টাইগারদের বিশাল জয়

টাইগারদের বিশাল জয়

 




প্রস্তুতি : স্পোর্টস (প্রতিমুহূর্ত.কম/ protimuhurto.com) ---

জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে প্রতশোধ মিশন দারুনভাবে শুরু করেছে টাইগাররা। বুলাওয়েতে প্রথম ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়েকে বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে মুশফিক বাহিনী। পেসার জিয়াউর রহমানের দুর্দান্ত বোলিংয়ে দেশের বাইরে সবচেয়ে বেশি রানের  জয় পেয়েছে তারা। তার নেওয়া ছয় উইকেটে প্রথম ওয়ানডেতে ১২১ রানে জিতেছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের ২৭০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে দলীয় চার রানেই প্রথম উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় ওভারের চতুর্থ বলে শফিউলের বলে সাজঘরে ফিরে যান চাকাবভা (১)।  আর ওয়ান-ডাউনে নামা সিকান্দার রাজাকেও (৩) ঘরে ফেরান শফিউল। তখন দলের স্কোর ১৩ রান।

তবে মাসাকাদজার সঙ্গে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান টেলর। এই জুটি থেকে আসে আসে ৬৫ রান। কিন্তু টেলরকে বেশি দূর যেতে দেননি বোলার আব্দুর রাজ্জাক। মাত্র ৩৩ রানেই বোল্ড করে মাঠ থেকে বিদায় করে তিনি।

এরপর মাসাকাদজার সঙ্গে যোগ দেন শেন উইলিয়ামস। কিন্তু দলের ৯৩ রানের সময় উইলিয়ামসের রান আউট তাদের জন্য নিয়ে আসে এক ভয়াবহ অভিজ্ঞতা। কারণ এই ৯৩ রানের ঘরেই চার উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে।

১৯তম ওভারের প্রথম বলেই জিয়াউর রহমানের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন ওপেনার হ্যামিল্টন মাসাকাদজা। ৩৮ রান করা এই আশা জাগানো এই ব্যাটসম্যানকে বিদায় করেই থেমে যাননি তিনি। কারন ঐ ওভারের চতুর্থ বলেই ভরসার পাত্র চিগুম্বুরাকে শূন্য রানেই বোল্ড করে দেন এই পেসার। এরপর ২১তম ওভারে স্বাগতিক শিবিরে আবার আঘাত হানেন জিয়াউর। শূন্য রানেই ক্যাচ আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন উৎসিয়া।

পরে জিম্বাবুয়েকে আবার আশা দেখান শিঙ্গি মাসাকাদজা এবং ওয়েলার। ভালই এগিয়ে যাচ্ছিলেন তারা। দুই জনে করে ফেললেন ৫৫ রানের জুটি। দলের স্কোর যখন ১৪৮ তখন তাদেরকে আর সহ্য করতে পারলেন না বোলার জিয়াউর। কারণ ৩১তম ওভারের তৃতীয় বলে ১৯ রান করা ওয়েলারকে বোল্ড করে দেন তিনি। পরের বলেই পিয়ানগরাকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে মাঠ থেকে বিদায় করে দেন।

পরের ওভারেই নিজের জায়গাটা পূর্ণ করলেন রবিউল ইসলাম। ৩৩ রান করা শিঙ্গি তার বলে আউট হয়ে গেলে মাত্র ৩২ ওভারেই ১৪৮ রানে ইনিংস গুটে যায় জিম্বাবুয়ের। বাংলাদেশের বোলার জিয়াউর ছয় উইকেট নেন।

এর আগে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ওভারে আট উইকেট হারিয়ে ২৬৯ রান করে বাংলাদেশ। ওপেনিং জুটিতে তামিম ও আশরাফুল ৬৫ রান করে। কিন্তু ৩১ রান করা তামিমের পর দলের খাতায় আর ১০ রান যোগ হতেই মাঠ ছাড়েন আশরাফুল (২৯)। দুটি উইকেটই নেন  বোলার শিঙ্গি মাসাকাদজা।

এদিন বেশ সফলতা দেখাতে পারেননি টেস্টে দলের হাল ধরা মুশফিক ও সাকিব। কিন্তু মুমিনুল হকের সঙ্গে দলের হাল ধরেন শেষ টেস্টে দুটি অর্ধ-শতক করা নাসির হোসাইন।  এই জুটি থেকে আসে ৭৬ রান।

৩৮ রান করে মুমিনুল যখন আউট হন তখন দলের স্কোর ১৭০/৫। তবে নাসিরের সঙ্গে তাল মিলিয়ে গেলেন মাহমুদুল্লাহ। কিন্তু ৪৪ রানের এই জুটি ভেঙ্গে  ফেলেন পানায়ানগারা। সাতটি বাউন্ডারি আর এক ছক্কায় ৬৮ রান করা নাসিরের পর ১২ রান করে আউট হন জিয়াউর। আর মাহমুদুল্লাহ ৩৬ রান মাঠ ছাড়েন।

শেষ দিকে আব্দুর রাজ্জাকের ১৬ রানের সঙ্গে এক রান নিয়ে অপরাজিত ছিলেন শফিউল ইসলাম। জিম্বাবুয়ের বোলার শিঙ্গি মাসাকাদজা সর্বোচ্চ চারটি উইকেট পান। ম্যাচসেরা হন ছয় উইকেট পাওয়া জিয়াউর রহমান।

রানের ব্যবধানে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয় গত বছর ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে, ১৬০ রান। এর আগে ২০০৭ সালে স্কটল্যান্ডকে ১৪৬ ও কেনিয়াকে ১৩১ রানে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। ম্যাচ দুটি হয়েছিল ঢাকা ও বগুড়ায়। কিন্তু দেশের বাইরে এই প্রথম ১২১ রানের বিশাল জয় পেল টাইগাররা।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সালাহ্উদ্দিন লাভলুর ধারাবাহিক নাটক 'কবুলীয়তনামা'

পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট ২টি গল্প

নাচো নাচো (রিমিক্স)