একাত্তরে কামরুজ্জামানের যত অপকর্ম
একাত্তরে কামরুজ্জামানের যত অপকর্ম
প্রস্তুতি: জাতীয় (প্রতিমুহূর্ত.কম)
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল মোহাম্মদ কামরুজ্জামানকে ১৯৭১ সালে গণহত্যা, লুটপাট, ও ধর্ষন সহ ৭টি অপরাধে অভিযুক্ত করে আন্তজাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার ৯ মে এই মামলার রায় ঘোষণা করা হবে।
৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন কামরুজ্জামানের অপকর্ম ও অত্যাচারের সাক্ষী হয়ে আছে শেরপুর জেলার অসংখ্য মানুষ। কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছে, তার মধ্য থেকে কয়েকটি নিচে উল্লেখ করা হলো।
বদিউজ্জামান হত্যাকান্ড:
কামরুজ্জামানের নের্তৃত্বে ১৯৭১ সালের ২৯ জুন সকালে শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতি থানার রামনগর গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে বদিউজ্জামানকে আহম¥দ মেম্বারের বাড়ি থেকে ধরে পাকিস্তানী ক্যাম্পে নিয়ে যায় আলবদর বাহিনী। এরপর তাকে হত্যা করে লাশ পানিতে ফেলে দেয়া হয়।
অধ্যাপক আব্দুল হান্নানের উপর অমানুষিক নির্যাতন:
শেরপুর কলেজের তৎকালীন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক, সৈয়দ আব্দুল হান্নানকে মাথা ন্যাড়া করে চুনকালি মেখে, উল্ঙ্গ অবস্থায় চাবুক পেটা করে শেরপুর শহর ঘোরায় কামরুজ্জামান ও তার সহযোগীরা।
বিধবাপল্লীর গণহত্যা :
কামরুজ্জামানের পরামর্শে ৭১ এর ২৫ জুলাই ভোরে রাজাকার, আলবদর ও পাকবাহিনী মিলে সোহাগপুর গ্রাম অবরোধ করে ১২০ জন পুরুষকে হত্যাসহ ১৭০ জন নারীকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনার পর থেকেই সোহাগপুরের নাম হয় বিধবাপল্লী।
গোলাম মোস্তফা হত্যা :
কামরুজ্জামানের নির্দেশে আলবদর বাহিনীরা ৭১ এর ২৩ আগস্ট সন্ধ্যায় গোলাম মোস্তফা তালুকদারকে ধরে সুরেন্দ্র মোহন সাহার বাড়িতে বসানো আলবদর ক্যাম্পে নিয়ে যায়। মোস্তফার চাচা তোফায়েল ইসলাম পরে কামরুজ্জামানের সাথে দেখা করে ভাতিজাকে ছেড়ে দেয়ার অনুরোধ জানায়। কিন্তু ঐ রাতে আলবদর সদস্যরা গোলাম মোস্তফা ও আবুল কাশেম নামে এক ব্যাক্তিকে মৃগি নদীর উপর ব্রীজে নিয়ে তাদের গুলি করে। কিন্তু এতে গোলাম মোস্তফা নিহত হলেও হাতে গুলি লাগায় নদীতে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণ বাঁচান আবুল কাশেম।
টেপা মিয়াসহ ৫ জনকে হত্যা :
১৯৭১ সালের ২৭ রোজার দিন, দুপুরবেলা টেপামিয়ার বাড়ি ঘেরাও করে কামরুজ্জামান ও তার সহযোগী আলবদর বাহিনী। এরপর টেপা মিয়াসহ আরও ৫ জনকে হত্যা করে তারা।
লিয়াকতসহ ৮ জন হত্যা:
৭১ সালে রমজান মাসের মাঝামাঝি সময়ের এক সন্ধ্যায়, শেরপুরের চক বাজারের বাসা থেকে আলবদর সদস্যরা মো: লিয়াকত আলীসহ আরও ১১ জনকে ধরে ঝিনাইগাতীর আর্মি ক্যাম্পে নিয়ে যায়। এরপর ৩ জন ছাড়া বাকি সবাইকে কামরুজ্জামান ও তার সহযোগী কামরানের সামনে গুলি করে হত্যা করা হয়।
দিদারসহ কয়েক জনকে নির্যাতন:
যুদ্ধের শেষের দিকে ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ ডাক বাংলায় ধরে নিয়ে আসা হয় দিদারসহ বেশ কজনকে। এসময় তাদের উপর নির্মম নির্যাতন চালায় কামরুজ্জামান ও আলবদর বাহিনী।
কামরুজ্জামান এসব অপরাধ করেন বৃহত্তর ময়মনসিংহে যার সময়কাল ২৫ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
লেখা : আতিক আহম্মেদ অর্পন
এএ/৮/৫-২
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল মোহাম্মদ কামরুজ্জামানকে ১৯৭১ সালে গণহত্যা, লুটপাট, ও ধর্ষন সহ ৭টি অপরাধে অভিযুক্ত করে আন্তজাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার ৯ মে এই মামলার রায় ঘোষণা করা হবে।
৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন কামরুজ্জামানের অপকর্ম ও অত্যাচারের সাক্ষী হয়ে আছে শেরপুর জেলার অসংখ্য মানুষ। কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছে, তার মধ্য থেকে কয়েকটি নিচে উল্লেখ করা হলো।
বদিউজ্জামান হত্যাকান্ড:
কামরুজ্জামানের নের্তৃত্বে ১৯৭১ সালের ২৯ জুন সকালে শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতি থানার রামনগর গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে বদিউজ্জামানকে আহম¥দ মেম্বারের বাড়ি থেকে ধরে পাকিস্তানী ক্যাম্পে নিয়ে যায় আলবদর বাহিনী। এরপর তাকে হত্যা করে লাশ পানিতে ফেলে দেয়া হয়।
অধ্যাপক আব্দুল হান্নানের উপর অমানুষিক নির্যাতন:
শেরপুর কলেজের তৎকালীন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক, সৈয়দ আব্দুল হান্নানকে মাথা ন্যাড়া করে চুনকালি মেখে, উল্ঙ্গ অবস্থায় চাবুক পেটা করে শেরপুর শহর ঘোরায় কামরুজ্জামান ও তার সহযোগীরা।
বিধবাপল্লীর গণহত্যা :
কামরুজ্জামানের পরামর্শে ৭১ এর ২৫ জুলাই ভোরে রাজাকার, আলবদর ও পাকবাহিনী মিলে সোহাগপুর গ্রাম অবরোধ করে ১২০ জন পুরুষকে হত্যাসহ ১৭০ জন নারীকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনার পর থেকেই সোহাগপুরের নাম হয় বিধবাপল্লী।
গোলাম মোস্তফা হত্যা :
কামরুজ্জামানের নির্দেশে আলবদর বাহিনীরা ৭১ এর ২৩ আগস্ট সন্ধ্যায় গোলাম মোস্তফা তালুকদারকে ধরে সুরেন্দ্র মোহন সাহার বাড়িতে বসানো আলবদর ক্যাম্পে নিয়ে যায়। মোস্তফার চাচা তোফায়েল ইসলাম পরে কামরুজ্জামানের সাথে দেখা করে ভাতিজাকে ছেড়ে দেয়ার অনুরোধ জানায়। কিন্তু ঐ রাতে আলবদর সদস্যরা গোলাম মোস্তফা ও আবুল কাশেম নামে এক ব্যাক্তিকে মৃগি নদীর উপর ব্রীজে নিয়ে তাদের গুলি করে। কিন্তু এতে গোলাম মোস্তফা নিহত হলেও হাতে গুলি লাগায় নদীতে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণ বাঁচান আবুল কাশেম।
টেপা মিয়াসহ ৫ জনকে হত্যা :
১৯৭১ সালের ২৭ রোজার দিন, দুপুরবেলা টেপামিয়ার বাড়ি ঘেরাও করে কামরুজ্জামান ও তার সহযোগী আলবদর বাহিনী। এরপর টেপা মিয়াসহ আরও ৫ জনকে হত্যা করে তারা।
লিয়াকতসহ ৮ জন হত্যা:
৭১ সালে রমজান মাসের মাঝামাঝি সময়ের এক সন্ধ্যায়, শেরপুরের চক বাজারের বাসা থেকে আলবদর সদস্যরা মো: লিয়াকত আলীসহ আরও ১১ জনকে ধরে ঝিনাইগাতীর আর্মি ক্যাম্পে নিয়ে যায়। এরপর ৩ জন ছাড়া বাকি সবাইকে কামরুজ্জামান ও তার সহযোগী কামরানের সামনে গুলি করে হত্যা করা হয়।
দিদারসহ কয়েক জনকে নির্যাতন:
যুদ্ধের শেষের দিকে ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ ডাক বাংলায় ধরে নিয়ে আসা হয় দিদারসহ বেশ কজনকে। এসময় তাদের উপর নির্মম নির্যাতন চালায় কামরুজ্জামান ও আলবদর বাহিনী।
কামরুজ্জামান এসব অপরাধ করেন বৃহত্তর ময়মনসিংহে যার সময়কাল ২৫ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
লেখা : আতিক আহম্মেদ অর্পন
এএ/৮/৫-২
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন