হেফাজতে ইসলামের শীর্ষ নেতা আল্লামা শাহ আহমেদ শফির অতীত ও বর্তমান

 রিপোর্টিং প্রস্তুতি : www.protimuhurto.com

হেফাজতে ইসলামের শীর্ষ নেতা আল্লামা শাহ আহমেদ শফির অতীত ও বর্তমান

 



বিশেষ প্রতিবেদন,প্রতিমুহূর্ত.কম

‘হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ’-এর প্রধান নেতা শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফি। চট্টগ্রামের হাটহাজারী দারুল উলুম মইনুল ইসলাম মাদ্রাসার মহাপরিচালক তিনি। বর্তমানে পালন করছেন বাংলাদেশের কওমী শিক্ষা বোর্ড ‘বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ’-এর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব। দেশের কওমী মাদ্রাসা ছাত্র-শিক্ষকদের কাছে তিনি ভীষণ জনপ্রিয়। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন ইসলামী সংগঠনের নের্তৃবৃন্দও তার কাছে বিভিন্ন ইস্যুতে পরামর্শ ও উপদেশ নিয়ে থাকেন।

সম্প্রতি আলোচনার শীর্ষে উঠে আসা হেফাজতে ইসলামের প্রধান সংগঠক আল্লামা শাহ আহমেদ শফির জন্ম নেন চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থানার পাখিয়ারটিলা গ্রামে ১৯৩০ সালে। গ্রামের স্থানীয় মক্তবেই শুরু করেন পড়াশোনা।

উপমহাদেশের অন্যতম সেরা ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ-এ আল্লামা শাহ আহমেদ শফি ভর্তি হন ১৯৫১ সালে ২০ বছর বয়সে। ব্রিটিশ আমলে এ মাদ্রাসাটি ‘ইংরেজ খেদাও’ আন্দোলনের আলেমদের কাছে দূর্গ হিসেবে সুপরিচিত ছিল। এসময় তিনি ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নেতা আল্লামা সাইয়্যেদ হুসাইন আহমাদ মাদানীর (রহ.)-এর সার্বক্ষণিক ও বিশ্বস্থ সহচর ছিলেন।  দেশে ফিরে আল্লামা শফি নানা সময় চট্টগ্রামের বিভিন্ন শিক্ষকতা করেন এবং অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন।

হাটহাজারী হাটহাজারী দারুল উলুম মাদরাসার মহাপরিচালকের দায়িত্ব নেন তিনি ১৯৮৬ সালে। এ মাদ্রাসাটিকে তিনি ভারতের দারুল উলুম দেওবান্দার মাদ্রাসার আদলে রূপদান করেন।  দিন দিন তিনি দেশের মাদ্রাসা শিক্ষকদের প্রভাবশালী  নেতা হয়ে উঠেন। তবে সরাসরি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত হন নি।

আল্লামা শাহ আহমদ শফি বিগত জোট সরকারের আমলে ‘হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ’ নামে একটি অরাজনৈতিক সংগঠন গঠন করেন। সংগঠনের প্রধান লক্ষ ছিল বাংলাদেশে  ইসলাম বিরোধী কর্মককাণ্ডের প্রতিবাদ জানানো।


‘হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ’ সংগঠনের নামে অনেক আগে থেকেই ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে আন্দোলন হয়েছে। ৩ বছর আগে সরকারের নারীনীতি, শিক্ষানীতি, সংবিধানের ‘আল্লাহর ওপর আস্থা’ পুন:স্থাপন নিয়ে এরা আন্দোলন করেছে। ওই সময় এসব ইস্যুতে সরকার আন্দোলনকারীদের দাবি মানার আশ্বাস দেয়, এমন খবর প্রকাশিত হয়।

গত বিএনপি সরকারের আমলেও কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণা, জামায়াতের প্রতিষ্টাতা মওদুদীর মতবাদের সব প্রকাশনা বন্ধসহ বিভিন্ন ইস্যুতে সংগঠনটির নেতৃত্বে আন্দোলন হয়েছে। অন্যান্য ইসলামী সংগঠনও এসব আন্দোলনে শরিক হয়। আল্লামা শফি বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিলে মওদুদীবাদ বিরোধী বিভিন্ন বয়ান দেন। তার মাদ্রাসার অনেক আলেম মওদুদীবাদ বিরোধী অনেক বইও লিখেছেন।



সরাসরি দেশের কোনো রাজনৈতিক দলের জড়িত না হলেও আল্লামা শাহ আহমদ শফি শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের ব্লগারদের ‘নাস্তিক’ আখ্যায়িত করে তাদের শাস্তির দাবিতে হেফাজতে ইসলাম সংগঠনের ব্যানারে আন্দোলন শুরু করেছেন।

অতীতে মওদুদীবাদ ও জামাত বিরোধী ইসলামী নেতা হিসেবে সুপরিচিত আল্লামা শাহ আহমদ শফির বিরুদ্ধে গণজাগরণপন্থী নেতৃবৃন্দ এবার জামাতে ইসলামী ও যুদ্ধাপরাধী সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তুলেছেন।

ঢাকা/ ৬ এপ্রিল ২০১৩, বেলা ৩টা  ১২মি.

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সালাহ্উদ্দিন লাভলুর ধারাবাহিক নাটক 'কবুলীয়তনামা'

পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট ২টি গল্প

নাচো নাচো (রিমিক্স)