় নিয়েছে। বাগেরহাটের অনেক জেলে ও মাছ ধরা ট্রলার কেবি মৎস্য ঘাটে ফিরে এসেছে বলে কেবি ঘাটের জেলেরা জানান। 


প্রতিবেদন: রবিউল ইসলাম, বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল জুবায়ের, নিউজরুম এডিটর

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সালাহ্উদ্দিন লাভলুর ধারাবাহিক নাটক 'কবুলীয়তনামা'

পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট ২টি গল্প

নাচো নাচো (রিমিক্স)